ধর্ম ও উগ্রতা
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আমাকে যদি কেউ ধর্ম নিয়ে জিজ্ঞেস করে। তাহলে আমি প্রথমেই যেই শব্দটি উল্লেখ করবো। সেটা হলো ধর্ম এর অর্থ হলো শান্তি। কারণ শুধুমাত্র ইসলাম ধর্ম বলে কথা নয়। অর্থাৎ আমি একজন মুসলিম হিসেবে এই কথাটি বলছি তা নয়। প্রতিটি ধর্মের মূল বিষয় যদি আমরা লক্ষ্য করতে যাই। তাহলে আমরা দেখবো যে প্রতিটি ধর্মেই কিন্তু শুধুমাত্র শান্তির কথাই বলা হয়েছে। অর্থাৎ পৃথিবীর যে ধর্ম ই হোক না কেনো। সব ধর্মেই শান্তির প্রয়োজন এবং শান্তির কথাই বারবার উঠে এসেছে। কারণ ধর্মের প্রয়োজনীয়তা হলো শান্তির জন্য। অর্থাৎ আমাদের সৃষ্টিকর্তা আমাদের জীবনের শান্তি চান বলে, আমাদের জন্য ধর্ম তৈরি করেছেন।
কিন্তু ধর্মের একটি মূল ব্যাপার হলো। এটা যেমন সবচেয়ে ভালো একটি ব্যাপার। অর্থাৎ ধর্ম যেমন সবচেয়ে পবিত্র। ঠিক একইভাবে ধর্মকে অপবিত্র করার জন্য একদল সবসময় উঠে পরে লাগে। অর্থাৎ একটা ব্যাপার আমরা সব সময় শুনি যে, সাদা কাপড়ে দাগ বেশি লাগে। ঠিক একইভাবে শান্তি এবং পবিত্রতার একটি প্রতীক যেমন ধর্ম। ঠিক একইভাবে ধর্মকে অনেক খারাপ মানুষ কালি লাগানোর জন্য, কলঙ্কিত করার জন্য যুগে যুগে বিভিন্ন রকমের খারাপ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং প্রতিবার ধর্মকে তারা কালি দিয়ে ঢেকে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো ধর্মের উগ্রবাদীরা। অর্থাৎ তারা ধর্মকে এমনভাবে প্রমোট করে। যেনো ধর্ম একটি উগ্র ব্যাপার কিংবা ধর্ম উগ্রতা পছন্দ করে। কিন্তু কোনো ধর্মই উগ্রতা পছন্দ করে না।
তাই আসলে ধর্ম এবং উগ্রতার কোনো সম্পর্ক নেই। তাদের মধ্যে কোন রকমের সম্পর্ক নেই। এটা সকলকে বোঝানো আমাদের দায়িত্ব। কারণ আমাদের পরবর্তী জেনারেশনের মাথায় আমাদের এই খারাপ সমাজ খুব ভালোভাবে ঢুকিয়ে দিয়েছে যে ধর্ম এবং উগ্রতা একই। কিন্তু এটা কোনোভাবেই একই নয়। ধর্ম হলো শান্তি এবং উগ্রবাদীদের কাজ হলো, ধর্মের নামে ব্যবসা করা।