প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। সকলের সুস্থতা কামনা করে আজকের পোষ্ট টি শুরু করেছি।
মাথা ব্যাথায় ভোগে না, এমন মানুষ বোধ হয় চাইলেও খুঁজে পাওয়া যাবে না। মাথা ব্যাথা খুব কমন একটি রোগ।কথায় তো খুব প্রচলিত যে, মাথা থাকলে ব্যাথা তো করবেই। তা করুক, তবে সাধারণ মাথা ব্যাথা আর মাইগ্রেন এর মাথা ব্যাথায় বিস্তর ফারাক রয়েছে। যারা মাইগ্রেন এর মাথা ব্যাথায় ভোগেন, তারাই জানেন এ চিজ কী চিজ! 😵💫
বিগত প্রায় ৩ দিন ধরে প্রচন্ড মাইগ্রেন এর ব্যাথায় ভুগছি। মাইগ্রেন এর সমস্যা আমার জীবনের সাথে জড়িয়েছে আমার ছেলেবেলাতেই। সেই ২০০৫ সাল থেকে শুরু.... কত ডাক্তার, কত ওষুধ, কত নিয়ম মানা...... জীবনে কতকিছু এলো-গেলো, কিন্তু সেই ছেলেবেলা থেকে মাইগ্রেন আর সঙ্গ ছাড়লো না আমার! বৃষ্টি আমার ভীষণ পছন্দের ছিলো, কিন্তু বৃষ্টিতে ভিজলেই মাইগ্রেন এটাক করে! বাদ দিলাম বৃষ্টিতে ভিজা! তবুও মাইগ্রেন এর ব্যাথাকে চাই না.. কিন্তু আমি না চাইলেই কি হবে? মাইগ্রেন হচ্ছে সারাবছর এর নবাবী রোগ!
- অতিরিক্ত রোদে যাবা? যতই ছাতা আর সানগ্লাস ব্যবহার করো, মাইগ্রেন এসে হাজির!
- অতিরিক্ত ধূলোবালি? -মাইগ্রেন হাজির!
- বৃষ্টির কথা তো আগেই বললাম...
- ঘুম কম হচ্ছে? চলে আসবে মাইগ্রেন!
- পিরিয়ড টাইম? - মাইগ্রেন হাজির সঙ্গ দিতে!
- পরীক্ষা/কাজ/ প্রেশার/ চিন্তা--- মাইগ্রেন হাজির!
- ধরুন উপরের কিছুই নাই! তারপরেও শুধু শুধুই মাইগ্রেন এসে হাজির!
যাদের মাইগ্রেন এর সমস্যা আছে, তাদের না গ্রীষ্ম কালে আরাম, না বর্ষায়, না শীতকালে!! এখন আবহাওয়া, বাইরের আলো, শব্দ, ধুলোবালি এগুলোর উপর তো আর মানুষের কন্ট্রোল নেই। মাঝে দিয়ে ভুক্তভোগী হয় যাদের মাইগ্রেন আছে, তারা!
আমার মনে আছে, এস এস সি এর টেস্ট পরীক্ষার সময়, পরের দিন আমার ফিজিক্স পরীক্ষা, অথচ আমি রীতিমতো ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে বিছানায় কাথামুড়ি দিয়ে শুয়ে অঝোরে কান্না করছি মাইগ্রেন এর ব্যাথার চোটে! না সহ্য করতে পারছি লাইট, না কারোর শব্দ! পরে আমার তখনকার হোম টিউটর এসে আমাকে পাশে বসিয়ে ঊনি ইম্পর্টেন্ট পড়া গুলো জোড়ে জোড়ে রিভাইজ করছিলেন, আর আমি চোখ বন্ধ করে শুনে শুনে পরের দিনের টেস্ট পরীক্ষা দিয়েছিলাম!
এখন হয়তো আগের থেকে সহ্য ক্ষমতা বেড়েছে। কিন্তু মাইগ্রেন এর ব্যাথা এখনো পিছু ছাড়ে নি! এখনো যেমন বিগত তিন দিন থেকে মাথা ব্যাথা নিয়েই চলছি! তবে মোবাইল স্ক্রিন থেকে দূরে থাকছিলাম বিধায় আপনাদের সাথে পোষ্ট/কমেন্ট / যোগাযোগ করা হয় নি তেমন। আসলে নিজের অভিজ্ঞতা দিয়েই যতটুকু বুঝি, যাদের মাইগ্রেন আছে, তাদের জীবনে আর অন্য কোন শত্রুর প্রয়োজন হয় না....
মহান সৃষ্টিকর্তা সকলের মঙ্গল করুক। সবাই চেষ্টা করবেন সুস্থ থাকার, ভালো থাকার। আমার জন্য একটু প্রার্থনা করবেন প্লিজ।
</ div>
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼


VOTE @bangla.witness as witness
OR @rme as your proxy

আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি।
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
Posted using SteemPro Mobile
আমার বয়স যখন ১৫ বছর তখন থেকে আমি মাইগ্রেনে ভুগছি।
দশ বছর হয়ে গেল এখন পর্যন্ত পরিপূর্ণভাবে কোনদিন ভালো থাকতে পারেনি।
মাঝে মাঝে এতটা যন্ত্রণা দেয় ইচ্ছে করে না বেঁচে থাকতে।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন যার মাইগ্রেন আছে তার আসলেও কোন শত্রুর আর প্রয়োজন নেই।
এ যেন ঘরের শত্রু বিভীষণ।
আপু আপনার অসুস্থতার কথা জেনে অনেক খারাপ লাগছে। মাইগ্রেইন যাদের রয়েছে তারা এই সমস্যা বোঝে। সত্যিই আপু খুবই খারাপ একটি অবস্থার মধ্যে আছেন আপনি। আপনার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।
একটু প্রার্থনা করবেন আপু। আসলেই সুস্থতা অনেক বড় নিয়ামত, সেটা অসুস্থ হলে বোঝা যায়।
আপনার অসুস্থতার কথা শুনে খুব খারাপ লাগছে। মাইগ্রেন এমন একটি সমস্যা যার ফলে মানুষের জীবন একদমই অতিষ্ট হয়ে যায়। এই সমস্যা একবার শুরু হলে পুরো শরীরকে যেন ধ্বংস করে দিতে থাকে৷ আপনার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি৷
কথা সত্য ভাই। আপনার দোয়ার জন্য শুকরিয়া।
ভালো নাম দিয়েছেন দিদি, মাইগ্রেনকে নবাবী রোগ নাম দিয়ে। যাদের এই রোগ আছে তারা সারা বছর ধরেই অনেক সমস্যা ফেস করে । যদিও আমার মাইগ্রেনের সমস্যা নেই, তবে আমি আমার বন্ধু-বান্ধবের মুখে শুনেছি এই রোগ সম্পর্কে। খুবই সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় তাদের এই মাইগ্রেন নিয়ে। হঠাৎ হঠাৎ করে মাথা যন্ত্রণা শুরু করে, মাথা ছিড়ে যাচ্ছে এরকম ফিল হয়, এইসব তারা বলে। এই রোগের পার্মানেন্ট কোন সলিউশনও নেই, এটা দুঃজনক। অনেক ডাক্তার দেখিয়েও কোন কাজ হয় না এই রোগে। দিদি আপনি একটু রেস্টে থাকেন আর ফোনের ব্যবহার তাহলে একটু কম করেন এই সময়।
তাই ই করেছি দাদা। যখন মাত্রাতিরিক্ত ব্যাথার পর্যায়ে যাচ্ছে, তখন মোবাইল প্রয়োজন ছাড়া নাড়ি নি।
মাথা যন্ত্রণা বেশি হয়ে গেলে, ছোট্ট করে একটা ঘুমও দিয়ে নিতে পারেন । যদি তখন যন্ত্রণা থেকে কিছুটা রিলিফ পাওয়া যায়।
আমার এক পরিচিত দাদাকে খুব কাছ থেকে দেখেছি মাইগ্রেনের ব্যাথায় ভুগতে। এছাডাও পরিচিত অনেকের মুখে এর তীব্রতা সম্পর্কে শুনেছি। কোন কিছুতেই নাকি কাজ হতে চায় না। আর একবার শুরু হলে সহজে থামে না। ডাক্তার দেখিয়েও নাকি কাজ হয় না তেমন। আপনার যে এই সমস্যায় ভুগতে হয় এটা শুনে সত্যিই খারাপ লাগলো দিদি। প্রার্থনা করি যেন এই অসহ্য যন্ত্রণার হাত থেকে ভগবান আপনাকে মুক্তি দেয়।
আসলেই দাদা, কোন ওষুধেই তেমন একটা কাজ করে না। আমার ছোট খাটো ব্যাথা গুলো তো ইগ্নোর করি, কিন্তু তীব্রতা বেশি হলে তখন টেকা একটু মুশকিল ই হয়ে যায়। অনেক সময় তো সপ্তাহ ব্যাপীও এই মাথা ব্যাথা নিয়েই থাকতে হয় দাদা। 🙃