সন্তানের প্রতি পিতামাতার কর্তব্য
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আমাদের সমাজে সবসময় পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের কি কর্তব্য রয়েছে, সেটা এতো বিশদভাবে পড়ানো হয় যে সন্তানের প্রতি যে পিতা-মাতার কিছু কর্তব্য রয়েছে। সেটা একেবারে ধামাচাপা পরে যায়। কিন্তু হিসেবে ধরতে গেলে আগে সন্তান পৃথিবীতে আসে না। আগে আসে পিতা-মাতা এবং পিতা মাতার একটা প্ল্যানিং কিংবা পিতা-মাতা সিদ্ধান্তের উপরেই কিন্তু একজন সন্তান পৃথিবীর আলো দেখে এবং এটা অবশ্যই ঠিক যে সন্তানদের পিতা মাতার প্রতি যে সব কর্তব্য রয়েছে, সেসব অবশ্যই পূরণ করা উচিত।
তার কারণ ওনারা আমাদের জন্য অনেক কিছু করে। কিন্তু পিতা-মাতার সন্তানদের জন্য অবশ্যই অনেকগুলো কর্তব্য রয়েছে। যেগুলো আমরা এড়িয়ে চলি এবং এড়িয়ে চলি বলেই আমাদের সমাজে ভালো সন্তান গড়ে ওঠে না এবং ভালো সন্তান গড়ে ওঠে না বলেই তারা পিতা-মাতাকে সেভাবে ভালোবাসে না। কিংবা তারা পিতা-মাতাকে সেভাবে দেখতে পারেনা। অর্থাৎ যতোটা সম্মান দেওয়ার কথা ছিলো, ততোটা সম্মান তারা দিতে পারে না। শুধুমাত্র এই শিক্ষার অভাবে তাই আমার কাছে মনে হয় পিতা মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব রয়েছে। সেটা যেমন আমাদের খুব ভালোভাবে জানা উচিত। ঠিক তেমনভাবেই সন্তানের প্রতি যে পিতা-মাতার কর্তব্য রয়েছে। সেটাও পিতা-মাতার খুব ভালোভাবে জানা উচিত।
কারণ আসলে আমাদের মধ্যে যখন কেউ বাবা-মা হই। অর্থাৎ নতুন বাবা মায়েরা আসলে একটা মানসিক পরিস্থিতিতে থাকে না। যে তারা সন্তানকে সেভাবে পরিবেশ গড়ে তুলে দিবে। কারণ তখন আসলে নানান মানুষের নানান রকম কথা থাকে এবং পরিস্থিতিটাও ভালো থাকে না। আর এসব কারণেই আসলে একজন সন্তান এর যতো কিছু শিক্ষা পাওয়া উচিত। ততোটা পাই না। আমি কিন্তু এখানে পড়াশোনার দিকে কিংবা চরিত্রের দিক নিয়ে বলছি না। আমি এখানে বলছি আসলে সেই সব যা পরবর্তীতে তার বাবা মায়ের সাথে কিভাবে ব্যবহার করবে কিংবা তার কি কি করা উচিত। সেসব শেখানো নিয়ে। তো আমি মনে করি ওই বিষয়ে আসলে বাবা মা এদের আরও বেশি নজর দেওয়া উচিত।