পেছনের গল্প( পর্ব : ১৪ )।।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আমার ১৮-১৯ বছর বয়স পযর্ন্ত আমার ঈদগুলো কাটত একেবারে একঘেয়েমি ভাবে। আমি সারাদিন বাড়িতে থাকতাম কোথাও যেতাম না। ঐসময় আমি অনেক টা ঘরকুনো ছিলাম। যদিও এখনও আছি। তবে আগের মতো অতোটা আর না। আমার সবচাইতে বড় সমস্যা ছিল মানুষের সাথে কমিউনিকেশন। এটা আমার খুব একটা ভালো ছিল না একেবারেই। তবে এরপরে এই অভ্যাসের বেশ পরিবর্তন আসে। ২০২১ সালের ঈদুল ফিতরের কথা। ততদিনে করোনার প্রভাব কিছুটা কমেছে। ঐ ঈদে লকডাউন বেশ শিথিল করা হয়। আগের বছরের দুইটা ঈদ কেটেছিল আমার একেবারে বোরিং ভাবে। সুতরাং এই ঈদটা আর সেভাবে কাটানো যাবে না এটা আমি ভেবে রেখেছিলাম। ঈদের দিন বিকেলে বের হয়ে মোটামুটি আমাদের শহরের মধ্যেই ঘোরাঘুরি করি।
তবে আমাদের পরিকল্পনা ছিল পরের দিন নিয়ে। আমরা ঠিক করলাম পরের দিন আমি এবং লিখন দুজনে হার্ডিঞ্জ ব্রীজ যাব। যে ব্রীজটা তৈরি হয়েছিল লর্ড হার্ডিঞ্জ এর সময়। কিন্তু সমস্যা ছিল লিখনের লাইসেন্স ছিল না। যদিও গাড়ি ও বেশ ভালো চালাতে পারে। একটু রিস্ক নিয়ে দুপুরের পরে আমরা বের হয়েছিলাম। আকাশটা ছিল মেঘলা একপর্যায়ে বেশ বৃষ্টিও হয়ে যায়। যাইহোক আমরা আমাদের গন্তব্যে এগিয়ে চললাম। আমাদের কুমারখালী থেকে ভেড়ামাড়া ঐ ব্রীজের দূরত্ব প্রায় ৩০-৩৫ কিলোমিটার হবে। সুতরাং ঝুঁকি কিছুটা ছিল যদি মাঝপথে পুলিশ ধরে। কিন্তু সাহস নিয়ে আমরা এগিয়ে যায়। যেহেতু আমি বাইক চালাতে পারিনা পুরোটা পথ লিখনকে একাই ড্রাইভ করতে হয়।
অবশেষে আমরা পৌছে যায় হার্ডিঞ্জ ব্রীজে। ঐদিন ওখানে অসংখ্য মানুষের ভীড় ছিল। আমরা বাইক রেখে কিছুটা সময় ঘোরাঘুরি করি। তবে খুব বেশিক্ষণ থাকতে পারিনি। কারণ ততক্ষণে ৫:৩০ টা বাজে ঘড়িতে। অন্যদিকে আমাদের দ্রুতই ফিরতে হবে আকাশে মেঘের ঘনঘটা। যাইহোক আমরা আবার রওনা দেয়। ঠিকভাবে ঐদিন চলেও আসি। যদিও কুমারখালী এসে বেশ অনেক রাত পযর্ন্ত একটা জায়গাই বসে আড্ডা দিয়েছিলাম। সময় টা বেশ কেটেছিল। তারপরের দিনের কথা। আমার চাচাতো ভাই আমাকে বলল বিকেলে ঘুরতে যাবে। ঐদিন ভাইয়ের ছেলে মেয়েকে নিয়ে আমি এবং ভাইয়া গেলাম আমাদের এম এন স্কুল পার্কের ওখানে। ওখানেও বেশ অনেক মানুষের ভীড় ছিল।
ওদের বয়স তখন ছিল ৭ বছর এবং ৫ বছর। যদিও এখন অনেক বড় হয়ে গিয়েছে। গড়াই নদীর পাড়ে তার পরের দিনের বিকেলটাও বেশ কেটেছিল আমার। ঐবছর আমার ঈদটা বেশ দারুণ কেটেছিল। তখন একটা সমস্যা ছিল অর্থ। ঐ বয়সে ঐ টাকার সমস্যা টা সবারই থাকে। তবে কোন আনন্দের ঘাটতি একেবারেই ছিল না। কিন্তু আজ কয়েক বছরের ব্যবধানে সেই সমস্যাটা মিটেছে। কিন্তু এখন আর ঐভাবে ঘোরাঘুরি একেবারেই হয় না। এবার ঈদে বাড়ি গিয়ে লিখনের সাথে খুব একটা বের হওয়া আমার একেবারেই হয় নাই। শুধুমাত্র একদিন বের হয়েছিলাম। এখন ছবিগুলো দেখে ঐদিনের কথা খুব মনে পড়ে। কী একটা প্রাণবন্ত সময় আমি পিছনে ফেলে এসেছি।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Daily task
https://x.com/Emon423/status/1921496096309649628?t=3s_fqvZnTMKtiKuHT9bG9Q&s=19
https://x.com/Emon423/status/1921496494609244346?t=1f6e0CGFE-QWkmlScFEzRQ&s=19
https://x.com/Emon423/status/1921496705167413491?t=nMB3CtxCsmDHaoIFJRqnYQ&s=19
https://x.com/Emon423/status/1921496954665574678?t=rFeAEb3D1ftgcmWLpWF72A&s=19
https://x.com/Emon423/status/1921497332077510864?t=Pr_WlBpIxCGpF3ZAKsPgZw&s=19