ব্যবহারেই বংশের পরিচয়
ব্যবহারে বংশের পরিচয়, এই কথাটা আমরা ছোটবেলা থেকেই পড়ে এসেছি এবং পাবলিক বাসে কিংবা বিভিন্ন জায়গায় এই লেখাটা কিন্তু প্রায়ই আমাদের চোখে পড়ে। এই বিষয়গুলো কেন এত দেওয়া থাকে জানেন, কারণ আমাদের পাবলিকা বাসে কিংবা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় এই বিশৃঙ্খলা যাতে সৃষ্টি না হয়। সেক্ষেত্রে মানবিকতার দিক থেকে এই কথাগুলো লেখা হয়ে থাকে। কারণ এই কথাগুলো দেখেও যদি সেই মানুষটা একটু ভালো ব্যবহার করে কিংবা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করে। তাহলে একবার বোঝার চেষ্টা করুন ব্যবহার কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ অংশ আমাদের এই জীবনের।
একবার কল্পনা করে দেখুন কোন এক কারণবশত আমরা কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করে ফেললাম। এতে করে সেই মানুষেরটা সেই কথাটা আমাকে বলে ফেলল যে, ব্যবহারে বংশের পরিচয়। এখান থেকে আমাদের একটি বড় ক্ষতি হয়ে যায়। সেটা হচ্ছে যে নিজেকেই তো আমাদের অসম্মানী হতেই হচ্ছে এর পাশাপাশি আমার মা-বাবা কিংবা আমার বংশধরকেও খারাপ বলে সম্মতি প্রদান করা হচ্ছে। এটার জন্য সম্পূর্ণ দায়ভার কিন্তু আপনার কিংবা আমার কিংবা যেই ব্যক্তি সেই দোষটা করেছে। তাই যে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার আগে অবশ্যই এই বিষয়গুলো চিন্তা ভাবনা করা উচিত এবং যার সাথেই আপনি কথা বলেন না কেন ভালোভাবেই কথা বলা উচিত।
জানি আমাদের এই পৃথিবীটা অতটাও সহজ সরল নয়। এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে গেলে এই মানুষের ভিড়ে নিজেকে একটু চালাক হতে হবে তবে এমন কিছু কাজ করা যাবে না যেখানে আমাদের মান সম্মানহানি হয়। কিংবা আমাদের পরিবারের উপরে কেউ আঙ্গুল তুলে কথা বলতে পারে। তাই নিজেকে যতটা সম্ভব সহজ-সরল রাখার চেষ্টা করুন কিন্তু যখন যেখানে যেভাবে রিঅ্যাক্ট করা দরকার শুধুমাত্র ততটুকুই করার চেষ্টা করবেন। তাহলেই দেখবেন ভালো কিছু করতে পারবেন। এখন যদি সব সময় সহজ সরল ভাবে চলতে থাকেন তাহলে দেখবেন সবাই আপনাকে নিয়ে ব্যবসা শুরু করে দিবে এবং বিভিন্ন ধরনের সমস্যার মধ্যে জর্জরিত হয়ে যাবেন। যেখান থেকে আপনি কখনোই বের হয়ে আসতে পারবেন না। যাইহোক আজকের মত এখানেই শেষ করছি ধন্যবাদ।