পেছনের গল্প( পর্ব: ২৭ )

in আমার বাংলা ব্লগ6 days ago


আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ মঙ্গলবার, ২৯ ই জুলাই,২০২৫।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে


1000583465.jpg


লেখাপড়ার পাশাপাশি আমাদের স্কুল খেলাধুলা সহ অন‍্যান‍্য কারিকুলামে ছিল উপজেলার সেরা। আমাদের স্কুলের রেড ক্রিসেন্ট টিম ছিল স্কাউট ছিল এবং খেলাধুলার জন্য আলাদা করে দল ছিল প্রতিটা বিভাগের জন্য যেমন ক্রিকেট ফুটবল। এইজন্য শুরু থেকেই দেখতাম জাতীয় দিবসগুলোতে যে কুজকাওয়াজ হয় সেটাতে আমার স্কুল সবসময় প্রথম অবস্থানেই থাকতো। এবং আমাদের লড়াই করতে হতো গার্লস স্কুলের সাথে। এটা হয়তো প্রতিটা শহরেরই গল্প। আমি ক্লাস সিক্স থেকেই রেড ক্রিসেন্ট এর সাথে যুক্ত ছিলাম। এইজন্যই জাতীয় দিবসগুলোতে যেমন স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবসে কোনদিন ছুটি পাইনি। আমরা চলে যেতাম উপজেলা মাঠে। ওখানে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা থাকতো কুজকাওয়াজ থাকতো সেগুলো তে আমাদের অংশগ্রহণ করা লাগতো।

ঐসময় এটা আমার কাছে কিছুটা বিরক্ত লাগতো। মনে হতো না ঐটা ছুটির দিন আমি কেন এসব করব। কিন্তু যখন স্কুলটা শেষ করলাম ধারাবাহিকভাবে আমি এটার গুরুত্ব বুঝতে পারলাম। গুরুত্ব বুঝতে পারলাম বলতে জিনিস গুলো মিস করতে শুরু করলাম। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস। বিজয় দিবসের আগে। শুনলাম এবার নাকী এসব কার্যক্রম উপজেলা মাঠে না আমাদের স্কুল মাঠে হবে। প্রশাসন এমনটাই ঠিক করেছে। কথাটা শুনে নিজের মধ্যে বেশ একটা আগ্রহ তৈরি হলো। আমি আমার বন্ধু লিখনকে বললাম চল আগামীকাল স্কুল মাঠে গিয়ে এগুলো দেখে আসি। লিখন আমার কথায় রাজি হয়ে যায়। ১৬ ডিসেম্বর খুব ভোরে আমি ঘুম থেকে উঠে তৈরি হয়ে বের হয়ে যায়। এবং লিখনকে ফোন দেয়। যথারীতি ঘুমন্ত লিখন আমার ফোন ধরে না।


1000583468.jpg

1000583467.jpg

1000583469.jpg

1000583466.jpg


কোন উপায় না দেখে আমি নিজেই হাঁটা শুরু করি স্কুলের দিকে। বেশ কিছুটা হেঁটেছি। তক্ষণাৎ লিখন ফোন দিয়ে বলে ইমন আমি আসছি তুই কোথায়। লিখন ওর বাবার বাইক নিয়ে চলে আসে। আমরা স্কুলে চলে যায়। যথারীতি গিয়ে দেখি অনেক মানুষের ভীড়। বাইকটা একটু দূরে রেখে আমরা স্কুলের মধ্যে যায়। আশ্চর্যের ব‍্যাপার স্কুলের মধ্যে গিয়েই আমাদের দেখা হয়ে যায় আমাদের এক স‍্যারের সাথে। উনার সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে আমরা স্কুলের মাঠে চলে যায়। যেখানে সবাই তাদের কুজকাওয়াজ প্রদর্শন করছিল। আমাদের স্কুলের ছেলেদের টা বরাবরই সেরা হয়। এবারেও ভালো হয়েছিল কিন্তু আমাদের সময়ের ব‍্যাপারটা ছিল আলাদা। কুজকাওয়াজ শেষ করে আসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সময়।

গার্লস স্কুলের মেয়েরা বরাবরই নৃত্য পরিবেশন করলেও আমাদের স্কুল চেষ্টা করতো ভিন্ন কিছু করতে। এবারও সেরকমই কিছু উপস্থাপন করেছিল। সব কিছু শেষে আসে বিভিন্ন বিভাগে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করার সময়। যদিও এখন আমরা অংশগ্রহণ করিনি। কিন্তু তারপরও বুকের মধ্যে একটা কেমন জানি করছিল। মনে হচ্ছিল নিজের স্কুলটা যেন সব বিভাগে প্রথম হয়। এবং সেটাই হয়েছিল। আমাদের স্কুল মাধ‍্যমিক পর্যায়ের সব বিভাগে সফল হয়েছিল। স্কুলের সব ছাএরা বেশ উৎযাপন করেছিল এই জয়টা। আমরাও ওদের সাথে সামিল হয়েছিলাম। এবং ওখানে গিয়ে আমাদের আরও কিছু বন্ধুদের সাথেও দেখা হয়ে গিয়েছিল। সবমিলিয়ে দারুন কেটেছিল আমাদের দিনটা।



সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



IMG-20231027-WA0008.jpg

Facebook
Twitter
You Tube



অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।


আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।





Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

Banner(1).png

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovUdcufHKutmnDv7XmQqPrB8fBXG7kzXLfFggSC6SoPdYYQg44yvKzFDWktyjCspTTm5NVQAdTm7UoN34AAMT6AoF.gif



Heroism_Second.png


1000561739.png


Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.