কপাল!

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

আজকে আপনাদের সাথে একটা ভাবলাম মজার ব্যাপার শেয়ার করি, যেটা আমি প্রায় সময় ফিল করি। শুধু আমি না, অর্থাৎ আমার সাথে আমার যারা ক্লাসমেট রয়েছে, সকলেই এই কথা বলে। আসলে তাই ভাবলাম, এটা একটা মজার ব্যাপারই বটে। তো আপনাদের সাথে একটু শেয়ার করা যাক।অর্থাৎ একটা কথা আছে যেখানে বাঘের ভয়, সেখানেই সন্ধ্যা হয়। তো আমাদের অবস্থা ঠিক তেমনটাই বলা চলে।

যাই হোক, কথা না বাড়িয়ে মূল কথায় আসি। মূল কথা হলো, আমার যখনই আজ পর্যন্ত ইউনিভার্সিটিতে পরীক্ষা শুরুর আগ মুহূর্ত হয়েছে, অর্থাৎ ধরুন যে আর কয়েকদিন পরেই পরীক্ষা শুরু হবে কিংবা দুদিন পরেই ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হবে তখনই কোনো না কোনোভাবে আমাদের এখানে এমন ঝড়-তুফান শুরু হয়, এমন বন্যা শুরু হয়, যেটা আসলে বলার বাইরে।অর্থাৎ প্রতি বছর এমনটা হয়। আর আমি কিন্তু বছরে একবার ফাইনাল পরীক্ষা দিই না, অর্থাৎ আমাদের যেহেতু একটি বছরে দুটি করে ফাইনাল পরীক্ষা, সে ক্ষেত্রে কিন্তু আমরা ছয় মাস পরপর ফাইনাল পরীক্ষা দিই।

তো সেই ক্ষেত্রে আসলে ব্যাপারটি কিন্তু এমন না যে আমরা বছরের একটা নির্দিষ্ট সময় ফাইনাল পরীক্ষা দিই, এবং সে সময় হয়তো বর্ষাকাল থাকে, আর না হলে বন্যার সময় থাকে, তাই এমন হয়। আসলে মজার ব্যাপার হলো, এর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত কিছুই হয় না। যখনই আমাদের ফাইনাল এক্সামের ডেট দেয়, তখন এই কী করে যেন হয় যা বলার বাইরে।কারণ, শেষের দিকে আর ক্লাসগুলো করতেই হত এমন একটা অবস্থা। আর এমন একটা অবস্থা যে আসলে কোনো উপায় নেই ক্লাসগুলো না করার, কারণ সে ক্লাসগুলোতে বেশিরভাগ সময় সিটি থাকে, সে কারণেই।

কথায় আছে কপালের নাম গোপাল। অর্থাৎ আমাদের কপালটাই বোধহয় এমন। যাই হোক, কিছুই করার নেই। এই ঝড়, বন্যা, বৃষ্টির মধ্য দিয়ে পরীক্ষাগুলো দিতে হয়। আর তখন আসলে পরীক্ষাগুলো দিতেও ইচ্ছা করে না, কারণ এত সুন্দর ওয়েদারে আসলে প্রচণ্ড ঘুম পায়। কিন্তু ঘুমানোর কোনো সুযোগ তো আর নেই।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।