আমাদের পহেলা বৈশাখ 😍
হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করছি আপনারা সকলে সব দিক থেকে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আমার আজকের পোষ্ট শুরু করছি।
আজকে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি একটি লাইফস্টাইল পোস্ট নিয়ে। কিছুদিন আগেই পহেলা বৈশাখ উৎযাপন করা হলো। আজ আপনাদের সাথে আমাদের পহেলা বৈশাখ এর কথাই শেয়ার করতে হাজির হলাম। যদিও সারাদেশে ১৪ এপ্রিল ই পহেলা বৈশাখ পালিত হয়। তবে ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি যে বাসায় ১৪ এপ্রিল এ চৈত্র সংক্রান্তি মেনে আসে আর তার পরের দিন পহেলা বৈশাখ পালন করে। এখন যদিও ওভাবে আলাদা করে তো আমার চৈত্র সংক্রান্তি ও পালন করা হয় না। তারউপর যেহেতু ১৪ এপ্রিল ই দেশজুরে বন্ধ থাকে সবকিছু, সাথে নানা স্থানে বিভিন্ন মেলাও বসে, তাই সব মিলিয়ে বৈশাখ পালন মিক্স হয়ে গিয়েছে আমার ক্ষেত্রে।
এবার ১৪ এপ্রিল সন্ধ্যার সময়ে বের হয়েছিলাম দুজনে মিলে। উদ্দেশ্য সংসদ ভবনের সামনে যাবো। কিন্তু বের হয়ে বুঝতে পারি যেতে যেতেই অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে আমাদের। রাস্তায় এত মানুষ বের হয়েছিলো, আমাদের ধারণার বাহিরে ছিলো। অতএব, জ্যাম ও ছিলো ভীষণ। তাই মোটামুটি অনেকক্ষণ ই সময় লেগে যায় সংসদ ভবনের সামনে পৌঁছাতে পৌঁছাতে। মূল উদ্দেশ্য ছিলো সেখানকার ড্রোন শো দেখার। তবে ওই যে, যেহেতু আমাদের পৌঁছাতেই অনেক দেরি হয়ে যায়, ড্রোন শো মিস করি আমরা। তবে স্টেজে ব্রান্ড শো চলছিলো। গান চলছিলো একের পর এক। কিছুক্ষণ সেই গান উপভোগ করি। মানুষের ভীড়ও ছিলো প্রচুর। অনেক অনেক লোক সমাগম হয়েছিলো। নিরাপত্তার জন্য বেশ পুলিশও একটিভ ছিলো। যাই হোক, গান ও অবশ্য বেশিক্ষণ চালিয়ে যায় নি। রাত ৮ টা বাজেই শো শেষ করে দেয়। যেহেতু শো চলাকালীন রাস্তা গাড়ি চলাচলের জন্য বন্ধ রেখেছিলো দুই পাশেই, সেকারণেই হয়তো এত জলদি শো শেষ করে দেওয়া হয়। তবে রাস্তা বন্ধ করে দেয়ায় বেশ ভালো হয়েছিলো যারা মেলার নানা দোকান দিয়েছিলো তাদের জন্য। সব থেকে বেশি ছিলো বেলুন এর দোকান। ছোট- বড় সকলের হাতে হাতেই রং- বেরঙ এর বেলুন দেখে বেশ ভালোই লাগছিলো বিষয়টা। এছাড়া খাওয়া দাওয়ার বিভিন্ন দোকান তো আছেই। ফুসকা, ভেলপুরি, চটপটি, চিংড়ি বড়া, আইসক্রিম, আখের রস, ছোলা মাখা, বাদাম এসবের দোকান ছিলো। আমরা দুই গ্লাস আখের রস খেলাম, পরে ভেলপুরিও বাদ দেই নি।
নিচের ছবিটি খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন কত মানুষের ভীড় হয়েছিলো সে রাতে সংসদ ভবনের সামনে। যতদূর চোখ যায়, যেন মানুষ আর মানুষ! অবশ্য সকলের মাঝেই আনন্দ উৎসব এর আনন্দ ছড়িয়ে ছিলো। বেশির ভাগই ফ্যামিলি নিয়ে এসেছিলেন। অনেক দিন পর যেন মানুষেরা আনন্দ উৎসব এ মেতে উঠেছিলো প্রাণ খুলে। সকলের আনন্দ দেখেও ভীষণ ভালো লাগা কাজ করছিলো আমার। অনেক দিন পর অবশ্য ঘোড়ার গাড়িও দেখা পেয়েছিলাম ওখানে। মানুষ অনেকে রাস্তার মাঝেই বসে বসে গল্পে মেতে উঠেছিলো, খাওয়া দাওয়া করছিলো। ঢাকার মেইন রাস্তায় এভাবে মানুষের আড্ডা দেখা পাওয়া বেশ বিরল ই লাগলো আমার কাছে। যাই হোক, বাকি কথা পরের পোস্ট এ হবে। আজ এপর্যন্তই থাকলো।
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শিক্ষগত যোগ্যতায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। দীর্ঘ ৬ বছর চাকরির পর বর্তমানে পুরোদমে একজন গৃহিণী। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি। OR
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/TithyRani/status/1913316814593159190?t=g6qDIKcoaUvaBqgU89m8rw&s=19
https://x.com/TithyRani/status/1913316787439165950?t=jYU4bh9vcJy5i1yxju-qIw&s=19
https://x.com/TithyRani/status/1913315909374189689?t=jxxwU1O3-s2KlskPCTryzQ&s=19
পহেলা বৈশাখের সন্ধ্যা টা বেশ কেটেছে আপনার। আমি কোথাও বের হয়নি সারাদিন রুমেই ছিলাম। বেশ লাগল দেখে আপনার পোস্ট টা। ঐদিন ছুটি থাকার কারণে অসংখ্য লোক ছিল বাইরে সবাই ঘুরতেই বের হয়েছিল।।