শহরের ব্যস্থতম অধ্যায়
শহর কিংবা গ্রাম আপনি যেখানেই থাকেন না কেন আপনাকে সংগ্রাম করে যেতে হবে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য কিংবা নিজের পরিবারের যেসব দায়িত্ব-কর্তব্য রয়েছে সেগুলো পালন করার জন্য। তবে যারা শহরে বসবাস করেন তাদের জীবনগুলো একটু বেশি রোবটিক হয়ে যায়। সময় মত অফিসে যেতে হবে, সময়ের কাজ সময় করতে হবে। সেখানে আপনার শরীর ভালো থাকলো কিংবা মন্দ থাকলেও এটা কেউ খোঁজ খবর করার মত কোন মানুষ থাকবে না, এটার নামই হচ্ছে ব্যস্ততম শহর।
বিগত ১০ বছর ধরে ঢাকা শহরে অবস্থান করছি। ঢাকা শহর যে একেবারেই খুব খারাপ একটি বিষয় তেমন কিন্তু নয়। তবে আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবেই অনেক খারাপ লাগে। তবে হাতের কাছে সবকিছু পাওয়া যায় এই ঢাকা শহরে। আবার ইন্টারনেটের কল্যানে দেশের যেকোনো স্থানে বসেই যে কোন পণ্য অর্ডার করে নিজের বাসায় নিয়ে আসা যায়। এই সুযোগ সুবিধা এখন আমরা পাচ্ছি। তাই আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যদি খুব বেশি একটা কাজ না থাকে তাহলে শহর কেন্দ্রিক হাওয়ার দরকার নেই।
আগে যখন চাকরি করতাম তখন সময় যে কতটা অমূল্য সম্পদ সেটা ভালোভাবেই বুঝে উঠতে পারতাম। ঠিকভাবে ৩-৪ ঘন্টাও ঘুমাতে পারতাম না। একদিকে জবের টেনশন, অন্যদিকে অনলাইন চাকরির বিভিন্ন ধরনের কাজ থাকে আবার নিজের পড়াশোনা গুলো সঠিকভাবে কন্টিনিউ করতে হয়। সবমিলিয়ে এতটাই হিমশিম খাচ্ছিলাম আর সময়ের যে ব্যবহারগুলো সঠিকভাবে করব সেটাই বুঝে উঠতে পারতাম না, এ শহরের ব্যস্ততাটা এমনই যাইহোক আজকের মত এখানেই শেষ করছি ধন্যবাদ।
শহরের রোবটিক জীবনের থেকে গ্রামীন জীবনে মানুষ সবচেয়ে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যে ও স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারেন। কাজেই, খুব বেশি প্রয়োজন না হলে শহরে বসবাস করাটাও আমার মতে যৌক্তিক নয়। আপনার জন্য দোয়া রইলো মহান সৃষ্টিকর্তা আপনার প্রতিটি মূহুর্তকে সহজ করে দিন।