নিজের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে গিয়ে

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

আজকে এমন একটা ব্যাপার নিয়ে লেখালেখি করতে এসেছি, যেটাতে হয়তো আমরা সকলেই আক্রান্ত। অর্থাৎ, কিছু কিছু ব্যাপার থাকে, যেগুলো আমরা লোকচক্ষুর অন্তরালেই করে থাকি কিংবা লোককে দেখানোর জন্যই করে থাকি। অর্থাৎ, খুব সাধারণভাবে বলতে গেলে, হয়তোবা শো-অফ করার জন্যই করে থাকি। কিন্তু ব্যাপারটি আসলে আমরা সকলেই করে থাকি, আর সেটা হল নিজের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে গিয়ে আসলে আমরা নিজের মতো করে থাকাটাই ভুলে যাই। নিজের মতো করে যে মানুষকে বাঁচতে হয়, নিজের মতো করে যে ভালো থাকা যায় সেটাই আমরা একটা সময় গিয়ে আসলে ভুলে যাই।

নিজের মতো করে বাঁচতে শেখা কিংবা নিজের মতো করে বাঁচার কোনো অপরাধ নয়। কিন্তু বর্তমান সমাজে যেন এটাই একটা অপরাধ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ, আপনি যতই খারাপ কাজ করুন না কেন, কেউ আপনার দিকে সেভাবে আঙুল তুলে কথা বলবে না। কিন্তু আপনি যদি একটু নিজের মতো করে থাকার চেষ্টা করেন, নিজের ভালো-মন্দ বুঝে এরপরে নিজে ভালো থাকার চেষ্টা করেন, অর্থাৎ আপনি যেটাকে প্রায়োরিটি দিতে চান কিংবা আপনার মন যেটাকে চায়, সেটা যদি করতে চান তাহলে দেখবেন যে সমাজে আপনাকে কথা শোনানোর লোকের অভাব হবে না।এখানে কিন্তু আপনার সমাজে অবশ্যই ওই লোকের অভাব হবে না, যে আপনাকে সাহায্য না করে উল্টো আপনাকে কথা শোনানোর জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকবে।

আসলে এটাই আমাদের সমাজের নিয়ম। অর্থাৎ, আপনি আপনার নিজের অস্তিত্বের লড়াইয়ে হয়তোবা হেরে যেতে পারেন, হয়তোবা নিজের মতো করে ভালো থাকা ভুলে যেতে পারেন, হয়তোবা নিজের অস্তিত্বের লড়াইয়ে আপনি ভালো থাকাটাই ভুলে যেতে পারেন। কিন্তু যাই হোক না কেন, আপনাকে আসলে অন্যের কথামতোই চলতে হবে, অন্যের মনের মতন করেই চলতে হবে।এটা আমি আসলে খুব ভালোভাবে খেয়াল করে দেখেছি যে, আপনি যতক্ষণ পর্যন্ত অন্যের মতো করে বাঁচতে শিখবেন, অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি মানুষের কাছে ভালো থাকবেন।

যখন এই কিছু সময়ের জন্য হলেও, কিংবা সাময়িক সময়ের জন্য হলেও, অন্যের কথা না ভেবে, অন্যের কথাকে একটু কম গুরুত্ব দিয়ে অবশ্যই একেবারে গুরুত্ব না দিয়ে বলছি না অন্যের কথাকে একটু কম গুরুত্ব দিয়ে যদি আপনি নিজের কথাটা একটু বেশি গুরুত্ব দেওয়ার চেষ্টা করেন, সেই মুহূর্তেই দেখবেন যে আপনি সকলের কাছে খারাপ হয়ে গিয়েছেন।

আসলে, এটাই আমি বারবার খেয়াল করেছি, এটাই আমি সকল কাজে প্রমাণ পেয়েছি যে আমরা আসলে নিজেদের অস্তিত্বটাকে, নিজেদের ভালো মানুষ হিসেবেই সকলের সামনে জাহির করার জন্য, নিজেদেরকে উপরে উঠানোর জন্য, কিংবা উপরে উঠছি এবং নিজেদের অস্তিত্বটাকে জানান দেওয়ার জন্যই আমরা নিজের মতো করে থাকতে ভুলে যাই, নিজের মতো করে ভালো থাকতেই ভুলে যাই। শুধুমাত্র অন্যের মতন করেই বাঁচতে শিখি।আসলে, আমার মনে হয় না যে অন্যের মতো করে বাঁচতে শেখার মধ্যে বাঁচার মতো কোনো আনন্দ রয়েছে।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।