আত্মসমর্পণ
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আত্মসমর্পণ কয়েক অক্ষর এর একটি শব্দ। কিন্তু এই শব্দের গভীরতা কতো,সেটা হয়তো কোনো মানুষের পক্ষে মাপা সম্ভব নয়। কারণ আত্মসমর্পণ একটি শব্দ হলেও এটার পিছনে লুকিয়ে থাকে অনেক অনেক অজানা গল্প,অনেক অনেক অজানা তীব্র বেদনা যে বেদনার ভাগ হয়তো আমরা কাউকে দিতে পারি না। কিংবা যে বেদনার কারণ হয়তো আমরা। অর্থাৎ যে ব্যর্থতার কারণ হয়তো আমরা। সে কারণেই আমরা এই কষ্টের ভাগ অন্য কারো সাথে ভাগ করে নিতে না পারলেও। এই আত্মসমর্পণের যে কষ্ট সেটা আসলে সকল এর মধ্যেই থাকে।
কিন্তু একজন মানুষ হিসেবে যদি আমি আমার পারিপার্শ্বিক অবস্থা কিংবা পারিপার্শ্বিক ঘটনাগুলো নিয়ে বলি। একটা মানুষ দিনের পর দিন লড়াই করতে করতে একটা সময় এমন হয়ে দাঁড়ায় যে, সে আর লড়াই করতে পারে না। কিংবা সে আসলে আর লড়াই করতে চায়ও না। অর্থাৎ সে আসলে আত্মসমর্পণ করতে চায়। ব্যাপারটি এমন নয় যে তার মধ্যে লড়াই করার ক্ষমতা নেই কিংবা সে লড়াই করতে পারবে না। কিন্তু একটা সময় পরিস্থিতি এমন হয়ে দাঁড়ায় যে, লড়াই করতেই ইচ্ছা করে না। ওই মনোবল আর থাকে না। কারণ যখন মন ভেঙে যায়। তখন আসলে লড়াই করতে কারোরই ভালো লাগেনা।
আর মানুষ যখন মানুষ এর দেওয়া কষ্ট অপমান আর সহ্য করতে পারে না। তখন আসলে সে চায় যে, সে আত্মসমর্পণ করবে কিংবা সে চায় যে সে হয়তো এই সব কিছু ছেড়ে চলে যাবে। কারণ ওই যে বললাম, একটা সময় পর্যন্ত মানুষ লড়াই করতে পারে। তীব্র বেদনা সহ্য করতে পারে। কিন্তু একটা মানুষ কতোটা বেদনা সহ্য করতে পারে। সেটা হয়তো মানুষ ভেবে ভিন্ন হলেও একেবারে আজীবনের জন্য কিংবা অনেক সময়ের জন্য মানুষ সেটা আর পারে না এবং সেই সময়টাতে এসেই, সেই মাহেন্দ্রক্ষণে এসেই মানুষ আত্মসমর্পণ করে মানুষের কাছে। কিন্তু সে তার অনেক আগে আত্মসমর্পণ করে নিজের কাছে।কারণ নিজের কাছে আত্মসমর্পণ করে বলেই কিন্তু সে মানুষের সামনে নত হয়।