সঠিক সময়ে না বলার গুরুত্ব আমাদের বুঝতে হবে!

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

আমাদের অনেকের জীবনেই এমন হয়, যেখানে আমরা না বলতে পারি না। মনে হয়, না বললে হয়তো অন্যের মন খারাপ হবে কেউ কষ্ট পাবে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাবে। তাই নিজের অস্বস্তি, সময়, আর সামর্থ্যের কথা ভুলে গিয়ে সবসময় হ্যাঁ বলে দিই। কিন্তু এই অভ্যাস ধীরে ধীরে আমাদের উপরই চাপ বাড়ায়। সবসময় সবার কথা রাখতে গিয়ে নিজের প্রয়োজন, নিজের শান্তি, আর নিজের পরিকল্পনাগুলো আমরা উপেক্ষা করি।আসলে সঠিক সময়ে না বলতে পারাটা আসলে একটা গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা। কারণ সবকিছুর সীমা আছে। আপনি যতই চেষ্টা করুন, সবসময় সবাইকে খুশি রাখা সম্ভব নয়। কেউ যদি আপনার না শোনার জন্য রাগ করে বা সম্পর্কের মূল্য কমিয়ে ফেলে, তাহলে সেটি হয়তো সত্যিকার অর্থেই আপনার ভালোর জন্য সম্পর্ক ছিল না।

না বলার গুরুত্ব বোঝা মানে হলো নিজের প্রতি দায়িত্বশীল হওয়া। ধরুন, কেউ আপনাকে এমন কোনো কাজ করতে বলল যা আপনার নীতি, সময় বা সামর্থ্যের সঙ্গে যায় না, কিন্তু আপনি শুধু সম্পর্ক বা সামাজিক চাপের কারণে হ্যাঁ বললেন। এর ফলে হয়তো আপনি পরে মানসিক চাপ, বিরক্তি বা আফসোসের শিকার হবেন। সেখানে সঠিক সময়ে বিনয়ের সঙ্গে না বললে সমস্যা এড়ানো যেতো, আর নিজের সীমাবদ্ধতাও অন্যরা বুঝতে পারতো।অনেক সময় আমরা ভাবি, না বললে মানুষ হয়তো আমাদের স্বার্থপর ভাববে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, যারা সত্যিই আপনাকে সম্মান করে, তারা আপনার না কেও সম্মান করে। বরং বারবার নিজের ক্ষতি করে অন্যকে হ্যাঁ বললে মানুষ সেটাকেই অভ্যাসে পরিণত করে নেয়। একসময় তারা ধরে নেয়, আপনি সবসময় তাদের সুবিধার জন্য প্রস্তুত। তখন যদি হঠাৎ না বলেন, তারা সেটা সহজভাবে নিতে পারে না।

না বলা মানে অভদ্র হওয়া নয়। আপনি নরমভাবে, যুক্তি দিয়ে এবং সম্মানের সঙ্গে না বলতে পারেন। এতে আপনার মতামতও পরিষ্কার হয়, আবার সম্পর্কটিও অপ্রয়োজনীয় দ্বন্দ্বে জড়ায় না। আরেকটা বিষয় হলো, যখন আপনি সঠিক সময়ে না বলেন, তখন নিজের জীবনের নিয়ন্ত্রণ আপনার হাতে থাকে। অন্য কেউ আপনার সময়, শক্তি বা সিদ্ধান্ত নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।সবশেষে বলতে হয়, সঠিক সময়ে না বলা আসলে নিজের জন্য জায়গা তৈরি করা। এতে আপনি নিজের প্রতি ন্যায়বিচার করতে পারেন, মানসিক চাপ কমাতে পারেন এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মনোযোগ দিতে পারেন। এই না হয়তো প্রথমে কিছু মানুষের জন্য অস্বস্তিকর হবে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে এটি আপনার মানসিক স্বাস্থ্য, আত্মসম্মান এবং সম্পর্কের মান বজায় রাখতে সাহায্য করবে। তাই না বলাকে অপরাধ মনে না করে, একে প্রয়োজনীয় মনে করা উচিত।এই ব্যাপারগুলো লিখলাম কারণ নিজেই মাঝেমধ্যে সত্যি বলতে না শব্দটা ব্যবহার করতেই পারি না কেনো জানি।তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।হয়তো নিজের ও পড়া হলো,হয়তো নিজের ও একটু পরিবর্তন হলো!তবুও যদি একটু না বলতে পারি!

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।