মাকে নিয়ে ডক্টরের কাছে যাওয়া
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা কিছুদিন থেকেই মাকে নিয়ে একটি টেস্ট করানোর কথা ছিল।যেহেতু আমার বাসার সবাই অসুস্থ ছিল তাই যাব যাব করে যাওয়া হয়ে উঠছিল না।কেননা আমার মায়ের ভিটামিন ডি কমে গিয়েছিল।ডাক্তার দেখানোর পর দু মাসের ঔষধ দিয়েছিল আর বলেছিল দু মাস পর আবার চেক করতে যে বেড়েছে কিনা।তাই টেস্ট টি করানো জরুরী ছিল।এরই মধ্যে হঠাৎ মায়ের চশমা টি ভেঙে যায়।নতুন চশমা বানাতে যাবে কিন্তু মা পুরনো প্রেসক্রিপশন টি হারিয়ে ফেলেছে।তখন আমাকে বিষয় টি জানালো।আমি বললাম যেহেতু অনেক দিন আগে চোখের ডাক্তার দেখানো হয়েছে ,তাহলে চলো আবার নতুন করে চেকআপ করিয়ে আসি। দেখা যাক পাওয়ার বেড়েছে কিনা।তাছাড়া তোমার টেস্ট টিও একসঙ্গে করে আসা যাবে।এই সিদ্ধান্ত থেকে আমি আর আমার মা প্রথমে চোখের ডাক্তারের কাছে গেলাম।তারপর অন্য টেস্ট করালাম।
মাকে নিয়ে ডক্টরের কাছে যাওয়া
এটি হচ্ছে আমাদের শহরের একমাত্র চক্ষু হসপিটাল। হসপিটালে যেয়ে দেখি প্রচুর ভিড়।কেননা এখানেই সব ডাক্তারের চেম্বার আছে।আমি যেই ডাক্তার কে দেখাবো তার চেম্বার খোলা কিনা আগে চেক করলাম ।তারপর টিকিট কাটতে গেলাম।সেখানে যেয়ে তো দেখি অনেক ভিড়।তারপর ডাক্তারের কাছে যে লোকটি থাকে তিনি নিজে থেকে আমাকে বললেন বেশি ভির হলে আমার কাছে টাকা দিন আমি কেটে এনে দিচ্ছি।তারপর লোকটি ভিতরে যেয়ে এক মিনিটের মধ্যে আমার টিকিট টি কেটে এনে দিল।ব্যাপারটি বেশ ভালো লাগলো না হলে তো অনেক দেরি এবং কষ্ট হতো।
তারপর আমরা ডক্টরের রুমের মধ্যে ঢুকলাম ।ডক্টর সমস্যা জানতে চাইলে আমরা সমস্যার কথা বললাম।তারপর কম্পিউটার টেস্টের জন্য পাঠানো হলো। তারপর সেখানে আবারো টিকিট কাটতে হলো । সেটিও পুরনো সেই লোকটিকে দিয়েই কাটালাম । প্রথমে অবশ্য আমি আবারো চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু ব্যর্থ হয়ে আবার ওনার সাহায্য নিলাম । তারপর রিপোর্ট নিয়ে ডক্টরের কাছে আবার গেলাম । তারপর ডক্টর চোখ ভালোভাবে পরীক্ষা করে প্রেসক্রিপশন করে দিলেন । তারপর আমরা ওখান থেকে বেরিয়ে মায়ের অন্যান্য টেস্টের জন্য অন্য একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গেলাম।
আসলে মায়ের ভিটামিন ডি অত্যধিক পরিমাণে কমে গিয়েছিল ,যার কারণে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা যাচ্ছিল। যেখানে স্বাভাবিক থাকতে হয় ৩০ থেকে ১০০ এর মধ্যে । সেখানে আমার মায়ের ছিল মাত্র ১০। যার কারণে এতদিন ঔষধ খাওয়ার পর আবার টেস্ট টি করানো হচ্ছে । ভিটামিন ডি বেড়েছে কিনা চেক করার জন্য । ভিটামিন ডি বাড়লে ঔষধ খাওয়া বন্ধ করতে হবে । তারপর আমরা ভিটামিন ডি টেস্ট করার জন্য টিকিট কাটলাম । সেখানে দেখলাম একটি টেস্টের জন্য তিন হাজার টাকা লাগবে । আসলেই একটি টেস্টের দাম এত কেন ব্যাপারটা বুঝতে পারলাম না । যাইহোক তারপর আমরা টিকিট কেটে টেস্ট করতে গেলাম।
তারপর টেস্ট করানোর জন্য মায়ের রক্ত নেওয়া হলো এবং তারা জানালো বিকেল চারটার মধ্যে টেস্টের রিপোর্ট পেয়ে যাব । তারপর আমরা সেখান থেকে চলে আসলাম । বিকেল বেলায় আমার ভাই টেস্টের রিপোর্ট আনতে গেল। আল্লাহর রহমতে এবার ভিটামিন ডি বেড়ে ৪৩ হয়েছে । এখন মোটামুটি সমস্যা মুক্ত বলা যায়। আল্লাহুর অশেষ রহমত রিপোর্টটা ভাল এসেছে। যদিও বয়সের কারণে অন্যান্য অনেক সমস্যা রয়েছে । তার পরেও একটি সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া গেল।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | OPPO Reno8 T |
লোকেশন: | খাবাসপুর ,ফরিদপুর |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।


মোটামুটি ঝামেলা হীন ভাবেই ডাক্তার দেখানো ও টেস্ট করতে পেরেছেন খালাম্মার। মেয়েরা এমনিতেই ভিটামিন ডির স্বল্পতায় ভোগে। তাই মেয়েদের ডি জাতীয় খাবার বেশি করে খেতে হয়। তবে খালাম্মার রিপোর্ট ভালো জেনে ভালো লাগলো।খালাম্মার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপু এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপু ভাগ্য এসে যখন নিজ হাতে ধরা দেয় তখন এমন ভাবে সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়। ডাক্তারের কাছে যে লোকটি থাকে তার মাধ্যমে দুই বার হেল্প নিয়ে সিরিয়াল ধরা থেকে বেচে গেলেন। আগে বলেন ঐ ছেলেটাকে কত টাকা ঘুষ দিয়েছেন,হে হে হে। ধন্যবাদ।
ভাইয়া এ ধরনের উপকারী মানুষ টিকে টাকা দিয়ে অসম্মান করতে চাইনি । তাই টাকা দিতে সাহস পাইনি। তবে শেষে হাসি মুখে একটি ধন্যবাদ দিয়ে চলে এসেছি । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
খুব সুন্দর ভাবে ডাক্তার দেখাতে পেরেছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। আসলে ডাক্তার দেখাতে গেলে বেশ ঝামেলা পোহাতে হয়। আপনি ঝামেলা ছাড়াই ডাক্তার দেখাতে পেরেছেন। আপনার আম্মু যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠে এই আশাবাদ ব্যক্ত করি। ডাক্তার দেখানোর অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
হ্যাঁ ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন ডাক্তার দেখাতে গেলে বেশ ঝামেলা পোহাতে হয়। যদিও আমার খুব একটা হয়নি। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
মা কে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে গেলেন খুব ভালো একটি কাজ করেছেন।যদিও বাসায় দুজন সদস্য অসুস্থ থাকার কারনে দেরি হয়ে গেলো। তবু ও টেস্টের রিপোর্ট ভালো এসেছে জেনে ভালো লাগলো।ভিটামিন ডি এর অভাব।মা কে বলবেন প্রতিদিন ১০/১১ টার মধ্যে একটু সূর্যের আলোতে হাঁটাহাঁটি করতে। আশা করা যায় মেডিসিনের চাইতেও ভালো কাজ দেবে।দোয়া করি আল্লাহ সুস্থতা দান করুন, আমিন।আপনার জন্য ও রইলো অনেক শুভকামনা আপু।
আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি পরামর্শ দেওয়ার জন্য। আমি এটি আমার আম্মাকে করতে বলি সবসময় , আবারো বলবো । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
প্রথমে আপনার মায়ের জন্য অনেক দোয়া রইলো ভাইয়া। দ্রুত আপনার মা যেন সুস্থ হয়ে যায়। বর্তমান সময়ে ভালো ডাক্তারের কাছে প্রচুর ভিড় থাকে। আর ওনারা রিপোর্ট দিতে দেরি করে। তবুও আপনার দেরি হয়নি এটা জেনে বেশ ভালই লাগলো। এখন মোটামুটি আপনার মা ও সুস্থ রয়েছে।
হ্যাঁ ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন বর্তমান সময়ে সব ডাক্তারের কাছেই ভিড় থাকে। যদিও এটা চোখের ডাক্তার ছিল তারপরেও বেশ ভিড় ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আল্লাহর রহমতে এবার ভিটামিন ডি বেড়ে ৪৩ হয়েছে জেনে একটু ভালো লাগলো। আপনার আম্মার ভিটামিন ডি ১০ ছিলো খুব কম। দোয়া করি সব কিছু আল্লাহর রহমতে ঠিক হয়ে যাবে। ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার বেশি বেশি খাওয়াতে হবে।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন সব সময়।