লাইফস্টাইল পোস্ট :- কর্তামশাই এর নতুন মোবাইল
হ্যাল্লো বন্ধুরা
|| আজ ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ || বুধবার ||
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করছি আপনারা সকলে সব দিক থেকে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় পরিবার সহ যেমন আছি, বেশ ভালো আছি। আজ বরাবরের মতো আবারো আপনাদের মাঝে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে।আজ একটি লাইফস্টাইল পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করবো আমার পোস্ট টি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে। এবং আপনারা আপনাদের মূল্যবান মতামত শেয়ার করবেন। তো আর কথা না বাড়িয়ে সরাসরি চলে যাই মূল পোস্ট এ।
স্মার্ট ফোন এখন মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কোনো ভাবেই একটি সম্পূর্ণ দিন তো দূরের কথা, কয়েক ঘন্টাও যেনো স্মার্টফোন ছাড়া চিন্তা করা যায় না। আমার কর্তা মশাই এর স্মার্ট ফোন টার ব্যাটারি লাইফ কিছুটা কাহিল হয়ে গিয়েছিলো। যদিও দু বছর সম্পূর্ণ হয় নি আগের মোবাইল টি কেনার। তবুও ফার্স্ট চেঞ্জ এর এই দুনিয়ায় একটা মোবাইল দুইবছর চালানোর পর আসলে নিজের কাছেও আর তেমন ভালোও লাগে না সাধারণত। নিত্য নতুন ই যেখানে ফোনের ফিচার আপডেট হচ্ছেই, তখন আগের ফোন আর কার ই বা কতদিন ভালো লাগে! আর সামনেই যেহেতু আমরা পরিবার সহ বাহিরে ঘুরতে যাবো, তাই তার আগেই মোবাইল টা চেঞ্জ করতে চাচ্ছিলেন জনাব। বেশ অনেক দিন থেকেই বিভিন্ন মোবাইল নিয়ে খোঁজ খবর ও নিচ্ছিলেন। মানে বিভিন্ন মোবাইল রিলেটেড যত প্রো & কনস জানা যায়, সব কিছু নিয়েই জানার চেষ্টা করছিলেন। মোবাইল ও ইলেক্ট্রনিক এর জিনিসে তো দাম এর ব্যাপার টাও মাথায় রাখতে হয়। বাজেটের মাঝে যতটুকু ফিচার কভার করা সম্ভব হয় আর কি তারই প্রচেষ্টা।
<div class = "text-justify> আমাদের বাজেট এবং তার খোঁজ-খবর এর উপর ভিত্তি করে ঠিক করা হলো গুগোল পিক্সেল 7 প্রো মডেল এর মোবাইল টি কিনবেন। মূলত ক্যামেরা কোয়ালিটি এবং ফোনের পারফরম্যান্স কে প্রায়োরিটি দিয়ে এই মডেল টি সিলেক্ট করা হয়। ছুটির দিনে দুপুরের খাবার খেয়ে আমরা দুজনে মিলে চলে গেলাম বসুন্ধরা সিটিতে৷ বসুন্ধরা সিটিতে বেশ অনেক গুলো দোকান ই রয়েছে। তবে আমরা সরাসরি চলে যাই Sumash Tech এর শো রুমে। যেহেতু আগে থেকেই মডেল ঠিক করেই গিয়েছি, ওখানে গিয়ে আর অন্য কোনো অপশন দেখা হয় নি। গুগোল পিক্সেল 7 প্রো মডেল এর দুইটি কালার এভেইলএবল ছিলো তখন দোকানে। উনি এই হ্যাজেল কালার টাই পছন্দ করেন। যদিও আমাদের মোবাইলের মডেল ঠিক করাই ছিলো আগে থেকে, তারপরেও Sumash Tech এর দোকানে অনেক ভীড় থাকার কারণে এবং ওদের ডিলিং সিস্টেম এর কারণে বেশ সময় লেগে গিয়েছিলো।
প্রথমে গিয়ে কালার ফিক্স করার পর ওরা একটি ফর্ম ফিল আপ করতে দেয়। সাথে আর কি কি সার্ভিস/ প্রোডাক্ট নিবো সেটা একসাথেই বলে একটি স্টিকি নোটে তারা নোট করে নেন। গুগোল এর এই ফোন গুলোর সাথে এখন চার্জার ও থাকে না, কেবল তার দেয়া থাকে। হেডফোন তো বাদই! অথচ বেশ আগে যে কোনো ফোনের সাথেই চার্জার, হেডফোন, এমনকি মাঝে মাঝে তো কভার ও ফ্রি থাকতো। এই ঘটনা টি মনে পরে গেলো, কারণ বাবা নতুন ফোন কিনলে সেটার হেডফোন নিয়ে কাড়াকাড়ি লেগে যেতো বাসায় ভাই-বোনের মাঝে! বাবা তো আর হেডফোন ইউজ করতো না! ওদিকে অরিজিনাল হেডফোন কে আর মিস করতে চায়! 🤭 যাই হোক, আমরা ওখান থেকেই মোবাইলের সামনে পিছনে পলি লাগিয়ে নিয়েছিলাম এবং একটি উপযোগী চার্জার ও নিয়ে নিয়েছিলাম। তো ফর্ম ফিল আপ করে কাউন্টারে গিয়ে টাকা জমা দেয়ার পর সেই রিসিট দেখালে আবার কাউন্টার থেকে ফোনের পলি লাগিয়ে দেয়। এবং ওরা ফোন কেনার আগেই বলে দিয়েছিলো যে গুগোল পিক্সেল ফোনে মাঝে মাঝে নেটওয়ার্ক ইস্যু করে থাকে, তবে কিছু সেটিংস চেঞ্জ করে নিলে আর তেমন সমস্যা করে না। তারা নিজেরা সেটিংস ও চেঞ্জ করে ফোন রেডি করে দিলো। সব মিলিয়ে ওখানে প্রায় আড়াই ঘন্টা সময় লেগে যায় আমাদের। আবার বাসায় এসে যেহেতু নতুন ফোনের সব সেটিংস ও আপডেট এর ব্যাপার আছে, তাই পরে আমরা সরাসরি বাসায় চলে আসি।
এই ছিলো আমার কর্তা মশাই এর নতুন মোবাইল কেনার অভিজ্ঞতা। আজকের লেখা আর বাড়াচ্ছি না। সকলের সুস্থতা কামনা করে আমার আজকের লেখা এখানেই শেষ করছি। শুভরাত্রি।
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শিক্ষগত যোগ্যতায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। দীর্ঘ ৬ বছর চাকরির পর বর্তমানে পুরোদমে একজন গৃহিণী। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি। OR
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাহ এ তো দেখছি সে মডেলের ফোন।আমিও কয়েক মাস আগে এই সেই মডেলের ফোন কিনেছি।ঠিক বলেছেন দিদি, ফোন বেশি দিন ভালো থাকে না। এই যুগে সবকিছু এখন ফার্স্ট। একটা ফোন আর কত দিনে ব্যবহার করতে ভালো লাগে বলুন। বসুন্ধরা সিটিতে গিয়ে দারুন একটি ফোন কিনেছেন আপনারা। আমার ফোনও সাদা রংয়ের। একেবারে সেম সেম। যাক, ফোন কেনার অনুভূতি পড়ে বেশ ভালই লাগলো।
আশা করছি আপনি আপনার ফোনের পারফরম্যান্স নিয়ে খুশি??