জমা অভিমান ফানুস রূপে!
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
মানুষ এর জমা অভিমান নিয়ে যদি কথা বলি। তাহলে হয়তো আজকে লেখা শেষ হবে না। রাত ভোর হয়ে যেতে পারে কিংবা সময় ফুরিয়ে যেতে পারে। তাও লেখা হয়তো বা শেষ হবে না। কারণ একটা মানুষ এর জীবনে যে কতো পরিমান জমা অভিমান থাকে। সেটা হয়তো সেই মানুষ ও জানে না। যেমন আপনি নিজেই ভাবুন যে, আমরা কত সময় কত মানুষ এর উপরে অভিমান করি। যে অভিমান কিন্তু ফুরায় না। অভিমান আসলে ধীরে ধীরে স্মৃতির পাতার নিচে চলে যেতে থাকে এবং অন্যান্য স্মৃতির ভিড়ে চাপা পরতে থাকে। কিন্তু ওই অভিমান অভিমান এর মতোনই থাকে। অর্থাৎ আমাদের মস্তিষ্কে থেকে যায়।
আসলে আমাদের অভিমানগুলো কখনো ফানুস রূপে উড়ে চলে যায়। অর্থাৎ আমাদের অভিমানগুলো আসলে আমরা যখন আমাদের প্রিয় মানুষদের কাছে আর প্রকাশ করতে পারি না। তখন সেটা অনেকটা এতোটাই মিলিয়ে যায়। অর্থাৎ এতোটাই আমাদের মনের গহীনে চাপা পরে যায়, যে আমরা সেই ওই বিষয়টা থেকে আর বের হয়ে আসতে পারি না। যেভাবে একটা ফানুস উড়ে চলে গেলে আর তাকে নাগাল পাওয়া যায় না। ঠিক একই ভাবে আমাদের অভিমান কাজ করলে সেই অভিমান থেকে আমরা আর বের হয়ে আসতে পারি না।
কারণ আমাদের অভিমানের মূল্য কেউ কখনো দেয় আবার বেশিরভাগ দেয় না। বেশিরভাগ দেয় না বললেই ভালো হয়। কারণ অভিমানের মূল্য দেওয়ার মানুষ যেনো দিন দিন আমাদের জীবন থেকে চলে যাচ্ছে। আর বারবার মনে হয় যে অভিমানগুলো সব সময় আসলে ফানুস রূপে উড়ে গেলে ভালো হতো। কারণ যদি ফানুস রূপে উড়ে যেতো তাহলে হয়তো আমাদের মন কিছুটা হালকা হতো। কিন্তু সেটা অনেক বেশি সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। অর্থাৎ স্মৃতির উপরে স্মৃতির আস্তরণ পরার ব্যাপারটি। তা পরতে অনেকটা সময় লেগে যায়। আর ততোদিন পর্যন্ত ওই অভিমান জমা হয়ে থাকে আমাদের মস্তিষ্কে, আমাদের হৃদয়। মাঝেমধ্যে মনে হয় অন্তত অভিমান বোঝার মতন জীবনে একজন মানুষ থাকা উচিত। কারণ এই অভিমান বড্ড কষ্টদায়ক।