চুপ থাকা মহৎ গুন
আমাদের আশেপাশেই এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা খুব বেশি কথা বলে। যাদেরকে আমরা বাচাল বলে থাকি। সে সকল মানুষেরা একটু বেশি কথা বলে এবং যেকোনো পরিবেশে ঢুকে সেই পরিবেশটা নষ্ট করে দেওয়ার জন্য সে সেই একটা মানুষ এই যথেষ্ট বলে আমি মনে করি। প্রত্যেকের ফ্রেন্ডেরর গ্রুপে এরকম একটি মানুষ রয়েছে, যে মানুষগুলো শুধুমাত্র নিজের বেশি কথার কারণে সবার কাছে বারবার লজ্জিত হয়ে থাকে, কিন্তু সেই বিষয়টা সেই মানুষ এটা বুঝতে পারে না।
আবার এমনও কিছু মানুষ রয়েছে যে সকল মানুষেরা খুব বেশি একটা কথা বলতে চায় না কিংবা ইচ্ছা প্রকাশ করে না। কিন্তু যখন দুই একটা কথা বলে তখন আশেপাশের সকল মানুষ মন দিয়ে তার কথা শুনে এবং শেষ কথাগুলো ভালোভাবে নেওয়ার জন্য চেষ্টা করেন। এখন আপনারা সিদ্ধান্ত নিন আপনারা বাচাল হবেন নাকি কম কথার মানুষ হবেন। এখানে আরও বিভিন্ন ধরনের মতবাদ রয়েছে। কোন এক মহান ব্যক্তি একটি কথা বলেছিল, সেই ব্যক্তি ততক্ষন পর্যন্ত জ্ঞানী যতক্ষণ পর্যন্ত সে চুপ থাকে। অর্থাৎ চুপ থাকাও কিন্তু একটি এবাদতের মধ্যেই পড়ে এবং এই বিষয়টা আমাদের ইসলাম ধর্মেও ভালোভাবেই উল্লেখ করা রয়েছে।
আমি ব্যক্তিগতভাবেই অনেক কম কথা বলার চেষ্টা করি। বিভিন্ন পর্যায়ে গেলে কিংবা বিভিন্ন জায়গায় গেলে আমি সাধারণত চুপচাপ বসে থাকার চেষ্টা করি। কিন্তু যখন বন্ধু-বান্ধবের সাথে আড্ডায় বসি তখন আমার ওই পার্সোনালিটি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে আসি তখন মন খুলে সবার সাথে কথা বলার চেষ্টা করি। জানিনা সেটা আমার জন্য কতটুকু পজেটিভ কিংবা নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট পড়বে তবে আমি আমার মন খুলে আমার বন্ধুদের সাথেই কথা বলতে কমফোর্ট ফিল করি। বাদ বাকি সময় চুপ থাকার চেষ্টা করি। আপনাদের সাথে কি এরকম কিছু ঘটনা ঘটে? তাহলে অবশ্যই মন্তব্যে জানাতে পারেন। আজকের মত এখানেই শেষ করছি আপনার সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।