|| আজ ২৯ জানুয়ারি, ২০২৫ || রোজ: বুধবার||
হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদে পরিবার সহ ভালো আছি। বরাবরের মতো আজ আবারো আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজ একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের সামনে। আশা করছি আপনাদের বেশ ভালো লাগবে পোস্ট টি । কেমন লাগলো, আপনারা অবশ্য ই আপনাদের মতামত জানাবেন। আজ আর কথা বাড়াবো না। সরাসরি চলে যাই মূল পোস্ট এ....

ছবিতে:- দিঘাপাতিয়া রাজবাড়ির প্রধান ফটক
নাটোরে ঘুরতে গিয়েছিলাম এবছরের শুরুতেই। তখন নাটোরের দিঘাপাতিয়া রাজবাড়ি তে ঘুরে এসেছি। আমার কিন্তু টুকটাক ঘোরাঘুরি করা হয় ভালোই। কিন্তু কী জানি কোন অজ্ঞাত কারণে ভ্রমণ পোস্ট খুব কমই করা হয়। মানে ভ্রমণ পোস্ট শেয়ার করা হয় না বললেই চলে। তবে এবারে এই পর্বের মাধ্যমে নাটোরের ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করা শুরু করলাম। কদিন আগে অবশ্য দিঘাপাতিয়া রাজবাড়ির একটি ভিডিওগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করেছি আপনাদের মাঝে। ওটা আমার জীবনের প্রথম ভয়েসওভার দিয়ে বানানো ভিডিও। আপনারা বেশ উৎসাহ দিয়েছেন, তাই আপনাদের সকলের কাছে আমি কৃতজ্ঞ । আজকের পর্বে থাকছে রাজবাড়ির ই ভ্রমণ অভিজ্ঞতার ১ম পর্ব।
এই দিঘাপাতিয়া রাজবাড়ি নাটোর শহরের প্রায় ৩ কিমি উত্তরে বিশাল জায়গা জুড়ে অবস্থিত। আমরা অটোরিক্সা দিয়েই গিয়েছি। ওখানে ঢাকার তুলনায় রিক্সাভাড়া অনেক অনেক সস্তা লেগেছে আমার কাছে। যাই হোক, সকালের ১১ টার দিকেই আমরা মেইন গেইট এ পৌঁছে গিয়েছিলাম। প্রথমেই টিকিট করার পালা। ওখানে টিকিটিং সিস্টেম টা বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে৷ মেইন গেটের এক পাশে টিকিট কাউন্টার। টিকিটের জন্য সাধারণ মূল্য ৩০ টাকা, তবে স্টুডেন্ট, প্রতিবন্ধি, এবং ষাটোর্ধ্বদের জন্য আরোও কম। আবার গ্রুপ হিসেবে গেলেও টিকিট মূল্য কিছুটা কম। আমি প্রবেশ মূল্য এর বিস্তারিত ছবি তুলে এনেছি এবং এই রাজবাড়ির ইতিহাসের ও একটি ছবি তুলে এনেছি আপনাদের জন্য। আপনারা চাইলে এখান থেকে খুব সহজেই জেনে নিতে পারবেন।

ছবিতে:- মেইন গেটের একপাশেই লাগোয়া টিকিট কাউন্টার

ছবিতে :- প্রবেশ মূল্য, গাড়ি পার্কিং চার্জ এবং খোলা ও বন্ধের সময়ের বিস্তারিত

ছবিতে :- দিঘাপাতিয়া রাজবাড়ির সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
প্রধান ফটক দিয়ে বেশ কিছু দূর হাঁটা পথ। দুইপাশ দিয়েই দেখা যাচ্ছে পরিখা। এই পরিখা দিয়ে পুরো রাজবাড়ির পুরো অংশটিই পরিবেষ্টিত রয়েছে৷ মূলত শত্রুপক্ষের হঠাৎ আক্রমণ রুখতেই এই পরিখার ব্যবস্থা। এদিকে বেশ কিছু গাছ দিয়ে ঘেরা ছিলো। ওখানের মালির সাথেও ঘটনাক্রমে আমাদের পরিচয় হয়। উনার থেকে জানতে পারি এই গাছ গুলোর নাম নাকি - মন্দির ঝাউ। এই নাম আমি আগে শুনি নি। মালি যেটা বলেছিলেন তা হচ্ছে মন্দিরের মতো দেখতে বলেই এমন নাম।

ছবিতে :- মেইন গেট দিয়ে ভেতরে ঢোকার পর ভেতর থেকে মেইন গেট এর ভিউ। দুই পাসের সারি বদ্ধ গাছগুলোর নাম ই মন্দির ঝাউ বলেছিলেন মালি।

ছবিতে:- পরিখার অংশবিশেষ

ছবিতে:- মেইন গেট দিয়ে ঢুকে ভেতরের পথ।

ছবিতে:- আমার মা ও আমি ভেতর থেকে প্রধান ফটকের সামনে। মূলত আমার মা, পিসতুতো ভাই আর আমি এই তিনজনে গিয়েছিলাম রাজবাড়ি দেখতে।
আমার আজকের পোষ্ট এ পর্যন্তই থাকলো।পরবর্তীতে আবারো বাকি অংশ গুলো ধীরে ধীরে প্রকাশ করবো। আগামী কাল হয়তো আবারো হাজির হবো অন্য কোন বিষয় নিয়ে। আপনাদের কেমন লেগেছে, জানাবেন কিন্তু।সকলের মতামত আমার ভবিষ্যতে পথচলায় সহায়তা করবে। সবাই সাবধানে থাকবেন, ভালো থাকবেন। সবার সুস্থতা কামনা করে আমি আমার আজকের পোষ্ট এখানেই শেষ করছি। সকলকে আমার পক্ষ থেকে শুভরাত্রি।
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼





VOTE @bangla.witness as witness
OR @rme as your proxy

আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি।
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
নাটোরের দিঘাপাতিয়া রাজবাড়ি ভ্রমণের কথা কিছুদিন আগেই শুনেছিলাম আপনার থেকে। আজকে দীঘাপাতিয়া ভ্রমণের পর্বটি পেয়ে গেলাম। বেশ কিছু তথ্য দিয়ে আজকের পর্বটি সাজিয়েছেন। সেই সাথে চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফিও অ্যাড করে দিয়েছেন। নাটোরের দীঘা পাতিয়া রাজবাড়ী সম্পর্কে মোটামুটি জ্ঞান পেয়ে গেলাম আপনার পোস্ট থেকে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আপু। তবে শেষ থেকে দুই নাম্বার ফটোগ্রাফিতে একজোড়া কাপল এর হেঁটে যাওয়ার দুর্দান্ত একটি স্টাইল ক্যাপচার করেছেন হা হা হা।
এমন স্পট গুলো তো আজকাল কাপল দিয়েই ভরপুর থাকে ভাই। না চাইতেই ফ্রেমে চলে আসছিলো। 🤭
নাটোরের দিঘাপাতিয়া রাজবাড়ির নামটি শুনেছি।আর আপনার পোস্টের মাধ্যমে তা দেখতে পেয়ে বেশ ভালো লাগলো। দেখতে বেশ সুন্দর রাজবাড়িটি। আর বেশ সুন্দর বর্ণনা করেছেন রাজবাড়ির ইতিহাস। নাটোরের দিঘাপাতিয়া রাজবাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আমার কাছে দেশের অন্যান্য অনেক রাজবাড়ির চেয়ে বেশ গোছানো লেগেছে এই রাজবাড়ি টি। হয়তো উত্তরা গণভবন হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার জন্যই। আপনার মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।