দানেই সুখ!

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

মানুষের জীবনে সুখের সংজ্ঞা ভিন্ন ভিন্ন হলেও একটি সত্য সবার ক্ষেত্রেই সমানভাবে প্রযোজ্য আর তা হলো সত্যিকারের সুখ লুকিয়ে আছে দানে।আমরা প্রায়ই ভেবে নিই সুখ মানেই নিজের জন্য কিছু অর্জন করা, নিজের চাহিদা পূরণ করা কিংবা বিলাসিতায় মেতে ওঠা। কিন্তু যখন আমরা অন্যকে কিছু দিই,সেটা হয়তো সামান্য একটি সাহায্য, কিংবা সামান্য সময় ভাগ করে নেওয়া তাতেই যে আনন্দ আসে তা কোনো অর্জনের সুখের চেয়ে কম নয়।

দান শুধু ধনসম্পদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।একজন শিক্ষার্থী হিসেবে হয়তো কারো হাতে অনেক টাকা তুলে দেওয়ার সামর্থ্য নেই কিন্তু তবুও আমরা দান করতে পারি।দান হতে পারে জ্ঞান, সময়, সহানুভূতি ভালোবাসা। ক্লাসে যখন একজন ফ্রেন্ড পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়ে, তখন তাকে পড়াতে সাহায্য করা একটা বড় দা।কেও বই বা নোটসের অভাবে বিপদে পরলে তাকে নিজেরটা ভাগ করে দেওয়া দানেরই আরেক রূপ।এমনকি কারো মন খারাপ হলে তাকে সান্ত্বনা দেওয়া বা একটুখানি হাসি উপহার দেওয়াও দান।এই ছোট ছোট দানই আমাদের ভেতরে মানবিকতার আলো জ্বালিয়ে রাখে।

স্টুডেন্ট লাইফে দানের মানসিকতা গড়ে ওঠা অত্যন্ত জরুরি।কারণ এই সময়েই আমরা নিজেদের গড়ে তুলি, চরিত্রকে দৃঢ় করি।যদি ছোটবেলা থেকেই আমরা দানের শিক্ষা না পাই তাহলে বড় হয়ে নিজের স্বার্থকেই বড় করে দেখি।অথচ সমাজ এগোয় সেই মানুষদের কারণে যারা শুধু নিজের জন্য নয়,অন্যের জন্যও ভাবতে জানে। তাই স্টুডেন্ট লাইফেই যদি আমরা সাহায্য করতে শিখি, তাহলে ভবিষ্যৎ জীবনে বড় কিছু দেওয়ার মানসিকতা তৈরি হয়।দান সুখ দেয়ার পাশাপাশি সম্পর্ককেও মজবুত করে।ফ্রেন্ডদের প্রতি সহানুভূতি দেখালে বন্ধুত্ব আরও গভীর হয়, ক্লাসে একে অপরকে সাহায্য করলে সহযোগিতার পরিবেশ তৈরি হয়। এতে যেমন নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়ে, তেমনি মনের ভেতরে এক ধরনের পরিতৃপ্তিও আসে।এমনকি কোন এক গবেষণার কথাও পড়েছি যে যারা অন্যকে সাহায্য করতে ভালোবাসে তারা মানসিকভাবে বেশি সুখী এবং চাপমুক্ত থাকে।

আসলে বড় কথা হলো দান মানুষকে বিনয়ী করে তোলে।আমরা যতোই জ্ঞানী হই, যতোই সফল হই না কেনো যদি আমাদের ভেতরে দানের মানসিকতা না থাকে তবে সেই সাফল্যের কোনো মূল্য নেই আর দানের অভ্যাস ছোট থেকে না গড়ে তুললে পরবর্তীতে সেটা অর্জন করা কঠিন।দানেই সত্যিকারের সুখ আর স্টুডেন্ট লাইফেই আমাদের এই বিষয়টি মনে রাখা দরকার।কারণ আজ আমরা যে অভ্যাস গড়ে তুলব, তাই ভবিষ্যৎ জীবনের চরিত্র নির্ধারণ করবে। তাই সামান্য হলেও দান করার মানসিকতা বজায় রাখি হয় তা জ্ঞান, সাহায্য বা সহানুভূতি।তখনই আমরা শুধু ভালো স্টুডেন্ট নই ভালো মানুষও হতে পারবো।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।