আর্ট পোস্ট -💦 " বাঁশঝাড়ের আর্ট "
আসসালামু আলাইকুম, |
---|
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগবাসী।সবাইকে শুভেচ্ছাও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি নতুন একটি ব্লগ।
প্রিয় বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি"আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় ও বাংলাদেশী সদস্যগন,কেমন আছেন সবাই?আশাকরি সবাই ভালো আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্র অশেষ রহমতে এখন অনেকটা ই ভালো আছি।বন্ধুরা,আমি @shimulakter আমি বাংলাদেশ ঢাকা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি "আমার বাংলা ব্লগ" এর একজন অ্যাক্টিভ ইউজার।আমার ব্লগ আপনাদের কাছে ভালো লাগে এমনটা ই আশাকরি।
বাঁশঝাড়ের আর্টঃ
বন্ধুরা,আজ আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আজকের ব্লগরি একটি আর্ট ব্লগ।আমি আর্ট করতে ভীষণ পছন্দ করি।তবে সব সময় আর্ট করা সম্ভব হয়না।আজকে আমি একটি বাঁশঝাড়ের আর্ট শেয়ার করলাম।গ্রামীণ পরিবেশের মধ্যে বাঁশঝাড় আমার খুব পছন্দের একটি জায়গা।কিন্তু ছোটবেলা শুনেছি বাঁশঝাড়ে ভুত থাকে।এজন্য ভয় কাজ করে।কিন্তু এমনিতে খুব ভালো লাগে আমার বাঁশঝাড়।গ্রামের পথের ফাঁকে ফাঁকে এমন সুন্দর বাঁশঝাড় দেখতে ভীষণ ভালো লাগে।তাই আমার ভালো লাগার এই বিষয়টি নিয়ে আজ ভাবলাম বাঁশঝাড় এঁকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করে নেই।আমার মতো আর কে কে এমন বাঁশঝাড় পছন্দ করেন বলবেন তো।সবার সুন্দর মন্তব্য আশাকরি আমি দেখতে পাবো।আসুন,বন্ধুরা দেখি এই আর্টটি করতে আমার কি কি উপকরন লেগেছিল---
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
১.কাগজ
২. কলম
৩.কালার পেন্সিল
৪.পেন্সিল
৫.রাবার
৬.কাটার
কার্য প্রণালীঃ
ধাপ -- ১
আমি এক এক করে পেন্সিল দিয়ে বাঁশঝাড় এঁকে নিলাম।
ধাপ -- ২
এরপর আমি কালার করে নিলাম।প্রথমে সবুজ কালার পেন্সিল দিয়ে কালার করে এরপর হলুদ কালারের পেন্সিল দিয়ে এঁকে নিলাম।
ধাপ -- ৩
এরপর পাতার মধ্যে ও ঠিক একই রকমভাবে সবুজ ও পরে হলুদ কালার পেন্সিল দিয়ে কালার করে নীচের ঘাসগুলো ও একই ভাবে কালার করে নিলাম।
ধাপ -- ৪
আমার আঁকা শেষ হলে আমি নিজের নামটি লিখে নিলাম।
উপস্থাপনা
-আজ আর নয়।আশাকরি আমার আজকের এই আর্টটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।আপনাদের ভালো লাগার মাঝেই আমার সার্থকতা।আবার নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবো।সবাই সুস্থ থাকবেন।ভালো থাকবেন।*
ধন্যবাদ সবাইকে
পোস্ট বিবরন
বিষয় | আর্ট পোস্ট |
---|---|
ডিভাইস | SamsungA20 |
ফটোগ্রাফার | @shimulakter |
ভৌগলিক অবস্থান | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।বাংলাদেশ ঢাকা থেকে আমি আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি এম এস সি (জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ।ভালোবাসি বই পড়তে,নানা রকমের রান্না করতে আর নতুন নতুন রেসিপি করে সবাইকে খাওয়াতে ভালোবাসি।ফটোগ্রাফি করতে আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বেশ দারুন একটি আর্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। বাঁশ ঝাড়ের আর্টি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম এত সুন্দর হয়েছে দেখে মনে হচ্ছে সত্যিকারের বাঁশঝাড়।বাঁশঝাড় দেখতেও ভালো লাগে আর বাঁশঝাড়ের নিচে বসে থাকলে শরীরটা ঠান্ডা হয়ে যায়। ধন্যবাদ আপু দারুন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমার কাছেও বাঁশঝাড় অনেক ভালো লাগে। আমিও শুনেছি আপু। ছোটবেলায় বড়রা বলতো বাঁশঝাড়ে ভূত থাকে। এরকম কত গল্প শুনেছি। তবে যখন থেকে কাজলা দিদি কবিতায় বাঁশবাগানে মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই লাইনটি পড়েছি বা শুনেছি তখন থেকে বাঁশঝাড় আমার অনেক পছন্দ। চমৎকার বাঁশ ঝাড়ের দৃশ্য অংকন করেছেন আপু। দেখতে খুব সুন্দর লাগছে।
গ্রামের মেঠোপথের মাঝে মাঝে বাঁশ ঝাড় লক্ষ করা যায়।আপনি চমৎকার সুন্দর করে বাঁশ ঝাড়ের আর্ট করেছেন। দারুন আর্ট করেছেন আপু।অনেক সময় ধরে ধর্য্যসহকারে বাঁশ ঝাড় আর্ট পদ্ধতি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
X-promotion
বাঁশঝাড়ের বেশ সুন্দর আর্ট করেছেন আপনি। আপনার দারুণ আর্ট দেখে খুব ভালো লাগলো। বাঁশঝাড়ের আর্ট দেখতে খুব সুন্দর লাগছে। এতো দারুন দুর্দান্ত আর্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ছোটবেলায় বাঁশ ঝাড় আসলেই খুব ভয় পেতাম। একদম ভিন্ন ধরনের একটা আর্ট করেছেন আজকে। খুবই সুন্দর হয়েছে আপনার আজকের এই আর্ট। কালারটাও দেখতে ভালো লাগছে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটা আর্ট শেয়ার করার জন্য।
বাহ আপু আপনার আইডিয়া তো অসাধারণ। আপনি দেখছি চমৎকার বাঁশঝাড়ের আর্ট করেছেন। তবে গ্রামাঞ্চলে বাঁশঝাড় অনেক দেখা যায়। আর বাঁশঝাড়ের পাশে দিয়ে ছোট থাকতে যেতে অনেক ভয় লাগতো। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বাঁশঝাড়ের আর্ট করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।