পেছনের গল্প( পর্ব: ৩১ )!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
২০২২ সালের জুন মাসের কথা। আমরা তখন পঞ্চম সেমিষ্টারের শিক্ষার্থী। তার আগে আমাদের কলেজে ঐভাবে ডিপার্টমেন্ট ভিওিক ফুটবল টুর্নামেন্ট কখনও আয়োজন করা হয়নি। বলতে পারেন ঐটা ছিল প্রথম আসর। প্রথম আসর যথারীতি নোটিশ দেখে সবাই দল গোছাতে শুরু করল। আমাদের ক্লাসে মোটামুটি বেশ কয়েকজন ভালো খেলোয়ার ছিল। কিন্তু ওরা ঐভাবে নিয়মিত ক্লাসে আসতো না। ফলাফল দায়িত্ব টা চলে আসে আমার উপর। আর কী শুরু করলাম দল তৈরি করতে। মোটামুটি দলের খেলোয়ার ঠিক করে সবার থেকে টাকা তুললাম জার্সি এবং টিম এন্ট্রির জন্য। সবকিছু আমাকে একা হাতেই করতে হয়েছিল। অন্যরা খুব একটা মাথা ঘামায়নি। বরং বেশ কয়েকজন পিছুটান দিয়েছিল। কিন্তু যেখানে কলেজের সবগুলো ক্লাসের টিম অংশ নিচ্ছে। আমরা না নিলে ব্যাপার টা বাজে দেখাবে।
সবকিছু ঠিক হলো। টিমের জার্সি চলে এলো। প্রথম ম্যাচের দিন সময় ঠিক হলো। প্রথম ম্যাচটা ছিল সকালে। আমি সবাইকে অবগত করে দিলাম আগের দিন রাতেই। এবং আমাদের গ্রুপে আমি একটা গেম প্ল্যান দিয়ে দিয়েছিলাম। যেখানে আমরা ৪-২-৩-১ ফর্মেশনে খেলব ঠিক করেছিলাম। কিন্তু খেলার মাঠে সেই ফর্মেশন মোটেও ছিল না। কারণটা বুঝতেই পারছেন। বল পায়ে আসলে আর কারো কিছু মাথায় থাকে না। বল পাস না করে নিজের মতো করে টানতে থাকে যতক্ষণ না প্রতিপক্ষ এসে বলটা নিয়ে নেয়। এইতো ছিল অবস্থা হা হা। প্রথম ম্যাচের আগের দিন রাতে বেশ বৃষ্টি হয়েছিল। পরেরদিন মাঠে বেশ পানি ছিল। এইজন্য অবশ্য আমাদের খুব বেশি অসুবিধা হয়েছিল সেটা আমি বলব না।
ম্যাচ শুরুর আগে যথারীতি একেবারে প্রফেশনাল মুডে সবাই ফটোগ্রাফি করে। ম্যাচ শুরু হওয়ার একেবারে দ্বিতীয় মিনিটেই আমার বন্ধু হারুন মাঝ মাঠ থেকে অসাধারণ এক শর্ট নেয়। এবং প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক সেটা সেভ দিতে ব্যর্থ হলে আমরা এক গোলের লিড পেয়ে যায়। পরবর্তীতে আরও অসংখ্য আক্রমণ করেছিলাম আমরা দুইদলই। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় কেউ কোন গোল করতে পারিনি। ম্যাচের ৭০ মিনিটের সময় আমি উঠে আসি। আমি মাঝ মাঠে খেলছিলাম। আমি উঠে এসে ডিফেন্সে আমার বন্ধু সবুজকে নামিয়ে দেয়। কারণ তখন আমাদের ডিফেন্স ভালো করার প্রয়োজন ছিল। যথারীতি ম্যাচের বাকি সময়ে কেউ কোন গোল না করলে আমরা পুরোপুরি ১-০ গোলে ম্যাচটা জিতে নেয়।
ম্যাচ টা জয়ের পরে আমাদের মনোবল অনেক গুণ বেড়ে যায়। যেহেতু নকআউট পদ্ধতির খেলা ছিল আমাদের পরবর্তী ম্যাচটাও আমরা জিতে যায়। এরপর ছিল সেমিফাইনাল ম্যাচ। সেমিফাইনাল ম্যাচের আগে প্রায় একসপ্তাহ বিরতি দেওয়া হয়। ঐ খেলার দিনের কথা অসংখ্য দিন মনে থাকবে আমার। ঐদিন আরও একটা বিশেষ কাহিনী ঘটেছিল আমার সাথে। তবে খেলার দিনের স্মৃতি টা ছিল পুরোপুরি স্মরণীয়। খেলার পরে আমাদের টিমের সবাই চলে গিয়েছিলাম কলেজের পুকুরে গোসল করতে। ঐ প্রথমবার আমি কলেজের পুকুরে গোসল করতে নেমেছিলাম। যদিও আমাদের কলেজের পুকুর নিয়ে একটা মিথ আছে। ওখানে প্রায় প্রায়ই অনেকে ডুবে যায়। পরবর্তীতে আর কোন খোঁজ পাওয়া যায় না। কয়েকদিন পর মৃতদেহ ভেসে উঠে।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task
https://x.com/Emon423/status/1958446693126660217?t=b2W3YjF-nMkL_-ypcCTHCg&s=19
https://x.com/Emon423/status/1958446944834974014?t=zktcImb4lvjTF8iQAIlHQA&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.