রমজানে দানের মাহাত্ম্য
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
দান করা সব সময় অনেক ভালো ব্যাপার। তবে একজন মুসলিম হিসেবে রমজানে দান করার মাহাত্ম্য যে কতো বেশি সেটা আমরা সকলেই কম বেশি জানি। অর্থাৎ ধরুন আপনি কোথাও এক টাকা করে জমা রাখলেন। ৩০ দিন পরে অবশ্যই সেখানে ৩০ টাকা হবে। কিন্তু আপনি যদি রমজান মাসের হিসাব করেন আপনি যদি কোথাও এক টাকা দান করেন। তাহলে কিন্তু তা প্রতিদিন ৭০ গুণ হিসেবে অর্থাৎ ৭০ গুণ বেশি হিসেবে হবে। অর্থাৎ আমরা যদি রমজানে কোনো কিছু দান করি। তাহলে আমরা অনেক বেশি সওয়াব পাই। যেটা সাধারণত অন্যান্য সময় একটু কম পাই।
তাই আসলে রমজান মাসে আমি মনে করি আমাদের সকলের প্রতিদিন কিছু না কিছু দান সাদকা করা উচিত। কারণ দান ছাদকা না করলে আসলে আমাদের মধ্যে যে একটি মনুষত্ব রয়েছে। সেটা ধীরে ধীরে মরে যায়। কারণ আমরা যখন কোনো কষ্টে থাকা মানুষকে দেখি, আমরা যখন কোনো বিপদে থাকা মানুষকে দেখি, যখন আমরা কোনো মুমূর্ষ ব্যক্তিকে দেখি। তখন আমাদের মন কেঁদে ওঠে এবং সে কারণেই কিন্তু আমরা দান করি। অর্থাৎ সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টির জন্য এবং আমাদের সামনের মানুষ যেনো ভালো থাকে। অর্থাৎ যে কষ্ট রয়েছে সে যেনো ভালো থাকে, আমরা কিন্তু এই দুটি উদ্দেশ্যই দান করি।
এখন রমজান মাসে আমাদের সব সময় উচিত যে বেশি বেশি দান করার মন-মানসিকতা রাখা। কারণ তা নাহলে আসলে আমাদের নিজেদের মধ্যে এমন একটি ব্যাপার চলে আসবে। যেটা আসলে কখনোই আমরা দূর করতে পারবো না। অর্থাৎ আমরা সব সময় এভাবেই ব্যাপারটিকে ভাবতে থাকবো যে, দান করা একেবারে অপ্রয়োজনীয়। কিন্তু দান করা কখনোই অপ্রয়োজনীয় হতে পারে না এবং দান করার মতোন ভালো কাজ আর কিছুই হতে পারে না আর আমরা যদি রমজান মাসে দান করার মাধ্যমে অনেক বেশি সওয়াব লাভ করতে পারি। তাহলে কিন্তু আর কোনো কথাই নেই। কারণ সৃষ্টিকর্তা রহমতের দুয়ার খুলে দেন, জাহান্নামের দুয়ার বন্ধ করে দেন এই মাসটিতে। তাই অবশ্যই এই মাসটির মাহাত্ম্য আমাদের সকলের জানা উচিত।