পেছনের গল্প( পর্ব: ১৬ )।

in আমার বাংলা ব্লগyesterday


আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ শুক্রবার, ৬ ই জুন ,২০২৫।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে


1000578214.jpg


একদিন এক বিকেল আমাদের জীবন থেকে গিয়েছে হারিয়ে সেই বিকেল আর কখনও ফিরে পাওয়া যাবে না। মনের গভীরে থেকে যাবে আজীবন। মানুষের স্মৃতিই সম্ভবত মানুষ কে বাঁচিয়ে রাখে। মানুষ কে জীবনের সুন্দর সময়ের মূহূর্তটা মনে করিয়ে দিয়ে বাঁচার আবেশ সৃষ্টি করে। বিকেল সময় টা বরাবরই আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। বিকেল মানেই আমার কাছে ছিল বন্ধুদের সাথে মাঠে ফুটবল ক্রিকেট নিয়ে মেতে উঠা। তবে সেই সময় খুব বেশিদিন স্থায়ী হয়নি আমার জীবনে। ক্রমেই যখন স্মার্টফোন ইন্টারনেট এসব গ্রাস করছে কৈশোর কে। খেলার মাঠ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে আসছে ছেলেদের। তার মধ্যেই আমার বিকেলগুলো হারিয়ে গিয়েছিল। না আমি নিজে আসক্ত ছিলাম না। তবে যাদের সাথে খেলতাম সবাই দেখলাম এসব নিয়েই পড়ে আছে।



এরপর থেকে বিকেলটা অন্যভাবে কাটানোর চেষ্টা করতাম। ততদিনে বয়সটা কিছুটা বেড়েছে। মনের মধ্যে এক নতুন চিন্তা নতুন আশা বাঁধা বেঁধেছে। অর্থাৎ মনের মধ্যে রং লেগেছে বলতে যা বোঝায়। তখন নিরিবিলি বসে যেকোন কিছু ভাবতে আমার বেশ ভালো লাগত। যেকোনো কিছু বলতে বিশেষ কারো কথা। ঐসময় বিকেলটা আমি এবং আমার বন্ধুরা কোথাও বসে কাটিয়ে দিতাম। আমার এলাকায় আমার দুইটা ছোট ভাই আছে। ওরা দুজনেই আমার থেকে বয়সে কিছু না হলেও ৫ বছরের ছোট। তবে ওদের সাথে আমার বেশ অনেক মিল। আমি আমার সমবয়সীদের থেকেও ওদের সাথে বেশি আড্ডা দেয় বেশি সময় কাটায়। আনান এবং সাবিত। ওরা দুইজনেই উচ্চ মাধ্যমিক এর স্টুডেন্ট এখন। ২০২১ সালের শেষের দিকের কথা বলছি।


1000578216.jpg

1000578215.jpg

1000578217.jpg

1000578218.jpg


করোনার প্রভাব কেটে গিয়েছে। শীতের বিকেলে আমরা মাঠে হাঁটতে যেতাম। বিকেলের সময় টা আমরা মাঠেই অতিবাহিত করতাম। ঐদিন আমি সাবিত এবং আনান গিয়েছিলাম মাঠের মধ্যে। আমাদের গ্রামের পূর্ব দিকের মাঠে তখন সরিষা গম খেসারি এসব ফসল। গ্রামের সবাই ওটাকে পূবের মাঠ বলে। যাইহোক আমরা তিনজন বসেছিলাম একটা সরিষা খেতের পাশে। আনান ছোটবেলা থেকেই ঢাকাতে থাকত ওর বাবা মায়ের সাথে। এইজন্যই ঐরকম হলুদ সরিষা ফুল দেখে ও বেশ মুগ্ধ হয়ে যায়। আমি বেশ অনেক গুলো ছবি তুলে দেয় ওর। শীতের শেষ বিকেল আকাশে খুব একটা রোদ নেই। পুরো আকাশে মেঘ এমন ভাবে ছড়িয়ে রয়েছে দেখে মনে হচ্ছে বালুর চর। ঐরকম সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে আমরা তিনজন বসেছিলাম।

তখন আমি নিজেও ঐ প্রকৃতি টা ঐভাবে অনূভব করতে শিখি নাই। ওরা দুজনেই ছিল বাচ্চা। সন্ধ‍্যা যতই ঘনিয়ে আসছিল শীতের তীব্রতা বাড়ছিল এবং আমাদের শরীরে একটা শিহরণ এর সৃষ্টি হচ্ছিল। গ্রামটাকে ক্রামেই রাতের আধাঁর গ্রাস করে নিচ্ছিলো। শেষ বিকেলে আকাশে দেখা যাচ্ছিল দলবদ্ধ ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি। পাখি গুলো সব ফিরছিল তাদের ঘরে। কী সুন্দর ছিল সেই দিনগুলো। ঐরকম বিকেল একটা সময় আমার কাছে ছিল একেবারে সাধারণ। কিন্তু এখন আমার পুরো বিকেলটা কাটে একটা বদ্ধ ঘরে চার দেয়ালের মাঝে। আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে যাওয়া বিকেল এবং মানুষ কখনোই ফিরে আসে না। তবে তারা মনে থেকে যায় আজীবন।



সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



IMG-20231027-WA0008.jpg

Facebook
Twitter
You Tube



অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।


আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।





Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

Banner(1).png

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovUdcufHKutmnDv7XmQqPrB8fBXG7kzXLfFggSC6SoPdYYQg44yvKzFDWktyjCspTTm5NVQAdTm7UoN34AAMT6AoF.gif



Heroism_Second.png


1000561739.png