ব্যর্থতাকে মেনে নিন এবং শিখুন
গতকাল একটি মোটিভেশনাল ভিডিও দেখলাম। সেখানে বলা হচ্ছিল, একটি চিতাবাঘ ঘন্টায় প্রায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে পারে কিন্তু সেটা ৩০ সেকেন্ডের বেশি নয়। ৩০ সেকেন্ডের বেশি যদি একটি চিতা বাঘ ঘন্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে ছুটে। সে ক্ষেত্রে সেই চিতাবাঘের শরীরে যে পরিমাণে হিট বা এনার্জি উৎপন্ন হবে সেই কারণে সেই চিতা বাঘটি মরে যাবে। কিন্তু তারপরও চিতা বাঘ অপ্রাণ চেষ্টা করে ১২০ কিলোমিটার ছুটে এবং তার শিকারকে ঘায়েল করে ফেলে ৩০ সেকেন্ডের আগেই। এই বিষয়গুলো থেকেও কিন্তু আমরা ব্যাপক শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি।
একটি চিতা বাঘ জানে আমি ৩০ সেকেন্ডের বেশি এত গতিতে দৌড়াতে পারবো না, কিন্তু সে তার নিজের উপর আত্মবিশ্বাস রয়েছে যে, ৩০ সেকেন্ড সময় লাগবে না আমার শিকারকে স্বীকার করতে। তাই সে ৩১ সেকেন্ডের ঘটনায় কি ঘটবে কিংবা আমার কি পরিণত হবে সেই বিষয়টা ভুলে গিয়ে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই আমি বিজয়ী হতে পারব সেই বিষয়টাকে সে বেশি প্রাধান্য দিয়েই শিকার খোঁজে এবং শিকার করে এবং এই সমাজের বুকে বিচরণ করে। ব্যর্থতা আর কিছুই নয় সফলতার সর্বশেষ ধাপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। একটি মানুষ যখন কোন কাজে ব্যর্থ হয় তখন সেই বিষয়গুলোকে ভালোভাবে অনুধাবন করতে হবে। কোন কোন ক্ষেত্রে আমার কোন কোন ঘাটতি রয়েছে। সে সবকিছু আইডেন্টিফাই করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। কখনোই ব্যর্থতাকে মেনে নিয়ে থেমে যেতে হবে না বরঞ্চ সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
আমাদের চারপাশে এরকম হাজার হাজার উদাহরণ রয়েছে। এই উদাহরণগুলো আমরা হয়তো সেভাবে বুঝতে পারি না, কিংবা সেভাবে অনুধাবন করতে পারি না। আবার মাঝে মাঝে অনুধাবন করতে পারলেও এর ব্যর্থতার পরিণাম কি হতে পারে এই সবকিছু চিন্তা করে আমরা সেই সব কাজ কখনো শুরু করতে পারিনা। এসব কিছুই আমাদের ব্যর্থতার একটি মূল চাবিকাঠি। যখন আমরা এই কমফোর্ট জোন থেকে বের হয়ে আসতে পারবো তখন আমাদেরকে আর কেউ আটকে রাখতে পারবে না। এটা আমিও মনে প্রাণে বিশ্বাস করি। যাইহোক আজকের মত এখানেই শেষ করছি আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, ধন্যবাদ সবাইকে।