গভীর বন্ধুত্ব

আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।

IMG_0378.jpeg


আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

কিছু কিছু বন্ধুত্ব দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। কারণ পৃথিবীতে বন্ধুত্ব এমন একটি শব্দ কিংবা এমন একটি সম্পর্ক। যেখানে স্বার্থের আগে সম্পর্ক আসে। যেমন আমরা যেকোনো পারিবারিক সম্পর্কের দিকে যদি তাকাই। সেখানে আসলে সম্পর্কে রাখে সবসময় শুধু মাত্র মা বাবা এই ধরনের সম্পর্ক গুলো ছাড়া। অর্থাৎ স্বার্থ বাদে আমাদেরকে কেউ কখনো ভালোবাসবে না। আর বিশেষ করে তা যদি কোনো আত্মীয়-স্বজনের ব্যাপার হয়। তাহলে তো একেবারেই না। অর্থাৎ অনেক বেশি স্বার্থ দেখা যায় প্রতিটি সম্পর্কে।

কিন্তু কতোটা গভীর সম্পর্ক হলে এক বন্ধু আর অন্য বন্ধুর জন্য জীবন দিয়ে দেয়। সেটা সত্যিই আমার মাথায় আসে না। যেমন কয়েকদিন আগেই একটা ঘটনা ঘটেছে। অর্থাৎ খুব রিসেন্ট ঘটনা বলা চলে। সেখানে এক বন্ধু বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হওয়াতে অন্য তিন বন্ধু প্রাণ দিয়ে দেয়। শুধুমাত্র এই বন্ধুটিকে বাঁচানোর জন্য এবং শেষ পর্যন্ত ওই বন্ধুটি বাঁচে।কিন্তু বাকি তিনজন একের পর এক মারা যেতে থাকে। কারণ ওই যে একজন বাঁচাতে গিয়েছে সে বিপদে পরেছে। এরপর আরেকজন বাঁচাতে গিয়েছে এভাবে করে তিনজন মারা যায়, একেবারে স্পট ডেট।

এ ধরনের বন্ধুত্ব দেখা সত্যিই অনেক বেশি ভাগ্যের ব্যাপার। কারণ বর্তমানে যে বন্ধুত্ব আমরা দেখি। সেটা একেবারেই স্বার্থের উপরে নির্ভরশীল। অর্থাৎ স্বার্থ তো না থাকলে সেখানে কোনো বন্ধুত্ব নেই। তাই এই স্বার্থপর দুনিয়ায় এবং এই স্বার্থপর যুগে এসেও যে এরকম বন্ধুত্ব দেখতে পাওয়া যাবে। তাকে আমি ভাগ্য ছাড়া আর কিছুই ভাবি না।কারণ এখন প্রতিটি সম্পর্কের মতো বন্ধুত্ব এর স্বার্থ জড়িয়ে গিয়েছে। যেটা সত্যি আমি একেবারে নিতে পারি না। কারণ বন্ধুত্ব হওয়া উচিত নিঃস্বার্থ। কারণ অন্তত আমি তো সেভাবেই ভাবি। আসলে আমরা সবসময় নিজেরা কিভাবে ভাবি অন্যরা সেভাবে না ও ভাবতে পারে। কিন্তু আমরা আসলে সেটা আশা করি না এবং যেটা আশা করি না, সেটাই যখন আমাদের সাথে ঘটে তখন খারাপ লাগে।

ABB.gif