পেছনের গল্প( পর্ব-১৮ )।।

এমন একটা দৃশ্য এমন একটা মূহুর্ত কল্পনা করুন তো আপনি সকালে ঘুম থেকে উঠেই যখন সামনে তাকাবেন দেখবেন পুরো মাঠ জুড়ে ফুটে আছে শাপলা ফুল। সাদা রঙের শাপলা ফুল সকালের মিষ্টি রোদে উকি মারছে। তাহলে আপনি ঠিক কেমন অনূভব করবেন। মূহুর্ত্তের মধ্যে আপনার মন ভালো হয়ে যাবে।না শাপলা ফুল দেখতে আমার মাইলের পর মাইল পথ পাড়ি দিতে হতো না। যেতেত হতো না দূরে কোথাও। আমার বাড়ির সামনেই ফসলের মাঠ। বর্ষাকালে যখন মাঠে পানি আসতো পুরো মাঠ জুড়ে ফুটে থাকত শাপলা ফুল। এবং সেই ফুল দেখে যে কেউ মুগ্ধ হয়ে যেত। এগুলো আমার কাছে একেবারেই সাধারণ একটা দৃশ্যপট ছিল। তবে এখন এগুলো অনেক মিস করি। এখন তো চাইলেও দেখতে পারি না এসব।

বছর চারেক আগে। এক শুক্রবারের কথা। তখন সকাল সাড়ে দশটা মতো বাজে। আমার করার সেরকম কিছু ছিল না। সময় একেবারেই কাটছিল না। হঠাৎ আমি আমার দুই এলাকার ছোট ভাইয়ের সাথে চলে গেলাম মাঠের মধ্যে। মাঠে তখন অনেক পানি। মাঠে ফুটে আছে শাপলা ফুল। বর্ষার পানিতে মাঠে অনেক মাছ হয়েছে। সেই মাছ ধরার জন্য অনেকেই জাল পেতে রেখেছে মাঠে। কোন কোন জালে মাছ আটকা পড়ে লাফালাফি করে যাচ্ছে। মাহির এবং মাহিন ওরা আমার থেকে বয়সে অনেক টাই ছোট। তবে ছোটদের সাথে আমার সম্পর্কটা আগাগোড়াই বেশ ভালো ছিল। এইজন্যই আমি বলতেই ওরা আমার সাথে মাঠে চলে যায়। মাঠে যাওয়ার পরে এমন উন্মুক্ত দৃশ্য দেখে আমি বেশ উৎফুল্ল অনূভব করছিলাম।

---

---

মাহির এবং মাহিনকে বললাম কেউ একজন গিয়ে কয়েকটা শাপলা ফুল তুলে নিয়ে আই। আমার কথা শুনে ওরা পানিতে নেমে যায়। গ্রামের ছেলেরা এগুলোতে বরাবরই বেশ অভ‍্যস্ত। বেশ কয়েকটা শাপলা ফুল তুলে নিয়ে আসে ওরা দুজন। শাপলা ফুলগুলো আমি হাতে নিয়ে ফটোগ্রাফি করেছিলাম অনেক গুলো। গ্রামের এই মাঠটাই একটা সময় আমি নিজেও অনেক শাপলা তুলেছি। বর্ষার সময় বরশি দিয়ে মাছ ধরেছি। তবে আমি কখনোই একজন দক্ষ মাছ শিকারী ছিলাম না। মূলত অন‍্যদের থেকে কৌতূহল থেকেই মাছ ধরতে যেতাম। গত কয়েকবছর আর ঐ মাঠে সেরকম পানি একেবারেই হয়নি। তবে গতবছর আবার পানি হয়েছিল মাঠে এবং সেটা অতিরিক্ত পর্যায়ে।

এই মাঠটা এখনও ঐরকমই আছে। এবার পানি হয়েছে কীনা অথবা ঠিক কতটা পরিমাণ হয়েছে সেটা জানা নেই। যেরকম বৃষ্টি শুরু হয়েছে পানি বৃদ্ধি পেতে খুব বেশি সময় লাগবে না। যদিও এতে কোন লাভ নাই। হয়তো এখন আর ঐভাবে মাঠে নামা হবে না। থূর থেকেই এমন দৃশ্য দেখতে হবে। সময়ের সাথে বদলে যায় সব। আমাদের ইচ্ছা আমাদের শখ আমাদের কাজের ধরন সবকিছু। তবে আমাদের অনূভুতিরা থাকে অপরিবর্তিত। সবকিছুর বেড়াজালে আমরা আটকে গেলেও অনূভুতি রা ছাড়া পেতে চাই ছুটে যেতে চাই।

---

---

সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।

---

---

Facebook
Twitter
You Tube

---

---

অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।

---

আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।

---

---

---

---

---

---

---

---