পেছনের গল্প( পর্ব: ৩০ )!!

in আমার বাংলা ব্লগ5 days ago


আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ সোমবার, ১৮ ই আগষ্ট ,২০২৫।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে


1000585258.jpg


২০২২ সালের মে মাসের কথা। সবেমাএ ঈদুল ফিতর গিয়েছে। তবে তার পরে আর আমি এবং লিখন সেভাবে কোথাও যায়নি। ২৫ শে বৈশাখ অর্থাৎ ৮ ই মে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন। সেই উপলক্ষে প্রতি বছর আমাদের এলাকার শিলাইদহ উনার কুঠিবাড়িতে মেলা হয়। আমিই লিখনকে বলি চল এবার মেলা থেকে ঘুরে আসা যাক। মেলাটা বেশ জাকজমকপূর্ণ হয়ে থাকে। অনেক মানুষের সমাগম হয়। তো লিখন রাজি হয়ে যায়। সন্ধ‍্যার পরে আমরা বাড়ি থেকে বের হয়। যথারীতি দুজন কুমারখালী বাসস্ট্যান্ডে মিলিত হয়। এবার সেখান থেকে আলাউদ্দিন নগর। এবং তারপর চলে যায় শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে। অন‍্যসময় কুঠিবাড়ি প্রাঙ্গণে ঢুকতে টাকা লাগলেও মেলার সময় টিকিট লাগে না। আবার আমরা গিয়েছিলামও রাতে।

কুঠিবাড়ি এর প্রথম গেট দিয়ে ঢুকতেই দেখি অসংখ্য মানুষের সমাগম। এবং সেই মানুষের সংখ‍্যা মোটেও কম না। যাইহোক আমি এবং লিখন সামনে এগিয়ে যেতে থাকি। দুজন মিলে ভেতরে চলে যায়। কুঠিবাড়ি বেশ সুন্দর আলো দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছিল। দেখে বেশ সুন্দর লাগছিল। মাঠের মধ্যে একদিকে রবীন্দ্র সংগীত এর আসর বসেছিল। দেশসেরা সব রবীন্দ্র সংগীত শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করছিল। যদিও আমরা ওখানে খুব বেশি সময় ছিলাম না। আমরা চলে যায় মেলার দিকে। মেলায় ঢুকতেই প্রথমেই নজরে আসে নাগরদোলা। আর এটা দেখলে লিখনের উঠা লাগবেই। তবে আমার খুব একটা ভালো লাগত না। কিন্তু সেবার যেন ও একেবারে বায়না ধরে দেয় যে ওর সাথে আমাকেও উঠতে হবে।


1000585193.jpg

1000585194.jpg

1000585196.jpg

1000585257.jpg


যদিও লিখনের নাগরদোলায় উঠার প্রস্তাবে আমি সরাসরি না বলে দেয়। কিন্তু পরবর্তীতে ও আমাকে এমন একটা শর্ত দেয় যে আমি উঠতে বাধ‍্য হয়। যদিও সেবার আমারও বেশ ভালো লেগেছিল নাগরদোলায় উঠে। এরপর আমরা সামনের গিয়ে যায়। গিয়ে দেখি বিভিন্ন খাবারের স্টল। এবং সেগুলোর বেশির ভাগই ছিল ফাস্টফুড। আমি এবং লিখন চিকেন ফ্রাই ঝালমুড়ি সহ এই জাতীয় বেশ কিছু খাবার খাই। এরপর চলে যায় মেলার অন্য দিকে। লিখন একটা মেয়েদের সরঞ্জামের দোকানে ঢোকে। ওর সঙ্গে আমাকেও যাওয়া লাগে। উদ্দেশ্য ছিল ওর পছন্দের মানুষের জন্য চুড়ি নেওয়া। বিভিন্ন রঙিন চুড়ি ছিল। এবং লিখন সেগুলো এমনভাবে দেখছিল এবং দাম করছিল মনে হচ্ছিল এগুলো কেনার ওর কতদিনের যে অভিজ্ঞতা তার কোন ঠিক নেই হা হা।

মোটামুটি সবরকম দোকানে আমরা ঘুরেছিলাম। পুরো মেলা দ্রুত ঘুরলেও আমাদের সময় লেগে গিয়েছিল প্রায় ৩ ঘন্টা। মেলা থেকে যখন বের হয়েছিলাম তখন বাজে রাত ১০ টা। পরবর্তীতে আমরা আর দেরি করিনি। বাড়ির দিকে রওনা দেয়। বাড়িতে পৌছাতে পৌছাতে রাত ১১ টা এর বেশি বেজে গিয়েছিল। সেই দিনের কথা এখনও আমার বেশ দারুণ ভাবে মনে আছে। আহ কী চমৎকার দিন ফেলে এসেছি। শেষ এই মেলায় গিয়েছিলাম ২০২৪ সালে। এই বছর মেলা হলেও আমি যেতে পারিনি। কারণ আমি এখন বাধ‍্য হয়েই ঢাকায় থাকি। মোটামুটি বছরে ঈদ ছাড়া দুই একবার বাড়ি যাওয়া হয়। তবে এই মেলাটা অনেক মিস করি। আশাকরি পরবর্তী বছর সময় বের করে চলে যাব।



সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



IMG-20231027-WA0008.jpg

Facebook
Twitter
You Tube



অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।


আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।





Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

Banner(1).png

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovUdcufHKutmnDv7XmQqPrB8fBXG7kzXLfFggSC6SoPdYYQg44yvKzFDWktyjCspTTm5NVQAdTm7UoN34AAMT6AoF.gif



Heroism_Second.png


1000561739.png