বিপদের বোঝা

আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।

আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

আমাদের জীবনে বিপদ কখনো বলে কয়ে আসে না। ঠিক একই ভাবে আসলে বিপদ কখন কিভাবে চলে আসবে। সেটা আমরা কেউ কখনোই কল্পনা করতে পারি না। কারণ বিপদ যেমন কখনো কখনো এমন ভাবে চলে আসে। যেটা আমরা কখনো কল্পনাও করতে পারি না। ঠিক একইভাবে বিপদকে হ্যান্ডেল করাটাও কিন্তু খুব একটা সহজ ব্যাপার নয়। কারণ ওই যে বললাম, বিপদ কাউকে বলে করে আসেনা এবং সেই কারণেই আসলে মানুষ যখন বিপদে পরে। তখন আসলে প্রথমেই বেশিরভাগ মানুষ অনেক বেশি ঘাবড়ে যায় এবং এটাই স্বাভাবিক।

বিপদে ঘাবড়ে যাওয়া খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু আমি এখানে বিপদের বোঝা বলতে যেটা বুঝিয়েছি। সেটা হলো, ধরুন আমরা একত্রে অনেকজন রয়েছি এবং হুট করেই সামনে কোনো বিপদ চলে আসলো। তখন দেখবেন যে তখন কিছু কিছু মানুষ হয়তো কিছুটা ঘাবড়াবে। হয়তো কিছুক্ষণের জন্য তারা খুব অসহায় বোধ করবে। কিন্তু কিছু কিছু এমন মানুষ ও সেই দলে থাকবে। যাদেরকে আসলে হ্যান্ডেল করাটাই বিপদকে হ্যান্ডেল করার চেয়ে বেশি কঠিন হয়ে যায়।

কারণ তারা এতোটাই পেনিক করা শুরু করে এবং এতোটাই আবোল তাবোল কাজ করা শুরু করে যে, তখন আপনি বিপদ সামলাবেন নাকি সেই মানুষগুলোকে সামলাবেন, সেটা একটা বিপদের ব্যাপার হয়ে যায়। সেই জায়গাতেই আসলে আমি বললাম যে বিপদের বোঝা। অর্থাৎ ওই মানুষগুলোকে আমার সত্যিই তখন বোঝা বলে মনে হয়। কারণ যেখানে একে তো বিপদ রয়েছে। সেখানেই আসলে যারা বিপদে হ্যান্ডেল করার চেষ্টা করছে, তাদেরকে প্রেসার ক্রিয়েট করা কোনো বুদ্ধিমানের কাজ হতে পারে না। আর এটা আসলে মানুষের মানসিক অবস্থার উপরে নির্ভর করে। তাই বিপদের সময় অবশ্যই যারা বিপদ মোকাবেলা করার চেষ্টা করছে। তাদের উপরে বোঝা হওয়ার চেষ্টা করা উচিত নয় বরং তাদেরকে সাহায্য করতে চাওয়ার মানসিকতাই দরকার।