"আল-নূর" আই হাসপাতালে একদিন

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

হ্যাল্লো বন্ধুরা

হ্যাল্লো আমার বাংলা ব্লগবাসী। আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদে ভালো আছি।

আমরা যারা কানাবাবার দল, মানে নিয়মিত চশমা ব্যবহার করতে বাধ্য, পারলে ঘুমানোর সময়ও চশমা পরে ঘুমাই, আমরা জানি যে চোখের পাওয়ার নিয়মিত ৬ মাস পর পর চেক আপ করানো ভালো। আমি তো বহু বছর আগে থেকেই নিয়মিত চশমা ব্যবহার করি। সেই ২০০৫ সালের ডিসেম্বর থেকে শুরু..... চশমা আর মাইগ্রেন, এই দুইটা জিনিস তখন থেকে আর আমাকে ছাড়ে নি। তো বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই ভাবছিলাম অনেকদিন হয়ে গেলো চোখের পাওয়ার চেক আপ করানো হয় না, একবার চেক আপ করানো প্রয়োজন। শেষ চেক আপ করিয়েছিলাম ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে৷ আমি আর আমার হাসবেন্ড দুইজন ই একসাথে চোখের ডাক্তার দেখাই বিগত দুই বছর ধরে৷ এবারো একসাথে দেখাবো। আমরা আগে 'বাংলাদেশ আই হসপিটাল ' এ দেখাতাম। 'বাংলাদেশ আই হসপিটাল ' আমাদের বাসা থেকে একটু দূরে হয় আবার দূরত্বের চেয়ে বড় কথা, ওই রাস্তাটায় ট্রাফিক জ্যাম অনেক বেশি থাকে। তাই ওটা এভোয়েড করতে চাচ্ছিলাম এবার। এবং ভাবছিলাম যে কাছাকাছি কোথায় দেখাবো।


আমার হাসবেন্ড খোঁজ খবর নিয়ে বললো, আমাদের বাসার কাছাকাছি হবে এমন একটা চক্ষু হাসপাতাল রয়েছে, " আল-নূর আই হাসপাতাল"। দুজনে মিলে ঠিক করলাম এবার ওখানেই দেখাবো...


শুরুতেই ওখানে রিসিপশন ডেস্কে টিকিট কাটতে হয়। পার পারসন টিকিট মূল্য ২০০ টাকা এবং চোখের পাওয়ার চেক আপ এর জন্য ৫০ টাকা করে মোট ২৫০ করে টিকিট। আমাদের দুজনের জন্য ২ টা টিকিট কাটা হলো। শুরুতেই মেশিনের সাহায্যে চোখের পাওয়ার চেক করা হলো। তারপর ওখান থেকেই বলে দিচ্ছিলো কার কোন রুমে ডাক্তার দেখানোর সিরিয়াল। বেশ কয়েকজন ডাক্তার থাকার কারণে খুব বেশিক্ষণ সিরিয়ালের জন্য অপেক্ষা করতে হয় নি। প্রায় ২০ মিনিট পর আমাদের ডাক আসে সিরিয়াল অনুযায়ী। আমরা দুইজনই একসাথে ডাক্তারের চেম্বারে ঢুকি। ডাক্তার বেশ সিনিয়র ছিলেন, বেশ যত্নের সাথে সব সমস্যা শুনেছেন, সময় নিয়ে কথা বলেছেন।এই বিষয়টি অনেক ভালো লেগেছিলো।




চেক আপ এর পর জানলাম, আমাদের দুজনেরই চশমার পাওয়ার কিছুটা কমেছে। আমাকে সাথে একটি আইড্রপ সাজেস্ট করেছেন। সব মিলিয়ে " আল নূর চক্ষু হাসপাতাল" এর সেবা আদের দুজনের কাছেই বেশ ভালো লেগেছে। " বাংলাদেশ আই হসপিটালে " যে সেবার খরচ ১৫০০ টাকা পার পার্সন, প্রায় একই সেবা আমি ২৫০ টাকায় " আল নূর আই হসপিটালে" পেয়েছি এবং আমরা দুজনই এই সেবায় স্যাটিসফাইড।

আজ এপর্যন্তই থাকলো। খুব শীঘ্রই অন্য কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হবো। সকলেই ভালো থাকবেন, সেই আশা রইলো।

এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼

VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR
@rme as your proxy
witness_vote.png

photo_2021-06-30_13-14-56.jpg

IMG_20211205_182705.jpg

আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি।
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।





Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 2 years ago 

চোখের পাওয়ার একবার কমা শুরু হলে তা কমতেই থাকে।চোখের যত্ন নেবেন।আর নিয়মিত চেক আপ করাবেন।এখন তো কম খরচেই ভাল মানের একটি প্রতিষ্ঠান ও পেয়ে গেলেন। ধন্যবাদ প্রতিষ্ঠান টি সম্পর্কে জানানোর জন্য।

 2 years ago 

ঢাকায় এখন বেশ কিছু এ ধরনের হাসপাতাল রয়েছে,যেখানে বেশ কম খরচে এ ধরনের চোখের ট্রিট্মেন্ট হয়। আর ঠিক তাই যারা চশমা পরে তাদের ৬ মাস পরপর চোখ দেখানোর নিয়ম। কিন্তু আমরা বেশিভাগ লোকই তা করি না। তাও বেশ কয়েকদিন পরে হলেও আপনি দেখিয়েছেন তা বেশ ভালো। অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।

 2 years ago 

সেটাই আপু। আগে জানা ছিলো না যে এমন কম খরচে এমন ভালো সেবা পাওয়া যায়। তবে এখন যেহেতু সন্ধান পেয়ে গিয়েছি, এরপর থেকে আল-নূর আই হসপিটালেই চেক আপ করাবো ।

Posted using SteemPro Mobile