চক্ষু লজ্জার শেষ পর্যায়ে
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
বর্তমান পরিস্থিতি এমন একটা অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে, যেটাকে আমার মনে হয় যে আমরা চক্ষু লজ্জার একেবারে শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। কারণ আগে একটা সময় ছিলো, যখন আমরা অনেক বেশি লজ্জা পেতাম যে কোনো বিষয়ে অর্থাৎ যেমন কারো কাছে কোনো কিছু চাইতে গেলে আমরা সহজে চাইতে পারতাম না। অর্থাৎ আমাদের লজ্জা লাগতো, আমাদের খারাপ লাগতো কিংবা আমাদের সংকোচ হতো যে, আমার কোনো মানুষ থেকে কোনো কিছু চাইতে হচ্ছে।
কিন্তু যতো দিন যাচ্ছে, ততো বেশি সেটা যেনো বদলে যাচ্ছে। অর্থাৎ যতোদিন যাচ্ছে, ততোই মানুষের চক্ষু লজ্জা শেষ হয়ে যাচ্ছে। আর যেটা আমরা বর্তমানে দেখতে পারি শুধুমাত্র কাজের ক্ষেত্রেই নয় কিংবা চাওয়ার ক্ষেত্রেই নয়। মানুষের পোশাক আশাকের ক্ষেত্রেও। যেমন একটা ব্যাপার, পোশাকের স্বাধীনতা তার একেবারেই ব্যক্তি স্বাধীনতা। অর্থাৎ এটা এমন একটি ব্যক্তি স্বাধীনতা। যেটাতে আমরা কোনোভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারি না।
কিন্তু একটা ব্যাপার খেয়াল করে দেখেন। পোশাক হলো আমাদের লজ্জা আবরণ এর একটি অংশ। তাই একটা মানুষ যখন যতো বেশি লজ্জার আবরণ সরিয়ে ফেলছে। ততো কিন্তু তার লজ্জার পরিসীমা কিংবা পরিধি কমে যাচ্ছে। অর্থাৎ সে এতো বেশি উন্মুক্ততা পছন্দ করছে সবকিছুতেই যে, তার আসলে ওই লজ্জা ব্যাপারটি আর থাকছে না। ঠিক তেমনভাবেই একই রকম মানুষের কাছে চাওয়ার ব্যাপারটি। অর্থাৎ মানুষের কাছে চাইতে চাইতে আমরা আমাদের চক্ষু লজ্জার একেবারে শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছি। যেখানে আসলে আমাদের আর কোনো কিছুই খারাপ লাগছে না।তাই আমার মনে হয় যে, বর্তমান জেনারেশন চক্ষু লজ্জার শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। যেখানে আসলে কোনো কিছুই আমরা আর দায়বদ্ধতা কিংবা কোনো কিছুই বাধ্যবাধকতার মধ্যে রাখছি না। সবকিছুই এতো বেশি খোলামেলা যা হয়তো নিজেদের চোখে দেখাটাও অসম্ভব।