ক্ষমা করা মহৎ গুন
আমাদের এই ছোট্ট জীবনে আমরা কত কিছুই না করে থাকি। বিভিন্ন সময়ে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য অনেক ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করি। মাঝে মাঝে আমাদের থেকেও অনেক বড় বড় ভুল হয়ে যায় আবার কেউ কেউ আমাদের সাথে ভুল করে নিজেই অনুতপ্ত হয়ে যায় এ সকল মানুষদেরকে ক্ষমা করে দেওয়া উচিত। আমরা সকলেই জানি ক্ষমাই একটি মহৎ গুণ এবং এই ক্ষমা যিনি করে তিনি অনেক মহান মনের মানুষ বলে বিবেচিত হয়। ক্ষমা করলে মনের মধ্যে নিজস্ব একটি প্রশান্তি কাজ করে যেটা আসলে এভাবে অনুভব করা যাবে না। বরং যদি আপনি কখনো কাউকে ক্ষমা করে থাকেন তখন এই সেই অনুভূতিটা অনুভব করতে পারবেন।
জীবনে আমরা যাই করি না কেন আমাদের জীবনের একটি লক্ষ্য থাকা উচিত এবং সেই লক্ষ্যের ক্ষেত্রে আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের বাধা-বিপত্তি দেখতে পারি ঠিক যেমনটা আমার চাকরি জীবনে একটা অভিজ্ঞতা হয়েছিল। আমার সিনিয়র এক স্যার সব সময় আমার সাথে বিভিন্ন ধরনের বাজে ব্যবহার করত কিন্তু যখন আমি চাকরি ছেড়ে দিলাম তখন কেন জানি তার চেহারাটা একটু অন্যরকম মনে হলো এবং আমাকে ডেকে একটু বিভিন্নভাবে ক্ষমা চাওয়ার মত বিভিন্ন কিছু কথাবার্তা বলতে থাকলো। বিশেষ করে আমারও অনেক বেশি খারাপ লেগেছিল কিন্তু তিনি আমার সিনিয়র স্যার ছিলেন। আমার সাথে নির্যাতন করেছিলেন সে সকলের জন্য তিনি অনুতপ্ত হয়েছিল, এই বিষয়টা তখন আমি ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছিলাম।
তবে এটা ঠিক আমি আমার মনের মধ্যে কারো জন্যই কোন কিছু রাখি না। আমি জানি যদি সেও আমার প্রতি রাগান্বিত হয়ে থাকে কিংবা আমার কোন ক্ষতি করে থাকে তারপরও আমি সবাইকে ক্ষমা করে দেওয়ার চেষ্টা করি। কারণ ক্ষমা করে দিলে মনটা অনেক হালকা হয়ে যায়। প্রতিশোধের জন্য কোন মনের মধ্যে খোপ থাকে না, তার থেকে বড় হওয়ার একটা আকাঙ্ক্ষা থাকে না। শুধুমাত্র আমি আমার নিজের জন্য বাঁচি। নিজের পরিবারের জন্য বাঁচি। এর জন্য আমার যা করা দরকার সৎ পথে থেকে সেটাই করে যাওয়ার চেষ্টা করি এবং আমার জীবনে বা লক্ষ্যের পর্যায়ে যেসব মানুষেরা আমার ক্ষতি করেছে আমি নির্দ্বিধায় সকলকে ক্ষমা করে দেওয়ার চেষ্টা করি।