শৈশবের ঈদ আনন্দ
শৈশবের ঈদ আনন্দ শুরু হতো ঠিক রোজার মাস থেকে। রোজা আসার পর থেকেই একটা আলাদা ঈদের আনন্দ কাজ করতো। এইতো আর কয়েকটা রোজার পরেই ঈদের আনন্দ উদযাপিত করব। এই যে একটা আবেগ কিংবা একটা অনুভূতি এটা কিন্তু ঈদের আনন্দের চেয়েও অনেক বেশি আনন্দঘন মুহূর্ত সৃষ্টি করে। যেটা আমরা সকলেই ছোটবেল করেছি।
শৈশবের ঈদ আনন্দ ছিল এক অন্যধরনের আনন্দঘন মুহূর্ত যেখানে অন্য কোন টেনশন ছিল না, ছিল কোন ধরনের বাধা। তখন সব স্কুল কলেজে বন্ধ থাকতো তাই পড়াশোনা নিয়েও আলাদা কোনো টেনশন ছিল না। শুধুমাত্র বন্ধুদের সাথে প্লান করতাম ঈদের সময় কোথায় কোথায় ঘুরতে যাব, কি কি কাজ করব, কোন কোন বাসায় যাব। আর ঈদের মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি ছিল সেটা হচ্ছে ঈদের সালামি। তো প্রত্যেকটা আত্মীয়-স্বজন বড় মানুষদেরকে আমরা ঈদের সময় সালামি করতাম এবং বিভিন্ন সালা আমি পেতাম এবং সেগুলো দিয়ে পরবর্তীতে বিভিন্ন ধরনের জিনিস কিনতাম এবং পছন্দের জিনিসগুলো আর নিজের করে নেওয়ার চেষ্টা করতাম।
আমরা যখন ছোট ছিলাম ঈদে আমাদের মা-বাবারা খুব বেশি দূরে যেতে দিত না। তারাই আমাদের জন্য গাড়ি ঠিক করে দিত। আমরা সেই গাড়িতে করে বিভিন্ন জায়গায় যেতাম। স্বপ্নপুড়ি, নীল সাগরের মত বিভিন্ন পিকনিক স্পটে গিয়ে ঘুরে আসতাম। ঈদের দুই দিন বা তিনদিন পরে এই বিষয়টা ছিল ঈদের আনন্দের একদম শেষ মুহূর্ত। এরপর থেকে এসেই পড়াশোনা কিংবা অন্যান্য কাজে আমরা মনোনিবেশ করতাম। সাধারণত ঈদের তিন দিন পরেই আমরা আমাদের ঈদ শেষ করতাম। যেটা শুনলে এখন হয়তো অনেকটাই হাসি পায়। আপনারা ঈদের আনন্দ কিভাবে কাটিয়েছেন তা অবশ্যই মন্তব্য জানাতে পারেন। আজকের মত এখানেই শেষ করছি আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।
Las buenas experiencias se vuelven inolvidables cuando se comparten sanamente con la familia y amigos entrañables.
Feliz y venturoso día..!