কেমন আছেন আপনারা। আমি আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আপনাদের দোয়ায় আমিও ভালো আছি। আমি আজকে আপনাদের মাঝে একটি ব্লগ সাজিয়ে শেয়ার করতে এসেছি। আমার আজকের ব্লগের বিষয় আমাদের গরুর ফটোগ্রাফি। অনেকদিন পর মায়ের বাসায় গিয়েছিলাম এবং বাসায় ফিরতে গরু ফটোগ্রাফি করেছিলাম। আর সে ফটোগুলো আপনাদের মাঝে আজকে শেয়ার করতে এসেছি।
ফটো দেখে বুঝে ফেলেছেন আমার মায়ের বাসায় বিদেশী গরু রয়েছে। বিদেশি এই গাভিটা অনেক ভালো এবং প্রত্যেক বছর উন্নত মানের বাচ্চা উৎপাদন করে থাকে। পাশাপাশি প্রত্যেকদিন পাঁচ সাত লিটার করে দুধ উৎপাদন হয়। প্রথম যখন গরুটা কিনেছিল দেখতে বেশ সুন্দর মনে হতো। তবে অনেকদিন হয়ে যাওয়ায় এখন গরুটার শরীরের অবস্থা অন্যরকম হয়ে গেছে পাশাপাশি তার দেখতে পাচ্ছেন একটি বাচ্চা রয়েছে। এদের প্রত্যেক দিনের খাবার হিসেবে কাঁচা ঘাস আর ধানের বিসুলি খাওয়ানো হয়। তবে আমাদের বিভিন্ন প্রকার ফসল হয়ে থাকে সারা বছর ধরে। তাই যে সময় যে ফসল ওঠে সেই ফসলের খড়গুলো খাওয়ানো হয়। এইজন্য আমার ভাইয়ের সুবিধা হয়েছে যে কোন মুহূর্তে সে সমস্ত খাবারগুলো গরুদের দিয়ে থাকে। এদিকে এক বিঘা জমিতে গরুর জন্য কাঁচা ঘাস রয়েছে। আমার বড় ভাই সেই ঘাসগুলো কেটে আনে এবং মেশিনের মাধ্যমে চুরায় করে গরুর খেতে দেয়।
একদিন তো আমার চাচা গরুর বাছুরটা নেওয়ার জন্য খুবই জড়াজড়ি করেছিল। কিন্তু কোনমতেই আমার ভাইয়া দিতে রাজি না। কারণে এমন সুন্দর বাছুর গুলো খুব দ্রুত মোটা তাজা হয়ে ওঠে এবং অনেক দাম পাওয়া যায়। আর বর্তমান গরুর বাজার যেন আগুন ধরা। আমারও ইচ্ছে রয়েছে কয়েকটা গরু প্রসার। কিন্তু আমার বাবু খুব ছোট এই কারণে গরু পোষার সাহস করি না। আশা করি দেখে বুঝতে পারছেন গরু দুইটা দেখতে কত সুন্দর। আমি যখন ছোট ছিলাম আমার দাদা-দাদী যখন বেঁচে ছিল তারা অনেক অনেক গরু পুষ্ট। আমার দাদারা তিন ভাই তিন ভাইয়ের বড় বড় তিনটা গোয়াল ছিল আর প্রত্যেকটা গোয়ালে আট দশটা করে গরু থাকতো। তাহলে বুঝতে পারতেন সেই সময় কত গরু পোষা হতো আমাদের এই বংশে। আর আমাদের বংশটাই গ্রামের বড় বংশ। এদিকে আমার আব্বুরা প্রত্যেক ভাই ৩০ বিঘা করে জমি ভাগ পেয়েছে তাহলে বুঝতে পারছেন কেমন পরিবার তাদের। তবে যুগ যুগ ধরে তারা এমন বড় বড় গাভী পুষে আসছে। এখন আব্বার বিভিন্ন কাজের কারণে বেশি বুঝতে পারে না তাও একটা করে রাখে।
আমার বাবু হওয়ার পূর্বে কিন্তু গরু ছিল না। বেশ কিছুদিন গরু পোষা অফ রেখেছিল। তবে যখন বাবু হল তখনই আব্বা আর ভাই সিদ্ধান্ত নিল দ্রুত একটা বড় গাভী কিনতে হবে। আর সে গাভির দুধ আমার বাবুর জন্য খাওয়ানো যাবে। কয়েকদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত পাক্কা হয়ে এই গাভিটা কিনে ফেলেছিল। এখন প্রায় প্রতি সপ্তাহ বা কোনদিন পরপর আব্বা অথবা ভাই আমার বাসায় এই গরুর দুধ ১০-১২ লিটার করে এনে দিয়ে যায়। আমার বাবুর জন্য এই গাভিটা সত্যিই অনেক সহায়তা প্রদান করে গেল তাই তার সুন্দর স্মৃতি ধরে রাখার জন্যই আমি উপস্থিত হয়েছি আজকের এ ব্লগ টা নিয়ে। আবারও মায়ের বাসায় গেলে চেষ্টা করব তাদের অবস্থান এবং ফটোগ্রাফি নিয়ে। আশা করি ভালো থাকবেন সকলে।
আপনাদের গরুর অনেক সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি করেছেন আপু। আপনার আব্বুদের গরুতে ১০ থেকে ১২ লিটার করে দুধ দেয় শুনে বেশ ভালো লাগলো। এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে জানাই ধন্যবাদ
আসলে আমাদের গরুগুলোর ফটোগ্রাফি দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লাগছে। তবে শুধুমাত্র এক জাতীয় জিনিসের ফটোগ্রাফি করে শেয়ার করলে হবে না, আরো ভিন্ন ভিন্ন দৃশ্যের সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করতে হবে।
আচ্ছা ঠিক আছে