ইউনিভার্সিটির সেমিস্টার ফাইনাল এক্সামের চাপে জীবন ওষ্ঠাগত!

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

ইউনিভার্সিটির সেমিস্টার ফাইনাল এক্সামের চাপে জীবন একেবারে ওষ্ঠাগত অবস্থা। ছোটবেলায় একটা সময় ছিলো যখন পরীক্ষার নাম শুনে গা শিউরে উঠতো না, কিন্তু এখন তো শুধু নাম শুনলেই টেনশনে মাথা ধরে যায়। সকাল শুরু হয় শুধু অল্প চা খেয়ে সারাদিন প্রায় উপোস থাকা হয় বলা চলে।কিন্তু আসল সমস্যা শুরু হয় ঠিক দুপুরের পর থেকে, যখন সময়টা চলে যায় কিন্তু সিলেবাস আর শেষ হয় না।সিলেবাস বাদ দেই!সাজেশন ই শেষ হয় না।

সবচেয়ে অদ্ভুত লাগে, এই যে পুরো সেমিস্টার গেলো, তখন কোনো হুশ থাকেনা।এখন যখন একদিনে ৭ টা চ্যাপ্টার পড়তে হয়, তখন মনে হয় মাথা ফেটে যাবে। বুঝে পড়তে গেলেই সময় চলে যায়, আর যদি মুখস্থ করতে যাই, তাহলে মনে হয় কিছুই মাথায় ঢুকছে না। এমন অবস্থা যে ঘুমাতে গেলেও মনে হয় পয়েন্ট গুলো ঘুরে ঘুরে মাথায় চলে আসছে।আর আম্মুর মুখে তো শুধু একটাই কথা আগে পড়লে এরকম হতো না।! না পড়লে এরকম ই হয়। এই কথাগুলো শুনতে শুনতে এখন নিজের ভেতরেই একধরনের রাগ লাগে। কারো সাথে কথা বলতে ভালো লাগে না। অথচ এই সময়টাতে থাকার কথা ছিলো রিল্যাক্স আর শান্তিতে রিভিশন দেওয়া।কিন্তু এখন মনে হয় সব চাপ যেনো একসাথে এসে পরেছে। ফাইনালের সিলেবাস তো আছেই, তার সাথে অ্যাসাইনমেন্ট, প্রেজেন্টেশন, সাবমিশন,ল্যাব সবকিছুই একসাথে লেগে গেছে। ক্লাস চলাকালীন সময়ে যেগুলা নিয়ে কেউ তেমন ভাবি না, এখন সেগুলোই বিশাল ঝামেলার হয়ে যায়।

আর একটা বড় সমস্যা হচ্ছে ঘুম। ঠিক মতো ঘুমানো হয় না, রাত জেগে জেগে পড়তে হয়। কিন্তু সকালে আবার ঘুম ভাঙে দুশ্চিন্তায়। একেকটা সাবজেক্ট নিয়ে এতো টেনশন হয়, মনে হয় এটা তো কোনোভাবেই পাশ হবে না।আম্মু বুঝতে পারে কিছুটা, কিন্তু তারা ভাবে শুধু পড়াশোনা করলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু আসলে তো মানসিক চাপের কথাটা কেউ ভাবে না। একেক সময় এমন হয় যে পড়ছি, কিন্তু মাথায় কিছু ঢুকছে না, শুধু মনে হচ্ছে সময় নষ্ট করছি।

সব মিলিয়ে বলতে গেলে, এই সময়টা এমন একসময় যেখানে শরীর আর মনের উপরে একসাথে চাপ পরে। মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে, একটু সময়ের জন্য সব বন্ধ করে চুপচাপ শুয়ে থাকি, কোনো চিন্তা ছাড়া। কিন্তু সেটা তো সম্ভব না, কারণ ফাইনালের এতো পড়া।এখন আর পিছিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।তবে একটা জিনিস বলতেই হয়, এই চাপই হয়তো আমাদের পরবর্তীতে আরও স্ট্রং করে তোলে। এখন যেটা লাগছে জীবন শেষ হয়ে যাবে, কয়েকদিন পর হয়তো এটাকেই মনে হবে,তখন কী ভালো ছিলাম! সত্যি বলতে, এই সময়টা যত দ্রুত চলে যায়, তত ভালো। কারণ এই সেমিস্টার ফাইনালের চাপটা কোনো মানুষিকভাবে স্বাভাবিক রাখে না। মনে হয় যেন একেকটা দিন না, একেকটা যুদ্ধের মতো পার করতে হচ্ছে।কি এক যন্ত্রণা!

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।