আশায় বাঁচে চাষা!
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
এটা একটা রূপক অর্থে ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ আশায় বাঁচে চাষা। এখানে শুধুমাত্র যে কৃষক শ্রেণীর মানুষ কিংবা কায়িক পরিশ্রম করে ওই ধরনের মানুষদের বোঝানো হয়েছে, তা নয় আসলে এখানে সব শ্রেণীর মানুষদের বোঝানো হয়েছে। কিন্তু এখানে শুধুমাত্র চাষার নাম ব্যবহার করা হয়েছে শব্দের মিল এর জন্য। অর্থাৎ যেনো একটা ছন্দের মতোন শোনায়। তাছাড়া কিন্তু এই কথাটি আমাদের সকলের জন্যই ব্যবহৃত এবং যথার্থ। তার একটি কারণ আমি যদি বলি। তাহলে আসলে আমরা যারা মানুষ রয়েছি। আমরা কিন্তু একটা আশা নিয়েই আজীবন বেঁচে থাকি।
কারণ এটা আমরা সকলেই জানি যে, আমাদের সব আশা কখনোই পূরণ হয় না। অর্থাৎ আমাদের সব ইচ্ছে কখনোই পূরণ হয় না। এখন যেহেতু আমাদের সব ইচ্ছে সব সময় পূরণ হয় না। সে ক্ষেত্রে আসলে আমরা একটা আশায় থাকি যে, এটা আমাদের হবে, ওটা আমাদের হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হয়তো হয় না। আবার হয়তো হয়। কিন্তু আমরা আমাদের জীবনের শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত আশা নিয়ে বেঁচে থাকি।
আর এই বেঁচে থাকাটাই আমাদের জীবন। অর্থাৎ আমি মনে করি কোনো মানুষের জীবনে যদি কোনো আশা না থাকে। তাহলে আসলে তার বেঁচে থাকাটাও অনেকটা অপ্রয়োজনীয় হয়ে উঠে। কারণ তখন সে এমন ভাবে ভাবতে শুরু করে যে, তার জীবনের আর কোনো মানে নেই, কোনো আশা নেই, কোনো ভরসা নেই। অর্থাৎ সে এমন একটা একলা পর্যায়ে চলে যায়, যে পর্যায়ে তার মনে হয় যে তার জীবন একেবারেই বৃথা। তাই আমরা যে একটা আশার আলো দেখতে পাই কিংবা আশায় বুক বাধি। এটা কিন্তু খারাপ কিছু নয়। অর্থাৎ এটা আমি এ কারণেই বললাম। কারণ অনেক মানুষ অনেক সময় অনেক ফ্রাস্টেটেড হয়ে পরে। শুধুমাত্র তাদের আশা পূর্ণ হচ্ছে না বলে। কিন্তু আমি মনে করি আমাদের সৃষ্টিকর্তার কাছে এটার জন্যও শুকরিয়া করা উচিত যে, আমাদের আশা অন্তত রয়েছে।