ভালোবাসার কুড়েঘর
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আসলে একটা কথা রয়েছে যে, ভালোবাসা থাকলে কোনো কিছুর ই দরকার হয় না। কিন্তু আমি মাঝেমধ্যে এই প্রশ্নটা আমার নিজেকে করলে আমি হয়তো উত্তর পাই, কখনো পাই না। কারণ কিছু কিছু ব্যাপার রয়েছে যে, সত্যিই অনেক সময় কুড়ে ঘরে হয়তো আমরা থাকতে পারবো না। আবার অনেক সময় এটা ভাবি যে, ধরুন আমি অনেক বড় কোনো দালান কোঠায় রয়েছি। কিন্তু সেখানে আমার জন্য কোথাও কোনো ভালোবাসা নেই। অর্থাৎ আমার সব প্রয়োজন ঠিকই হয়তো সকলে পূরণ করছে। কিন্তু আমাকে ভালোবাসার কোনো মানুষ নেই। তবে কি সেখানে আমি অনেকদিন থাকতে পারবো কিংবা সেখানে কি আমি সারা জীবন থাকতে পারবো? তখন ও আসলে আমার উত্তর হয় যে, আমি কখনোই আসলে সেখানে সারা জীবন থাকতে পারবো না।
কারণ শুধুমাত্র জৈবিক চাহিদা ই একমাত্র চাহিদা নয়। আমাদের মানসিক যে চাহিদা থাকে কিংবা আমাদের মন বলে যেই জিনিস রয়েছে। সেটাকে আসলে আমরা খুব কম গুরুত্ব দেই, এটা ঠিক।কিন্তু একটা সময় এসে এটাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয় এবং আমাদের যদি একবার মন খারাপ হয়ে যায় কোনো কিছুর প্রতি কিংবা আসলে আমরা যদি একা হয়ে পডরি মানসিকভাবে। তখন আসলে পৃথিবীর সব সুখ আমাদের এনে দিলেও আমরা ভালো থাকবো না।
আর এ কারণে আসলে আমি শেষ পর্যন্ত এই সিদ্ধান্তে আসতে পারি যে, ভালোবাসা থাকলে কুঁড়েঘরে থেকেও শান্তি পাওয়া সম্ভব। কিন্তু যেখানে ভালোবাসা নেই, সেখানে আসলে কুঁড়েঘরে কেনো, কোনো দালানকোঠাতেও শান্তি পাওয়া সম্ভব নয় এবং এই কারণেই সবকিছুর ঊর্ধ্বে আগে ভালোবাসাকে প্রায়োরিটি দেওয়া উচিত। তা না হলে আমরা কখনোই ভালো থাকতে পারবো না। আর এটার আসলে আমরা চারপাশে অনেক প্রমাণ দেখে থাকি, অনেক প্রমাণ পাই। তাই এটার সাথে দ্বিমত পোষণ করার কোনো জায়গা আমি মনে করি না আছে।
