ছোটদের দোষ!
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আজকে আমি এমন একটি ব্যাপার নিয়ে লেখালেখি করতে এসেছি। এই ব্যাপারটি নিয়ে হয়তো আমরা সব সময় উল্টোটা বুঝি কিংবা নিজেদের দোষ থাকতে সব সময় উল্টোটা বলি। কিন্তু আসলে আমরা যতোই মিথ্যে বলি না কেনো কিংবা আমাদের নিজেদের দোষ ঢাকতে চাই না কেনো। কিন্তু তাই বলে কি আমরা নির্দোষ হয়ে যাবো? কখনোই নয়। ঠিক তেমন একটি ব্যাপার হলো, কোনো ছোট বাচ্চা যখন গালাগালি করে। তখন আমরা তাদের দোষ দেই। অর্থাৎ এটাই বলি যে, তার দোষ কিংবা সে যেটা করছে সেটা ভালো নয়।
কিন্তু এটা আমরা আসলে ভাবি না যে, ওই বাচ্চাটি ওই খুব খারাপ ব্যাপারগুলো কোথা থেকে শিখছে!অর্থাৎ এটা আমরা কোনোভাবেই স্বীকার করতে চাই না যে, ওরা আমাদের কাছ থেকেই ওই খারাপ ব্যাপারটি শিখেছে কিংবা শিখছে।কারণ একজন ছোট বাচ্চা তা ই শিখে, যা সে অন্যদের কাছে দেখে।এখন তাই তারা যদি খারাপ কিছু করে। তবে তাদের দোষ দিলেই যে আমাদের দোষ কমে যাবে, এমন কিছুই নয়।কারণ তাদের কোনো দোষ নেই।
তাই ছোটদের দোষ দেওয়ার আগে আমাদের একবার অন্তত ভাবা উচিত যে, ওই ছোটবাচ্চাটি যখন কোনো অন্যায় করছে।সে অন্যায় কিন্তু শুধু তার নয়!ওই অন্যায় আমি কখনো না কখনো করেছি বলেই বাচ্চাটি সেই অন্যায়টি আজকে করেছে কিংবা ভবিষ্যতে করবে।তাই বাচ্চাদের ভালো অভ্যাস গড়ে তুলতে চাইলে আগে আমাদের ভালো হতে হবে।কারণ যেখানে আমরা ভালো নই।সেখানে আসলে বাচ্চারা ভালো হবে এমন আশা করাটাও খুব বোকামী বলেই আমি মনে করি।আর এ কারণেই ছোটদের সামনে সবসময় নিজেদের সংযত রাখা দরকার।কারণ আমরা যা করবো তার প্রতিফলন ঘটবে তাদের জীবনেই।কারণ আমরা ই তাদের প্রথম শিক্ষক।এটা আমরা যতো দ্রুত বুঝতে পারবো ততোই বাচ্চাগুলো মানুষ এর মতোন মানুষ হতে পারবে।