আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।

আজকে আবারো চলে এলাম আপনাদের সাথে একটি আর্ট শেয়ার করতে। আসলে এটাকে আর্ট এবং ক্রাফট দুটোই বলা যায়। অনেক দিন আগে আমি একটি কোকাকোলার বোতলের নিচের অংশ কেটে নিয়েছিলাম বালি নেয়ার জন্য। ঐ যে মোম বানানোর কন্টেস্টের জন্য বালির প্রয়োজন ছিল তাই।যাইহোক পরবর্তীতে এই বোতলের অংশটা রুমেই রয়ে যায়। আর কিছুদিন আগে আমি রুম পরিষ্কার করার সময় এই বোতলের অংশটা দেখতে পাই। তাই ভাবলাম এটা দিয়ে একটা কলমদানি বানিয়ে ফেলবো।

যেই ভাবনা সেই কাজ, গত ২দিন আগে রাতের বেলা বসেই ঝটপট কাজ সেরে ফেললাম। নিভৃতকে প্রথমে তার দাদুর কাছে দিয়ে এসেছিলাম,কিছুক্ষণ পর সে হাজির।তখনও আমার কাজ শেষ হয়নি,তাই ও কে কিছু তুলি আর রঙের কৌটো দিয়ে বসিয়ে কিছুক্ষণ কাজ করতাম।তিন ধাপে বসে কাজটা শেষ করলাম।আর শেষ করার পর এটা এত দারুণ লাগছিল যে আমার কাজেও লেগে গেল।যাইহোক,চলুন কিভাবে করলাম দেখে নিন।
এক্রলিক পেইন্ট
তুলি
বোতল
গ্লিটার পেপার

প্রথম ধাপে বোতলের নিচের অংশকে সাদা রং দিয়ে রং করলাম। রং শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করলাম।

এই ধাপে কোনাকুনিভাবে ছোট ছোট ডট দিয়ে কয়েকটা ফুল এঁকে নিলাম আকাশি রং দিয়ে। তার পাশাপাশি নীল রং দিয়েও কিছুটা ফাঁক রেখে কোনাকুনিভাবে ফুল এঁকে নিলাম।

এখন হলুদ রঙ দিয়ে আকাশী রঙের ফুলের মাঝখানে একটা কলি দিয়ে দিলাম। তারপর আবার নীল রঙের ফুলের মাঝখানে হলুদ রঙের কলি দিয়ে দিলাম।

এভাবে সবুজ রঙের সাহায্যে প্রতিটি আকাশী রঙের ফুলের বাইরের দিকে পাতা এঁকে নিলাম। প্রত্যেকটা ফুলের পাপড়ির চারপাশে একটা করে পাতা দিয়ে দিলাম।

এবার নীল রঙের ফুলের চারদিকেও কয়েকটা পাতায় এঁকে নিলাম। এভাবে সবগুলো ফুলের চারপাশের পাতা আঁকলাম।

এইধাপে তুলিতে নীল রঙ নিয়ে ফাঁকা অংশগুলোতে কিছু ডট এঁকে নিলাম। তারপরে বোতলের নিচের দিকের অংশে নীল রঙ করে দিলাম।

হলুদ রঙ এক গ্লিটার পেপার চিকন করে কেটে নিলাম। তারপর বোতলের উপরের কিনারার অংশে সুন্দর করে ভাঁজ করে লাগিয়ে দিলাম।





সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
.png)
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
.png)
💦
💦 BRISTY 💦
💦

রুম পরিষ্কার করতে গিয়ে বোতলের নিচ অংশ দেখে আপনি অনেক সুন্দর ভাবে পেইন্টিং এবং কলমদানি তৈরি করেছেন ।আসলে আপনার বুদ্ধির প্রশংসা করতে হয় আপু। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর পেন্টিং আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
পুরনো বোতলের নিচের অংশে পেইন্টিং করে সুন্দর একটি কলমদানি বানিয়েছেন আপু। কলম দানির পেইন্টিংটি করতে আপনাকে দেখছি বেশ ঝামেলা পোহাতে হয়েছে আপনার বাচ্চার জন্য। তিনধাপে তৈরি করেছেন। প্রথমেই সাদা রং করে নিয়েছেন বোতলের নিচে অংশে তারপর ডট দিয়ে আকাশি রং দিয়ে বেশ সুন্দর করে কয়েকটি ফুল একে তার মাঝে হলুদ রং দিয়েছেন এবং তার বাইরে দারুণভাবে পাতার দৃশ্য ফুটিয়ে তুলেছেন। একে একে প্রতিটি ধাপ দারুনভাবে তুলে ধরেছেন আপু। ধন্যবাদ বাসায় অযথা পড়ে থাকা একটা জিনিস দিয়ে কাজের একটি কলমদানি বানানো আমাদের শিখিয়ে দিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
বোতলের নিচের অংশে দারুন ভাবে পেইন্টিং করে একটি সুন্দর কলমদানি তৈরি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আপু। আমিও কয়েকদিন ধরে চিন্তা করছিলাম বোতলে এভাবে পেইন্টিং করে একটি কলম দানি তৈরি করব। কিন্তু সময়ের অভাবে করে ওঠা হচ্ছিল না। আপনি করেছেন দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগছে। বোতলের উপর পেইন্টিং ও খুবই সুন্দর লাগছে দেখতে।
হাহা আপু আপনারও তো দেখি আমার মত অবস্থা। চিন্তা করি এটা ওটা করবো কিন্তু সময়ের অভাবে করতে পারি না। তো যাই হোক সময় করে করবেন আশা করি, ধন্যবাদ আপনাকে।
বোতলের নিচের অংশে চমৎকার পেইন্টিং করে কলমদানি তৈরি করার প্রক্রিয়াটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে বোতলের উপরে ফুল ও পাতার পেইন্টিং করাটা আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। চমৎকার একটি পেইন্টিংয়ের পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপু মাঝে মধ্যে ভাবি যে এতো চমৎকার আইডিয়া গুলো পান কিভাবে ৷ যা হোক দারুন ছিল বোতলের নিচের অংশ কেটে তাতে ডেগারেশন বাহ চমৎকার একটি কলমদানি ৷ রং ডিজাইন সবমিলে অনেক সুন্দর ৷ যাবতীয় জিনিস রাখা যাবে সাথে টেবিলে সাজিয়ে রাখলে ভালো দেখাবে ৷
যেখানে দেখিবে ছাঁই কুড়াইয়া দেখ তাই। পাইলেও পাইতে পারও মানিক ও রতন। আপু আপনার অবস্থাও তো দেখছি সেরাম। বেশ সুন্দর করে একটি কলম দানি বানিয়ে ফেলেছেন কুড়ানো বোতল দিয়ে। এক কথায় অসাধারন ছিল আপনার কুড়ানো বতোল দিয়ে বানানো কলমদানি । ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
বোতলের নিচের অংশ খুব সুন্দর করে পেইন্টিং করেছেন। পেন্টিং করার কারণে খুবই সুন্দর দেখাচ্ছে। কলমদানি হিসেবে সত্যিই খুব সুন্দর লাগছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
খুবই চমৎকার ভাবে আপনি আমাদের মাঝে বোতলের নিচের অংশের পেইন্টিং এবং কলমদানি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। বোতল দিয়ে অনেকেই অনেক রকম ভাবে কলমদানি তৈরি করে থাকে তবে আপনার কলম দানি তৈরির প্রক্রিয়াটি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। বিশেষ করে পেইন্টিং করার কারণে এটা দেখতে আরো বেশি সুন্দর দেখাচ্ছে। এত সুন্দর একটা কলমদানি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
পুরাতন কোন কিছুকে নতুন রূপ দিতে অনেক বেশি ভালই লাগে। আর আপনি আজকে অনেক সুন্দর করে একটা কলমদানি তৈরি করেছেন যেটা অনেক বেশি সুন্দর হয়েছে। এটাকে আর্ট বলব নাকি ক্রাফট বলব আমি তো কিছুই বুঝতে পারতেছি না। বোতলের নিচের অংশটাতে অনেক সুন্দর করে আর্ট করেছেন দেখে খুব সুন্দর লাগতেছে। এটার মধ্যে আপনি করমদানি এবং তুলিও রেখেছেন। এটা কিন্তু বেশ ভালোই কাজে আসবে আপনার। ফুলগুলোর কালার অনেক সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে। আপনার এই আইডিয়াটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।