Steemit ও ব্লকচেইন প্রযুক্তি
আমরা সকলেই স্টিমেট প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে অবগত রয়েছি। এই প্লাটফর্ম টা এমন সুক্ষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যার কারণে এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে লেখালেখি করেও ইনকাম করা সম্ভব। তবে এর বাইরে কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে যেগুলো আসলে ব্লকচেইন সেক্টরে পড়ে, উইটনেস সেক্টরে পড়ে। যেগুলো নির্ধারণ করবে স্টিমিটের পরবর্তী ভবিষ্যৎ কেমন হবে।
আমরা সকলেই জানি বিটকয়েনে একটি ব্লক তৈরি হতে দশ মিনিট সময় লাগে। তবে স্টিমিট ব্লগ চেইনে এই ব্লক তৈরি হতে মাত্র তিন সেকেন্ড সময় লাগে। অনেক দ্রুত কাজ করে এই ব্লক। এবং এই ব্লক চেনের মাধ্যমে স্টিমিটের সকল ব্লগারদের মাঝে ফিউরেশন রিওয়ার্ড ডিস্ট্রিবিউট করা হয়। আবার আমরা যদি স্টিম হোল্ড করে পাওয়ার আপ করি সেক্ষেত্রে নিজের শক্তি পাওয়ার কিংবা ভোটের সক্ষমতা অর্জন করা যায়। আপনি যে পরিমাণে স্টিম পাওয়ার অর্জন করেছেন সেই পরিমাণকে ক্যালকুলেশন করে আপনি নির্দিষ্ট কিছু ভোট দিতে পারবেন, যেই ভোটের বিনিময়ে ডলার ঢুকবে।
এখানে কিউরেশন সিস্টেম অনেক চমৎকার ভাবে কাজ করে। আপনি যদি একজন কিউরেটর হন সে ক্ষেত্রে আপনি কিউরেশন করেও এখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন। যদি আপনি অথর হন সে ক্ষেত্রে আপনি এখানে লেখালেখি করেও টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে এখানে অথর কিংবা কিউরেটর এর মধ্যে সমান ভাগে কিউরেশন রিওয়ার্ড কিংবা অথর রিওয়ার্ড ডিস্ট্রিবিউট করা হয়। এই হিসাবটা আসলেই অনেক জটিল তারপরও বোঝার সুবিধার্থে বেসিক কিছু বলে রাখার চেষ্টা করলাম। এই ব্লকচেইন পদ্ধতির বর্তমানে পৃথিবীর সর্বোত্তম পদ্ধতির বলে বিবেচিত হয়েছে এবং এই ব্লকের পদ্ধতির যারা অবলম্বন করে নিজের ভবিষ্যৎ গড়তে চান তাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বলেই হবে বলে ধারণা করা হয়।