শৈশবের একুশে ফেব্রুয়ারি
একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এই দিবসটি ঘিরে আমাদের বাংলাদেশসহ পুরো বিশ্বে নানান ধরনের কর্মসূচি পালিত হয়। ঠিক তেমনিভাবে আজ থেকে অনেক বছর আগে যখন আমি অনেক ছোট ছিলাম তখনও কিন্তু বাংলাদেশে একুশে ফেব্রুয়ারিকে শহীদদের স্মরণে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হতো তাদেরকে। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হতো এবং তাদের জন্য দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হতো।
তখন অনেক ছোট ছিলাম এত কিছু বুঝতাম না তবে এতটুকু বুঝতাম, একুশে ফেব্রুয়ারিতে সবাই মিলে শহীদ মিনারে গিয়ে ফুল দিতে হয়। ঠিক তেমনিভাবে আমাদের এলাকার কিছু বন্ধুবান্ধব মিলে প্রতি একুশে ফেব্রুয়ারিতেই আমরা বিভিন্ন ধরনের ফুল শহীদ মিনারে দিয়ে আসতাম। সেটা একটা আনন্দঘন মুহূর্ত।
বর্তমানে আমাদের এলাকাতে তেমন কোন ফুলের বাগান নেই তবে অতীতে কয়েকটি বাগান ছিল এবং আমরা একুশে ফেব্রুয়ারির আগের রাতে কয়েকজন বন্ধু মিলে সেই সব বাগান থেকে ফুলচুরি করতাম। পরবর্তীতে নিজেরাইই সেই ফুলগুলো দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ফুলের তোড়া তৈরি করতাম। আমরা সাধারণত ৫-৬ জন ছিলাম। পাঁচ ছয় জন পাঁচ ছয়টা ফুলের তোড়া তৈরি করতাম এবং খুব ভোরবেলা যখন আমাদের স্কুল থেকে শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়া হত তখন আমরা নিজ নিজ ফুলের তোরা গুলো শহীদ মিনারে দিয়ে আসতাম। সেই যে ভালোলাগা এবং ভালোবাসার একটা অনুভূতি সেটা আসলে বর্তমানে খুজে পাওয়া অনেক কঠিন।
শৈশবের একুশে ফেব্রুয়ারি মানেই ছিল একটি বড় আনন্দ এবং উৎসবঘন মুহূর্ত। যেই সময়টাতে আমরা বন্ধু-বান্ধব মিলে অনেকটাই এনজয় করতাম। হয়তো হাতে খুব একটা বেশি টাকা পয়সা ছিল না তবে আনন্দ অনেক বেশি ছিল। একুশে ফেব্রুয়ারিতে কি আপনারাও এরকম কিছু করেছেন? তাহলে অবশ্যই মন্তব্যে জানাতে পারেন। আজকের মত এখানেই শেষ করছি, আপনার ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।