পেছনের গল্প( পর্ব: ২৫ )!!

in আমার বাংলা ব্লগ4 days ago


আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ বুধবার, ২৩ ই জুলাই,২০২৫।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে


1000583452.jpg


পিকনিক শব্দটা বাঙালি ছেলেমেয়েদের কাছে খুবই পছন্দের। এটার মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে অনেক আবেগ অনেক সুন্দর সব মূহূর্ত। যখনই শব্দটা আমরা শুনতে পাই মূহূর্তের জন্য আমরা ফিরে যায় আমাদের সেই অতীতে। না এখনকার মতো ঐ দোকান থেকে কিনে নিয়ে আসা বিরিয়ানির মতো পিকনিক না। আমাদের সময় ওসব ছিল না। আমরা তো নিজেরাই রান্না করতাম। ২০২১ সালের শেষের দিকের কথা। সময় টা এমন হয়ে গেল আমরা এলাকার কয়েকজন বন্ধু এবং বড় ভাই মিলে প্রতিমাসেই একদিন পিকনিক করতাম। বেশ মজা হতো। আমাদের পিকনিকের মেন‍্যু ছিল ফিক্সড বাসমতি চালের খিচুড়ি এবং দেশী মুরগির মাংস। সাথে আনুসঙ্গিক আরও কিছু ছিল। তবে এটাই ছিল আসল মেন‍‍্যু।

২০২১ এর ডিসেম্বর মাস চলছে। শীতটা বেশ ভালোভাবে পড়তে শুরু করেছে। তখন প্রতিদিন রাতে আমরা ব‍্যাডমিন্টন খেলি। তো ১৪ ডিসেম্বর রাতে আমরা কয়েকজন ঠিক করলাম একটা পিকনিক করা দরকার যেমন কথা তেমনই কাজ। তখনই সবাই মিলে সবকিছু ঠিক করে ফেললাম। পিকনিকের চাঁদা হবে ২০০ টাকা। পিকনিক টা হবে ১৬ ডিসেম্বর রাতে। পরিকল্পনা অনুযায়ী টাকা সংগ্রহ করা হলো। সদস্য সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ালো ১৪-১৫ জন এর মতো। যাইহোক ১৬ ই ডিসেম্বর আমি এবং আমার এলাকার এক বড় ভাই আকাশ দুজন চলে গেলাম বাজারে। লিস্ট মিলিয়ে সবকিছু কিনে নিয়ে চলে আসলাম। রাতে রান্না শুরু হবে। সেই অনুসারে দিনেই বেশ কিছু জিনিসের ব‍্যবস্থা করে রাখলাম। যেমন মুরগি গুলো পরিষ্কার করা মশলা তৈরি করে রাখা কাঠ যোগার করে রাখা এসব আর কী।


1000583453.jpg

1000583455.jpg

1000583454.jpg

1000583456.jpg


রাত ৮ টার দিকে রান্না শুরু হলো। প্রথমেই আমরা খিচুরি রান্না করলাম। আমাদের বড় ভাই আকাশ রান্নায় বেশ উস্তাদ। আমাদের পিকনিকে রান্নার দায়িত্ব সবসময়ই উনার উপরেই যেত। একদিকে আমরা কয়েকজন রান্না করছিলাম এবং অন্য রা খেলছিল। সবকিছু চলছিল একই সঙ্গে। ১৫ জনের জন্য আমরা ৪ কেজি চাউল রান্না করেছিলাম। এবং ৪ কেজি দেশী মুরগি ছিল। আগেই মুরগির মাংস আমরা মশলা এবং লেবু দিয়ে মেরিনেট করে রেখে দিয়েছিলাম। মাংস রান্না যখন শুরু হলো তখন প্রায় সাড়ে নয়টা বাজে। ঐসময় আমি নিজেও গিয়ে দুই টা গেমস খেললাম। শীতের সময় গ্রামে রাত দশটা মানে অনেক বড় একটা সময়। ঐসময় সাধারণত কেউ জেগে থাকে না বললেই চলে। সবমিলিয়ে আমাদের রান্না যখন শেষ হলো তখন রাত এগারো টা এর বেশি বাজে।

আমরা সবাই খেতে বসে গেলাম। খেলার তখন বিরতি শুরু হলো। আমাদের মধ্যে দুইজন পরিবেশন করছিল। সত্যি বলতে শীতের রাতের ঐ দেশী মুরগির মাংস এবং খিচুড়ির স্বাদ এখনও আমার মনে আছে। সেই কথা চিন্তা করলে এখনও আমার জিভে পানি চলে আসে। আমরা শুধু খেতাম না। সবাই মিলে আড্ডা দিতাম সাথে খাওয়া চলতো। আহ কী অসাধারণ ছিল সেই দিনগুলো। সেই সোনালী দিনগুলো এখন অনেক মিস করি। আমার প্রায় একবছরের বেশি সময় এলাকা ছেড়েছি। আমার আরও কিছু বড় ভাই এখন অন্য শহরে থাকে। তারপর থেকে ঐভাবে আর পিকনিক হয়নি শেষ একবছরে। এখন আফসোস হয় ইস সেই সময় টা যদি আবার ফিরে পেতাম।



সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



IMG-20231027-WA0008.jpg

Facebook
Twitter
You Tube



অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।


আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।





Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

Banner(1).png

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovUdcufHKutmnDv7XmQqPrB8fBXG7kzXLfFggSC6SoPdYYQg44yvKzFDWktyjCspTTm5NVQAdTm7UoN34AAMT6AoF.gif



Heroism_Second.png


1000561739.png


Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.