শক্তির যোগান নেই!
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
একটা ব্যাপার খেয়াল করবেন, আমরা বর্তমানে যতো বড় হচ্ছি। আমাদের বয়স যতো বাড়ছে, ততোই আমাদের শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিচ্ছে। যেটা আসলে যতো দিন যাচ্ছে, ততোই যেনো একেবারে আকাশ সমান হয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ আমাদের হাতে নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। কখনো কি ভেবে দেখেছেন কেনো আমাদের শরীর যতো দিন যাচ্ছে, ততো বেশি খারাপ হচ্ছে। এখন হয়তো অনেক মানুষ বলবে যে, বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্বাভাবিকভাবে শরীরের দুর্বলতা দেখা দিতে পারে। কিন্তু তাতেও একটা কিন্তু থেকেই যায়। আপনারা কি এখনো ধরতে পারছেন আমি আসলে কোন বিষয় সম্পর্কে বলতে চাইছি?
আসলে আমি এখানে বলতে চাইছি, আমরা সবসময় একটা ব্যাপার নিয়ে অনেক বেশি চিন্তিত থাকি এবং একটা ব্যাপার নিয়ে অনেক বেশি অভিযোগ জানাই যে, শরীরের শক্তি পাচ্ছি না কিংবা শরীরের দুর্বলতা কাজ করছে। এটা কিন্তু আমরা একবার ও ভেবে দেখি না যে, কেনো আসলে আমাদের শরীর এভাবে রিয়েক্ট করছে। অর্থাৎ আমাদের এই বয়সে যেহেতু অনেক বেশি শক্তি থাকার কথা। কেনো সেটা পাচ্ছিনা। আসলে মূল ব্যাপার হলো, আমাদের শরীরের শক্তির যোগান আমরা সেভাবে কখনোই আসলে দিচ্ছি না। কারণ আমরা ভেজাল খেতে খেতে ওই ভেজালেই আসক্ত বলা চলে।
যেহেতু আমরা খাবারের জন্য বেছে নিয়েছি খারাপ খাবার গুলো এবং যে খাবারগুলো আসলে শরীরের অপুষ্টির কারণ হবে। আমরা সেই খাবারগুলো বেছে নিচ্ছি। তখন স্বাভাবিকভাবেই আমরা শরীরের শক্তি যোগান দেওয়ার মতো কোনো খাবার কিংবা পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার খাচ্ছি না। যে কারণে আমাদের শরীর যতো দিন যাচ্ছে, ততো পুষ্টিহীনতায় ভুগছি। আর এই কারণে মূলত আমরা শরীরের শক্তি পাই না। আমাদের মনে হয় আমরা যদি খাদ্যাভ্যাস বদলাই এবং আমরা যদি একটা সুন্দর রুটিন এর মধ্যে আমাদের জীবন যাপন করি। তাহলে দেখা যাবে যে, আমরা আসলে খুব সুন্দরভাবে শরীরের শক্তি পাচ্ছি এবং সকল কাজেই দুর্বলতা লাগার ব্যাপারটি আর আসছে না।
আধুনিক যুগে আমরা সবাই কোনো না কোনোভাবে ভেজাল খাদ্য ও অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এর কারণে শক্তিহীনতায় ভুগছি। আপনি এই বিষয়টি যে স্বচ্ছভাবে উপস্থাপন করেছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়।
শরীরের শক্তির যোগান আমরা নিজেরাই বন্ধ করে দিচ্ছি, এই লাইনটি আমার কাছে সবচেয়ে গভীর অর্থবহ মনে হয়েছে।
আপনার লেখাটি শুধু তথ্য নয়, বরং এক ধরনের সতর্কবার্তা, যা আমাদের নিজেদের প্রতি সচেতন হতে শেখায়।