সুস্থতা বজায় রাখতেও এফোর্ট দিতে হয়

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

আমরা সবচেয়ে যেটাকে অবহেলা করি সেটা হলো সুস্থ থাকা!অথচ সুস্থতা বজায় রাখা জীবনের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জগুলোর একটি। আমরা সবাই চাই সুস্থ ও ভালো থাকতে কিন্তু চাওয়াটা যতটা সহজ সেটা বাস্তবে ধরে রাখা ততোটাই কঠিন। কারণ সুস্থ থাকার জন্য শুধু ইচ্ছে থাকলেই হয় না, তার জন্য ধারাবাহিকভাবে চেষ্টা করতে হয়, এফোর্ট দিতে হয়।আমরা যখন ছোট থাকি তখন ভাবি, সুস্থতা যেনো স্বাভাবিকভাবেই আমাদের জীবনের অংশ। কিন্তু বয়স যতো বড় হতে থাকি ততোই বোঝা যায় যে শরীর আর মনকে ঠিক রাখতে হলে সচেতন হতে হয়। নিয়মিত খাওয়া-দাওয়া, ঘুম, ব্যায়াম সবকিছুই একটা ছন্দে আনা দরকার। আজকালকার ব্যস্ত জীবনে অনেকেই এগুলো অবহেলা করে, যার ফল পরে এসে ভোগ করতে হয়।আর এই ভোগ বোধহয় আমি কয়েক গুণ বেশিই ভোগ করছি!

খাবারের দিক থেকেই যদি বলি এখনকার যুগে জাঙ্ক ফুড কোল্ড ড্রিঙ্কস বা প্রসেসড খাবারের প্রতি ঝোঁক অনেক বেড়েছে।আমি তো এসব খেয়েই বেঁচে আছি!এগুলো অল্প সময়ের জন্য আনন্দ দিলেও দীর্ঘমেয়াদি শরীরের ক্ষতি করে। অথচ স্বাস্থ্যকর খাবার, যেমন শাক সবজি, ফলমূল, ডাল,ভাত, পর্যাপ্ত পানি এসবকে নিয়মিত খাবারের মধ্যে রাখলে শরীর অনেকটাই ঠিক থাকে। কিন্তু এর জন্য আমাদেরকেই চেষ্টা করতে হয় সচেতন হতে হয়।এরপর তো ব্যায়ামের কথা। অনেকেই ভাবে ব্যায়াম শুধু জিমে যাওয়া বা ঘণ্টার পর ঘণ্টা শরীরচর্চা করা। আসলে ব্যায়াম মানে হলো শরীরকে সচল রাখা। প্রতিদিন আধঘণ্টা হাঁটা, কিছু সহজ স্ট্রেচিং কিংবা বাসার ভেতরে হালকা কাজ করাও ব্যায়ামের মতো কাজ করে। এই সামান্য এফোর্টগুলো দীর্ঘমেয়াদে শরীরকে ফিট রাখে।

সুস্থতা মানে কিন্তু শুধু শারীরিক সুস্থতা নয়, মানসিক সুস্থতাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। মনকে ভালো রাখতে হলে ইতিবাচক চিন্তা বা পর্যাপ্ত বিশ্রাম বা পছন্দের কাজ করার অভ্যাস দরকার। আবার স্ট্রেস কমানোর জন্য মাঝে মাঝে নিজের সঙ্গে সময় কাটানো, বই পড়া, গান শোনা বা প্রকৃতির কাছে যাওয়া অনেক উপকারী। কিন্তু এসব করার জন্যও আমাদেরকে সচেতনভাবে সময় বের করতে হয়।যেটা আবার আমাদের কাছে নেই!ঘুম নিয়েও আলাদা করে বলতে হয়।আর এটার কথা আসলেই আমার সবচেয়ে বেশি গিলট ফিল হয়। বিশেষ করে পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীর ও মনের ওপর অনেক প্রেসার ই পরে। এক রাত ভালো ঘুম না হলে পরদিন কাজের মনোযোগ নষ্ট হয়, বিরক্তি বাড়ে, এমনকি শরীরও দুর্বল লাগে। তাই সময়মতো ঘুমানো আর পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া সুস্থতার অন্যতম শর্ত।যেটা আমরা মোটেও মানি না।আসলে সুস্থতা বজায় রাখা কোনো একদিনের কাজ নয়। এটা একটা ধারাবাহিক অভ্যাস। অনেকেই ভাবে, অসুস্থ হলে তবেই যত্ন নিতে হবে। কিন্তু আসল সত্য হলো, সুস্থ থাকতে হলে প্রতিদিনই নিজেকে যত্নে রাখতে হয়। ছোট ছোট পরিবর্তন, যেমন নিয়মিত পানি খাওয়া, হাঁটাচলা করা, ভাজা চর্বিযুক্ত খাবার কমানো, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করা এসবই একসঙ্গে মিলে আমাদের সুস্থ রাখে।মূল কথা সুস্থতা আমাদের হাতে। শুধু দরকার প্রতিদিন একটু করে এফোর্ট দেওয়া, একটু করে সচেতন থাকা। কারণ যতোটুকু চেষ্টা করবো ততোটুকুই সুস্থ থাকবো। আর সুস্থতাই জীবনের আসল সম্পদ যা থাকলে সবকিছুই উপভোগ করা সম্ভব হয়।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।