মেট্রো রেলে প্রথম চড়ার অভিজ্ঞতা
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সামনে আবারো হাজির হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। মূলত আজ একটি নতুন অভিজ্ঞতা এবং বেশ ভালোলাগার একটা মুহূর্ত আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব। আসলে বেশ কয়েক মাস হয়েছে আমাদের দেশে মেট্রো রেল চালু হয়েছে। তখন থেকেই শুনছি মেট্রোরেলের কথা। তখন থেকেই মনে ইচ্ছা ছিল মেট্রো রেলে চলব। যদিও আমরা ঢাকার বাইরে থাকি যার কারণে এতদিন চড়া হয়ে ওঠেনি। আর ঢাকায়ও প্রয়োজন ছাড়া খুব একটা যাওয়া হয় না । এইতো এক মাস আগে একটি প্রয়োজনে ঢাকায় গিয়েছিলাম। তখন মেট্রোরেলে চড়ার সুযোগ হয়েছিল। সে অভিজ্ঞতাই মূলত আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব ।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
মেট্রো রেলে প্রথম চড়ার অভিজ্ঞতা
সেবার ঢাকা যাবার আগেই চিন্তা করেছিলাম মেট্রো রেলে চড়ে আসব। কিন্তু ঢাকায় যাবার পর দেখলাম মেট্রোরেল যে যে জায়গায় চলে সেখানে আমাদের যাওয়ার কোন দরকার নেই। যার কারণে আর সেখানে যাবার ইচ্ছা ছিল না। আমরা যেখানে ছিলাম সেখান থেকে জায়গাটা বেশ দূরে ছিল, যার কারণে ইচ্ছাটা একেবারেই বাদ দিয়ে দিয়েছিলাম ।তারপর আমরা একদিন বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জাদুঘরে ঘুরতে গিয়েছিলাম। তো ঘোরাফেরা শেষ করে আমরা বিমান বাহিনী জাদুঘরের ভেতর থেকে মেট্রোরেল স্টেশন দেখতে পেলাম ।এ যেন মেঘ না চাইতে বৃষ্টি ।আমাদের একদমই মেট্রো রেলে সেদিন চড়ার কথা ছিল না। তখন চিন্তা করলাম যেহেতু এত কাছে চলে এসেছি তাহলে দেখা যাক মেট্রো রেলে চড়া যায় কিনা।
তারপর আমরা মেট্রো রেল স্টেশনে গেলাম। সেখানে গিয়ে প্রথমে জেনে নিলাম মেট্রো রেল কোন পর্যন্ত যাবে ।আবার আমরা যেখানে ছিলাম সেখানে ফিরে আসবে কিনা। মূলত আমরা অভিজ্ঞতা নেওয়ার জন্য মেট্রো রেলে চড়তে চেয়েছিলাম ।তাই আমাদের ফিরে আসাটা জরুরী ছিল। তারপর আমরা জানতে পারলাম কিছু সময়ের মধ্যেই ট্রেন আসবে ,আবার কিছু সময়ের মধ্যেই ফিরে আসা যাবে । তারপর আমরা টিকেট কেটে নিলাম। তবে স্টেশনটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে, একদম পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন।
তবে মেট্রো রেল স্টেশনের সিস্টেমগুলো বেশ আধুনিক। চট করে বোঝা মুশকিল। তবে সিস্টেমগুলো আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছে ।সবকিছু বেশ নতুন নতুন লাগছিল। বেশ ভালো একটা অনুভূতি হয়েছিল। তারপর আমরা যথাসময়ে মেট্রো রেলের জন্য অপেক্ষা করতে থাকলাম ।তারপর একটু সময় পরেই মেট্রোরেল আমাদের সামনে এসে দাঁড়ালো এবং দরজা খুলে গেল। আমরা আস্তে আস্তে ঢুকতে যাবো এরই মধ্যে লোকজন তাড়াহুড়ো করে ঢুকে ,তাড়াহুড়ো করে সিটে বসে পড়ল। আমরা বুঝতে বুঝতে সবগুলো সিট ভরে গেল । তখন বুঝতে পারলাম এখানে ভদ্রতা করে কোন লাভ নেই , তাড়াহুড়ো করে সিট নিতে হবে। আমরা বাঙালি আমাদের যেটা স্বভাব, সেটা যে কোন জায়গায় পরিবর্তন হওয়া সম্ভব নয়। যদিও খুবই অল্প সময়ের রাস্তা ছিল। চার পাঁচ মিনিটের মধ্যে আমরা স্টেশনে পৌঁছে গেলাম ।ভেতরে বুঝতেই পারছিলাম না যে ট্রেন চলছিল, সত্যি দারুন এক অনুভূতি।
তারপর আবার একই সিস্টেমে আমরা টিকিট কেটে আমাদের পূর্বের স্টেশনে ফিরে এলাম। এবার কিন্তু আমরাও তাড়াহুড়ো করে সিটে বসতে পেরেছিলাম হা হা হা। মূলত আমাদের মেট্রোরেলে চড়ার ইচ্ছাও পূরণ হয়ে গেল ।তারপর টিকেট জমা দিয়ে আমরা বেরিয়ে পড়লাম। তবে একটা জিনিস দেখলাম আমরা ঢাকার বাইরে থাকলেও আমরাই প্রথম মেট্রোরেলে চড়ার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। আমার আত্মীয় যারা ঢাকায় আছে তারা এখনো মেট্রোরেলে চড়ে নি। আমরাই তাদেরকে মেট্রো রেলের সবকিছু বললাম। বেশ ভালো লাগলো ব্যাপারটা। আসলে কাজ না থাকলে ওই দিকটায় খুব একটা যাওয়া হয় না কারোরই, যার কারণে এটা হয়েছে। যাইহোক আমার কাছে কিন্তু বেশ ভালই লেগেছে। মেট্রোরেলে করে ঢাকা থেকে ফরিদপুরে আসতে পারলে সব থেকে বেশি ভালো লাগতো।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | OPPO Reno8 T |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।


আমারও খুব ইচ্ছে রয়েছে আপু মেট্রো রেলের ওঠার। যাই হোক আপনার সৌভাগ্য হয়েছে আপনারা খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন দেখে ভালো লাগলো। দিন যত যাবে তত আধুনিক হবে আর নতুন জিনিস সম্পর্কে ধারণা পেতেও যেমন সময় লাগবে পাশাপাশি অবাক হতে হবে। আশা করি এভাবে আমাদের দেশ উন্নতির দিকে এগিয়ে যাবে।
ভাইয়া কখনো সময় করে ঢাকায় গেড়ে নিশ্চয়ই চড়ে মনের ইচ্ছা পূরণ করবেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আপনি তো ঢাকার বাইরে থেকেও মেট্রোরেলে চড়ে ফেললেন আর আমরা ঢাকার ভিতরে থেকেও আজ পর্যন্ত মেট্রোরেলে চড়ার সুযোগই করে উঠতে পারলাম না । আপনি বিমানবাহিনী জাদুঘরে ঘুরতে গিয়ে পাশের মেট্রো রেল স্টেশন দেখতে পেয়ে সুযোগ বুঝে উঠে পড়লেন । আমাদের দেশে ভদ্রতা চলে না এখানে যে যার মত তাড়াহুড়ো করেই সবকিছু চালিয়ে যায় ।
আপু আপনিও একদিন সময় করে চড়ে আসবেন। বেশ ভালই লাগে ।নতুন একটা অভিজ্ঞতা হয়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
মেট্রো রেল উদ্বোধনের পর থেকে যখনই ঢাকা গিয়েছি, ভেবেছি যে এবার চড়ে ঘুরব। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেই সুযোগ হয়ে ওঠে নি। কিভাবে যেন সময় টা ফুরিয়ে যায়। এদিক থেকে আপনি বেশ লাকি আপু। যদিও আমি কলকাতায় মেট্রোতে উঠেছি। তাই কিছুটা অভিজ্ঞতা আছে। তবে নিজের দেশের মজাই আলাদা। খুব ভালো লাগলো আপনার অভিজ্ঞতা গুলো জেনে। শুভেচ্ছা রইলো আপু।
হ্যাঁ ভাইয়া আমি অবশ্যই লাকি আপনাদের সবার থেকে আগে আমি মেট্রোরেলে চড়ে ফেললাম। আপনিও কখনো সময় সুযোগ হলে ঘুরে আসবেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।