স্মার্ট কার্ড তুলতে উপজেলা সার্ভার স্টেশন এ
হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করছি আপনারা সকলে সব দিক থেকে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও ভালো আছি। ইদানীং বেশ ব্যস্ততার মাঝেই সময় যাচ্ছে। গ্রামে এসেছি, তাই নেট এও বেশ ঝামেলা করে। যাই হোক, আজ আবারও আপনাদের মাঝে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করবো আমার পোস্ট টি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে। এবং আপনারা আপনাদের মূল্যবান মতামত শেয়ার করবেন। তো আর কথা না বাড়িয়ে সরাসরি চলে যাই মূল পোস্ট এ।
আপনারা ইতিমধ্যে জানেন যে আমি ঢাকা থেকে রংপুর এ এসেছিলাম বেশ কয়দিন আগে। রংপুর শহরে মূলত আমার বাবার বাসায় এসেছিলাম। সেখান থেকে গাইবান্ধায় আমাদের গ্রামের বাড়িতেও গিয়েছি। গাইবান্ধায় আমার একটা বিশেষ কাজ ছিলো, সেই কাজের জন্যই এত আগে আগে চলে আসা। আজ সেই বিষয় এই আপনাদের সাথে শেয়ার করতে হাজির হয়েছি। ভোটার তালিকার জন্য যখন নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়, আমার ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত ছিলো আমার স্থায়ী ঠিকানা, অর্থাৎ গ্রামের বাড়ি, গাইবান্ধা থেকেই। যেহেতু ঢাকায় তখন থাকা হতো বাবার চাকরিসূত্রে, অস্থায়ী ঠিকানা, তাই ঢাকা থেকে করানো হয় নি। সেই প্রথম জাতীয় এন আই ডি, সেটার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিলো ২০২০ সালে! তারপর তো আমাদের দেশে স্মার্ট এন আই ডি কার্ড এর কাজ চলমান হলো। যখন স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা শুরু হলো, আমার আর সুযোগ হয় নি যে ঢাকা থেকে এসে সেই স্মার্ট এন আই ডি কার্ড টি সংগ্রহ করে নিবো। অবশ্য পাসপোর্ট থাকায়, সকল কার্যক্রম পাসপোর্ট দিয়েও হয়ে যাচ্ছিলো বিধায় তেমন একটা গায়েও লাগে নি। আগে চাকরি করতাম, দুই ঈদ আর পুজোর ছুটি ছাড়া গ্রামে আসার সুযোগ ছিলো না। যেহেতু ঢাকা থেকে যাতায়াতেও বেশ ভালো সময় ই লাগে! বিয়ের পরে তো ছুটিতে এলেও শ্বশুড় বাড়িতেই থাকা হয় বেশি। আর ঈদ/পুজো যে সময় ই আমরা গ্রামে আসি, তখন তো সরকারি অফিস বন্ধই থাকে! সব মিলিয়ে সময়-সুযোগ এক হচ্ছিলো না। তাই এবার ঈদের বেশ আগে আগেই চলে এসেছি যে এবার স্মার্ট এন আই ডি কার্ড টি নিতেই হবে।
সেই উদ্দেশ্যে রংপুর থেকে বৃহস্পতিবার সকাল সকাল রওনা দেই গাইবান্ধার উদ্দেশ্যে। গাইবান্ধায় আমাদের উপজেলা সার্ভার স্টেশন এ গিয়ে পৌঁছাতে পৌঁছাতে ১২ টা বেজে যায় আমাদের। ভেতরে গিয়ে খুব বেশি বেগ পেতে হয় নি অবশ্য। গুটি কয়েকজন মানুষ ছিলো লাইনে। হেল্পিং ডেস্ক এ কি কাজ বলার পরে কোন রুমে যেতে হবে বলে দিলেন। সেই রুমে গেলে, সেখানে একজন মহিলা স্টাফ আমার দুই হাতের পাঁচ আঙুলের ই ছাপ স্কানিং করে নিলেন মেশিনে। এরপর আরেকটি মেশিন চশমা খুলে চোখে দিতে বললেন, যার সাহায্যে চোখের মনির ও স্কানিং করে নিলেন। এরপর তিনি কম্পিউটার এ কিছু তথ্য ইনপুট দিলেন এবং আমার আগের এন আই ডি কার্ড টি নিয়ে তার উপরেই একটি ছোট ফর্ম এ কিছু তথ্য ইনপুট করে আগের কার্ড এর উপর স্টাপল করে দিলেন। সেই ফর্ম সহ কার্ড টি নীচতলায় একজন কে দিতে হবে বলে দিলেন। সেই নির্দিষ্ট লোকের কাছে কার্ড টি জমা দেয়ার ৫ মিনিট পরেই উনি আমাকে আমার নতুন স্মার্ট এন আই ডি কার্ড টি হস্তান্তর করেন। সঅব মিলিয়ে উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে দশ মিনিটের মাঝেই পুরো কাজ হয়ে যায় আমার। অথচ যখন প্রথম এই স্মার্ট কার্ড রেডি হয়ে বিতরণ কাজ শুরু হয়েছিল, তখন সারাদিন লেগে যেতো এই কার্ড সংগ্রহ করতে এত মানুষের ভীড় ছিলো। নতুন কার্ড টি ২০২১ সালে ইস্যু হয়েছিল, যা আমার হাতে নিলাম ২০২৫ সালে! তাও ভালো যে এবার এই স্মার্ট কার্ড এর কোনো মেয়াদ নেই! নইলে দেখা যেতো এতদিনে আমার কার্ডের মেয়াদউত্তীর্ণ হওয়ার ই সময় কাছাকাছি হয়ে যেতো! 🫢 কার্ড হাতে পেয়ে অবশ্য কিছুটা হতাশ ই হয়েছিলাম। আমি ভেবেছিলাম নত্যন করে বোধ হয় ছবিই তোলা হবে, কিন্তু না, সেই পুরনো আমলের ছবিই রয়ে গিয়েছে নতুন স্মার্ট কার্ড এও! পরে মনে মনে সান্ত্বনা খুঁজে নিলাম যে নতুন করে ছবি তুললেও সেই ছবিও একই রকম শোচনীয়ই হতো, তারচেয়ে আগে যেটা ছিলো, ওই ভালো 😂।
যাই হোক, এই ছিল আনার এত বছর পর স্মার্ট কার্ড তোলার অনুভূতি। আজকের লেখা আর বাড়াচ্ছি না। সকলের সুস্থতা কামনা করে আমার আজকের লেখা এখানেই শেষ করছি। সাথে সকলের কাছে আমার জন্য, আমাদের জন্য দোয়ার দরখাস্ত রইলো। সকলে সাবধানে থাকবেন। শুভরাত্রি।
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শিক্ষগত যোগ্যতায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। দীর্ঘ ৬ বছর চাকরির পর বর্তমানে পুরোদমে একজন গৃহিণী। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি। OR
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.