সমাজের বাস্তবতা
বর্তমানে সমাজের বাস্তবতাটা অনেকটা বেশি করুন। বিশেষ করে ঢাকা শহরের দিকে তাকালে জনসাধারণের অবস্থা একেবারেই খারাপ। এই ঢাকা শহরে হয়তো এক পারসেন্ট মানুষ একটু ভালোভাবে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে শুধুমাত্র তাদের টাকা আছে বলে। কিন্তু বাকি যত মানুষ রয়েছে প্রত্যেকেরই আলাদা আলাদা পরিশ্রম রয়েছে প্রত্যেকেরই আলাদা আলাদা স্টাগল রয়েছে। এই মানুষগুলো এক প্রান্ত থেকেও বাস ব্যবহার করে কারণ বাসে ভাড়া কম কিন্তু বাসে যেতে প্রচুর সময় প্রয়োজন হয়। এই সময়গুলো আমাদের সকলের নষ্ট হচ্ছে। এই সময় গুলো যদি ভালো কোন কাজে এই মানুষগুলো লাগাতো তাহলে হয়তো দেশ আরো খুব তাড়াতাড়ি এগিয়ে যেত।
বাহ্যিক অবস্থান থেকে দেখলে মনে হবে যে প্রত্যেকটা মানুষই হয়তো ভালো আছে কিন্তু যখন তারা ভিতরের বিষয়গুলো এক্সপ্রেস করে অন্য মানুষের সাথে শেয়ার করে তখন বুঝা যায় সেই মানুষটা কতটা কষ্টের রয়েছে। এই বিষয়গুলো আমরা সাধারণত বুঝতে পারি না। এই তো গত কিছুদিন আগেই একজন রিকশাওয়ালার সাথে কথা হল এবং তিনি তার জীবনের ২৪ টা বছর এই ঢাকা শহরের রিক্সা চালিয়ে বসবাস করছেন। কিন্তু একদিনও শান্তির ঘুম দিতে পারেননি। কারণ তার কাছে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের টেনশন কিস্তির চাপ এবং পরিবার সামলানোর দায়িত্ব।
আজকে বিকেলে যখন ভার্সিটি থেকে আসছিলাম তখন পাঠাও এর একটি রাইট নিয়ে আসছিলাম। সেই মামার সাথে কথা বলে জানতে পারলাম তিনিও একটা অফিসে কাজ করেন এবং অফিসে যাওয়ার আগে এবং অফিস থেকে বের হওয়ার পরে এক থেকে দুইটা রাইট তিনি আলাদাভাবে শেয়ার করেন। যাতে করে ২০০-৩০০ টাকা ইনকাম হতে পারে। তাহলে একবার চিন্তা করে দেখুন বর্তমান সমাজের পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই পাঠাও রাইডার কে জিজ্ঞাসা করলাম আপনি কেন সকালে এবং সন্ধ্যায় আলাদাভাবে রাইট দেন। তখন তিনি বললেন আমি যে চাকরি করি এটা দিয়ে ঢাকা শহরে থেকে নিজের পরিবারের ভরণপোষণের বিষয়গুলো সঠিকভাবে তিনি করতে পারেন না। তাইতো তিনি এই পথ বেছে নিয়েছেন। যাই হোক আল্লাহতালা সবাইকে হেদায়েত দান করুন।