খুশি রাখতে মাঝেমধ্যে কিছু ব্যবস্থা
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
মানুষের সম্পর্ক যত পুরনো হয়, তত গভীর হয়। এটা যেমন ঠিক ঠিক। তেমন তাই আবার অনেক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই কথাটাও সঠিক হয় যে, কিছু কিছু সম্পর্ক যতো পুরনো হয়, ততো বেশি দূরত্ব বেড়ে যায় এবং দূরত্ব বাড়ার জন্য শুধু একটি মাত্র কারণ দায়ী নয় এবং আমি আজকে আমার পোস্টে যে বিষয়টি নিয়ে কথা বলছি, দূরত্ব সৃষ্টি করার জন্য যে শুধুমাত্র এইটাই একমাত্র মুখ্য কারণ এমনটা নয়। তবে আমার কাছে মনে হয়েছে যে এটাও একটা কারণ হতে পারে। তাই ভাবলাম যে আপনাদের সাথে একটু শেয়ার করি।
আমাদের ভালোবাসার মানুষদেরকে আমরা খুশি করতে অনেক কিছুই করি। কিন্তু বেশিরভাগ সময় যেটা হয় সেটা হলো আমরা আমাদের ব্যক্তিগত ঝামেলা এবং দৈনন্দিন কাজের প্রেসারে এতোটাই ডুবে যাই যে প্রিয় মানুষকে যে একটু খুশি করতে হবে, তাকে একটু ভালোবাসতে হবে। তার জন্য স্পেশাল কিছু করতে হবে। এই ব্যাপারগুলো আমরা বেমালুম ভুলে যাই এবং এখান থেকেই ধীরে ধীরে করে দূরত্ব সৃষ্টি হতে থাকে।
আর এই দূরত্বটা ঘোচানোর জন্য আমার কাছে মনে হয় যে, আমরা যদি ছোট ছোট অকেশনগুলোতে আমাদের প্রিয় মানুষদেরকে নিজেদের সাধ্য অনুযায়ী কোনো কিছু গিফট করি। তাহলে তাদেরকে অনেক বেশি খুশি রাখা সম্ভব। কারণ আমরা মানুষ হিসেবে কোনো উপহার পেতে সবাই অনেক ভালোবাসি এবং উপহার পেলে সবারই ভালো লাগে। তাই আপনি যখন বিভিন্ন অকেশনে আপনার প্রিয় মানুষটাকে ছোট ছোট উপহার দেওয়ার মাধ্যমে খুশি করার চেষ্টা করবেন। এবং তখন যখন সে আপনার এফোর্ট গুলো দেখবে। তখন সে আসলে নিজের অজান্তেই আপনার প্রতি আরো বেশি আকর্ষিত হবে। আপনাকে আরো বেশি ভালোবাসবে।
কারণ সে দেখবে যে আপনি আপনার হাজার ব্যস্ততার মাঝেও তাকে কিভাবে খুশি করতে চাচ্ছেন। আর এটাই তাকে খুশি করার জন্য যথেষ্ট বলে আমার মনে হয়। সব ক্ষেত্রে যে কোনো কিছু জিনিসই গিফট করতে হবে এমনটা নয়। আপনার একটা মুহূর্ত আপনার প্রিয় মানুষের জন্য উপহার হতে পারে।
