নতুন জীবন পাওয়া...
হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদে ভালো আছি।
Image source : Pixabay.com
আজ সকাল বেলায় প্রায় সাড়ে নয়টার দিকে ঢাকা সহ দেশের অনেক জায়গায়ই বেশ জোরেশোরে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা পরিমাপ করা হয় ৫.৬ । আজকের এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল কিন্তু বাংলাদেশেই। তাই আজকের ভূমিকম্প বেশ ভালোমতোই অনুভূত হয়েছে প্রায় পুরো দেশেই। যদিও বড় কোন ক্ষয়ক্ষতি হয় নি। তবে কুমিল্লায় অনেক পোশাক কল কারখানায় শ্রমিকেরা ভূমিকম্পে আতংকিত হয়ে যায়। এমন সময়ে বেশ কিছু বিশৃঙ্খলা ঘটে।
আমার কাছে মনে হয়, এক একটি ভূমিকম্প থেকে রক্ষা পাওয়া মানেই নতুন আরেকটি জীবন পাওয়া। মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপা না থাকলে এই ভূমিকম্পেই আমরা শেষ হয়ে যেতে পারতাম। যেহেতু এখনো সুস্থভাবে বেঁচে রয়েছি, এর মানে সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে নতুন আরেকটি জীবন উপহার পেয়েছি।
আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, এবছরই ফেব্রুয়ারী মাসে তুরষ্ক কত বড় ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে ভূমিকম্প এর জন্য। এক মুহূর্তে সবকিছু কেমন লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছিলো। কী ভয়াবহতারই না সাক্ষ্মী হয়েছি আমরা! অথচ কেউই তো ঘুমানোর আগে ভাবে নি যে পরের দিনের সকাল তারা আর দেখতে পারবে না!
সালটা তখন ২০১১। আমি তখন ইন্টারে পড়ি। একদিন কলেজে ক্লাস করছি, এমন সময়ই হঠাৎ ভূমিকম্প। আমার গা-মাথা ডেক্স ভরে যায় মাথার উপরের সিলিং থেকে খসে পড়া চুন দিয়ে। ঠিক উপরের দিকে দেয়ালে কিছুটা ফাটল দেখা দিয়েছিলো সেদিনের ভূমিকম্পে। সেদিন মেয়েদের ভয়ার্ত চেহারা দেখে আমাদের টিচার বলেছিলেন," এই যে ভূমিকম্প থেমে যাওয়ার পরেও বেঁচে আছি সকলে, আমাদের উচিত শ্রদ্ধাভরে আমাদের সৃষ্টিকর্তার নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। কারণ তিনি না চাইলে আজ এই মুহুর্ত আমরা বেঁচে থাকতে পারতাম না । এটি আমাদের একটা বোনাস জীবন হিসেবেও আমরা কাউন্ট করতে পারি। এই যে আমরা প্রতিদিন ঘুম থেকে জেগে উঠি, আমাদের জন্য এটি খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু আমরা ভুলে যাই, একদিন তো আমরা ঘুম থেকে নাও উঠতে পারি। পরের দিনের সকাল যে আমরা দেখবোই, তার তো কোন গ্যারান্টি আমাদের হাতে নেই। তারপরেও আমরা আমাদের সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রতিদিনের জন্য কি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি?" সেদিনের পর থেকে আমি কিছু কিছু জিনিস নতুন ভাবে ভাবতে শিখেছি। প্রতিবার ভূমিকম্প এর পর পরই আমি আমার সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি, আমাকে, আমার পরিবারের সকলকে রক্ষা করার জন্য, নতুন জীবন দেয়ার জন্য। প্রতিদিন বাসায় ফিরেও কৃতজ্ঞতা জানাই, বাসায় ঠিকমতো পৌঁছাতে পেরেছি এই জন্য। প্রিয় মানুষটিও যেন ঠিকভাবে বাসায় ফিরে সেই প্রার্থনা করি হররোজ। জীবনে যা কিছু ভালো, সবই তো সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদের কারণেই সম্ভব হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তাকে সামান্য কৃতজ্ঞতা জানাতে আমরা ভুলি কেন?
যাই হোক, সবাই ভালো থাকবেন, সাবধানে থাকবেন। সবার জন্য শুভকামনা।
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি। OR
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
আসলেই ঠিক তো ভূমিকম্পের পরেও আমরা এখনো বেঁচে আছি এজন্য অবশ্যই শুকরিয়া আদায় করা উচিত, হতে পারতো এটাই শেষ ঘুম এটা হতে পারতো সকলের শেষ সকাল। একটু অনুভবে চিন্তা করলে কিন্তু দেখা যায় আমরা নতুন একটা জীবন পেয়েছি।
অবশ্যই তাই। আমরা যে প্রতিটি দিন বেঁচে থাকি, আমাদের সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা দরকার। মৃত্যু কখন কার কাছে কড়া নাড়বে, আমরা কেউ ই জানি না।
আসলেই আপু আমরা এইরকম অনেক বিপদ থেকে হয়তো বেঁচে গিয়েছি কিন্তু সৃষ্টিকর্তার প্রতি তাও অনুগত্য স্বীকার করি না। গতকালের ভূমিকম্পের সময় আমি ঘুমিয়েছিলাম সেজন্য কিছু বুঝতে পারি নাই। কিন্তু পরে দেখি বেশ ভালোভাবে সেটা সবাই অনুভব করেছে।
আপনার মার্কডাউন টা কোন কারণে ঠিকভাবে হয়নি। সেজন্য কোড টা পোস্টে চলে এসেছে। ওটা একটু খেয়াল করবেন আপু।
অসংখ্য ধন্যবাদ ইমন ভাই। মার্কডাউনের সমস্যা টি আমি সংশোধন করে নিয়েছি।