হাসবেন্ড এর রুট ক্যানেল করাতে ডেন্টিন্সট এর শরণাপন্ন..
হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদে ভালো আছি। তবে কয়েকদিন আগেই একটি পোষ্টে বলেছিলাম যে আমার হাসবেন্ড এর দাঁতের ব্যাথায় খুব যন্ত্রণা পাচ্ছিলো, তাই ডেন্টিস্ট এর কাছে গিয়েছিলাম। তারই ধারাবাহিকতায় তার একটি দাঁতে রুট ক্যানেল করানো হচ্ছে।
আমরা গতকাল গিয়েছিলাম ডেন্টিস্ট কাছে। এই নিয়ে আসলে দুই দিন হলো কাজ শুরু করার। ডাক্তার আগে থেকেই সময় নিয়ে যেতে বলেছিলেন। আমার হাসবেন্ড এর যে দাঁতে পাল্পাইটিস, সেই দাঁতের নাকি রুটও বেশ বাঁকা। তাই সময় নিয়ে কাজ করতে হবে বলে দিয়েছিলেন৷ আমরা দুপুরে ৩ টার দিকে চলে যাই। কাজ শুরু করার সময় প্রথমেই মুখ অবশ করে নিলেন। ডাক্তার সাহেব এর কাজের সাহায্য করার জন্য দুইজন এসিস্ট্যান্ট রয়েছেন। ঊনারাই বেশিরভাগ জিনিসপত্র যা যা লাগে সব রেডি করে ডাক্তার সাহেবকে এগিয়ে দিচ্ছিলো। দাঁতের কাজ করানো আসলে যথেষ্ট পেইনফুল এবং ভেজালের বিষয়। যেভাবে মুখ টা হা করে ক্লিপের সাহায্যে আটকিয়ে রাখা হয়, এতক্ষণ সময় এভাবে থাকাটাই তো বিরক্তিকর বলে আমার মনে হয়। আর প্রচুর ইন্সট্রুমেন্ট এর প্রয়োজন হয় যা দেখলাম। একটু পর পর এটা দাও, ওটা দাও.... F1, F2, S4 এমন কি কি জানি বলছিলেন তার এসিস্ট্যান্ট দের। আর তারা সে অনুযায়ী ইন্সট্রুমেন্ট এগিয়ে দিচ্ছিলেন।
ডাক্তার সাহেব হাতে একটি আংটির মতোন একটি জিনিস পরেছিলেন, যেখানে আবার স্কেলের মতোন মাপ দেয়া আছে। সেই স্কেলে মাপ দেখে দেখে বিভিন্ন নিডলের মাপ ঠিক করে নিয়ে নিয়ে কাজ করছিলেন। মাঝে আবার কতক্ষণ পর পর প্রয়োজন হলে এক্সরে করে নিয়ে দেখে নিচ্ছেন। তবে কিছুক্ষণ গ্লাভস পরে কাজ করছিলেন আবার কিছুক্ষণ গ্লাভস ছাড়াই কাজ করছিলেন। এই জিনিসটা কেন জানি আমার কাছে একটু অসস্তির লাগছিলো। কারণ সরাসরি হাত ব্যবহার করার কারণে তো ইনফেকশন হওয়ার পসিবিলিটি বেড়ে যাওয়ার কথা। যদিও উনি পরে এই কথাটা ক্লিয়ার করেছেন। তো উনি মোটামুটি টানা ২ ঘন্টার মতো কাজ করে একটু ব্রেক নিলেন৷ এই সময়ে আমাদের সাথে টুকটাক কথা বললেন। তখন ই উনি যে ক্লিয়ার করেন যে গ্লাভস এ মাঝে মাঝে গ্রিপের সমস্যা করে৷ তাই গ্লাভস ছাড়াই কাজ করলে কাজ ভালো হয়। কিন্তু তারপরেও ব্যাপারটা আমার কাছে খুব একটা ভালো লাগে নি।
উনি আবারো নিজের কাজ শুরু করেন। এবং মোটামুটি আরো ঘন্টা খানেক এর মতো কাজ করেন। এতক্ষণ ধরে উনি একটি দাঁতের দুইটা রুট নাকি কাজ শেষ করেছেন। আরো দুইটি রুটের কাজ বাকি। এর জন্য আরো এক সপ্তাহ পরে আবার যেতে হবে। তো কাজ শেষে উনি আপাতত এক সপ্তাহের মতোন একটা ফিলিং করে দিয়েছেন। আবারো সামনের শনিবার পর্যন্ত অপেক্ষা। ওই দিনই নাকি ক্যাপের মাপ নিয়ে নিবেন কাজ শেষে। তারপরে আবারো যেতে হবে ক্যাপ পড়ানোর জন্য।
তো, এই ছিলো গতকালকের অভিজ্ঞতা।
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি। OR
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
আমিও ঠিক এভাবে আমাদের প্রিয় মুস্তাফিজুরের দাঁতের সমস্যা দূর করার জন্য ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়েছিলাম তিনবার। আর সেই সমস্ত দৃশ্যগুলো ক্যামেরা ধারণ করে তাকে দিয়েছিলাম, পরবর্তীতে সে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছিল আপনার আজকের পোষ্টের মাধ্যমে। সেই দিনের কথা স্মরণ হলো। দোয়া করি যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে যায় আপনার হাজব্যান্ড।
পুরনো স্মৃতি এভাব মাঝে মাঝে নতুন করে মনে পরলে, ব্যাপারটা বেশ ভালোই লাগে। আর এমন চিকিৎসার সময় পাশে প্রিয়জন থাকলে মনে সাহস পাওয়া যায় ভাই।
দাঁতের ব্যথা খুবই ভোগান্তির। আসলে এই সমস্যাগুলো খুব সহজে ঠিক হতে চায় না। আর রুট ক্যানেল করা অনেক সময়ের ব্যাপার। যাই হোক আপু দ্রুতই যেন উনি সুস্থ হয়ে যান এই প্রত্যাশাই করি।
হ্যা আপু। দাঁতের চিকিৎসা যেমন সময়সাপেক্ষ, তেমনি ব্যায়সাপেক্ষও বটে! দোয়া করবেন আপু।
দাঁতের ব্যাথা নাকি খুব সাংঘাতিক রকমের ব্যাথা আমি এই ব্যাথায় ভুগিনি কিন্তুু আক্কেল দাঁত ওঠার ব্যাথার সময় বুঝেছি কেমন কষ্ট। দাঁতের চিকিৎসা করাটা খুব সেনসিটিভ তাই অনেক সময় ধরে করতে হয়। আসলে ডাক্তারের অনেক কথাই আমরা বুঝতে পারি না।দুটো রুট শেষ করেছে আরো দুইটা বাকি। এর জন্য এক সপ্তাহ আবার অপেক্ষা করতে হবে সাথে কষ্ট। কি আর করার অপেক্ষায় থাকা ছারা।আসলেই গ্লাভস ছারা ইনফেকশনের ঝুকি থাকে।কিন্তুু ডাক্তার তার সুবিধা মতোই তো কাজ করে থাকেন। টেনশন করিও না সব ঠিক হয়ে যাবে।ধন্যবাদ পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
আসলেই দাঁতের ব্যাথা মারাত্নক ব্যাথা! ও বেশ কয় রাত ঘুমাতে পারে নাই ব্যাথার চোটে