লাইফস্টাইল : শ্বশুড়বাড়িতে স্বরস্বতী পূজোর অভিজ্ঞতা

in আমার বাংলা ব্লগlast year

হ্যাল্লো বন্ধুরা

প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী,আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমি যদিও শারীরিক ভাবে এখনো খুব বেশি ভালো নই। মাইগ্রেন জ্বালায় নি ঠিক ই, কিন্তু ভয়াবহ রকমের কাশি শুরু হয়েছে। কাশতে কাশতে প্রায় গলা ব্যাথা হয়ে গেছে 🥲। আমার জন্য সবাই একটুউ দোয়া কইরেন প্লিজ। তো যাই হোক, আপনাদের সাথে আজ একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করছি পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগবে। আগের একটি পোস্ট এ আপনাদের সাথে আমার এবছরের স্বরস্বতী পূজোর প্রস্তুতি নিয়ে লিখেছিলাম। আজ আমার পূজোর অভিজ্ঞতা নিয়েই আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।


গত পোস্টে আপনাদের বলেছিলাম যে এবারে সরস্বতী পূজাতে আমরা শশুড়বাড়িতে গিয়েছিলাম কারণ আমার দেবরের মেয়ের হাতেখড়ি উপলক্ষে এবারে আমাদের নিজেদের বাড়িতে বেশ আয়োজন করে সরস্বতী পূজার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ বাড়ির পূজো মানে অনেক কিছুর আয়োজন। পুজোর যোগাড় থেকে শুরু করে প্রসাদ বিতরণ পর্যন্ত সবকিছুতেই নজর রাখতে হয়। যেহেতু আমার দেবরের মেয়ের হাতেখড়ি হবে, তাই নিয়ম অনুযায়ী ওকেও পুজো হওয়ার আগ পর্যন্ত না খেয়ে উপোস থাকতে হবে। অথচ ওর বয়স এখনো কেবল চার বছর পূর্ণ হয় নি। ও যেহেতু বেশিক্ষণ উপোস থাকতে পারবে না, তাই আমরা পুরোহিত মশাইকে অনুরোধ করেছিলাম যেন আমাদের বাড়িতেই সর্বপ্রথম পুজো টা করে তারপর যেন অন্যত্র বাকি পুজো গুলো করতে যান। একজন পুরোহিত এর হাতে আসলে তিন-চারটে পুজোর বায়না থাকে নূন্যতম।




পুজোর যোগাড় যেগুলো বাহিরে থেকে করার, সেগুলো তো আগেই করা ছিলো। তারপরেও আমপাতা, বেলপাতা, ফুল, বরি এর ডাল সহ প্রসাদের জন্য পাঁচ-ফল এবং অন্যান্য ভোগের প্রসাদ এর ব্যবস্থা করতে হবে৷ তাই ভোরে সাড়ে পাঁচটা থেকে উঠে স্নান করে সেসব জোগাড় করতে শুরু করে দিলাম আমরা দুই বউ। ওদিকে ভক্তদের প্রসাদের জন্য ইয়া বড় হাড়িতে রান্নার লোক রান্না বসিয়েছেন।




উপরের শাড়ি পড়া ছোট্ট পরীটাই তিনি, যার জন্য স্পেশাল এই আয়োজন। তো পূজো, হাতেখড়ির পর্ব সব ভালোয় ভালোয় শেষ হয়েছে। আর নিচের ছবিতে আমরা আমাদের বাড়ির তিন বউ। মানে আমার শ্বাশুড়ি আর আমরা দুই বউ। আমাদের শ্বশুড়বাড়িতে যে কোন আয়োজনেই মানুষ খাওয়ানোর যেন ধুম পরে যায়! আর প্রায় সারা গ্রামের মানুষ ই কোন না কোন সময়ে এসে প্রসাদ নিয়ে যান। তাই এলাহি কান্ড বলা চলে৷ সারাদিন জুড়েই এমনকি সন্ধ্যা পর্যন্ত চলতে থাকে প্রসাদ খাওয়ার ব্যবস্থা।



সবকিছু শেষ পর্যন্ত বেশ ভালোয় ভালোয় ই সম্পন্ন হয়েছিলো। আজ তবে এপর্যন্তই থাকলো। আবারো আপনাদের সামনে হাজির হবো হয়তো অন্য কোন পোস্ট নিয়ে।সকলে ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকার চেষ্টা করবেন৷বেশি করে পানি খাবেন। এবং সকলে এই পবিত্র মাসে সকলের জন্য বেশি বেশি করে দোয়া করবেন।

এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে
🌼 ধন্যবাদ 🌼

VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR
@rme as your proxy
witness_vote.png

photo_2021-06-30_13-14-56.jpg

IMG_20211205_182705.jpg

আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি।
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।



Posted using SteemPro Mobile

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last year 

প্রথমেই আপনার সুস্থতা কামনা করি। অনেক ভাল লাগল আপনার পোস্টটি পড়ে৷ আমার হাতে খড়ির দিন মনে পড়ে গেল। পুরোহিত এর সকালে আসার কথা থাকলেও এসেছিল অনেক পরে। কতবার যে আমি খাইতে গেছিলাম। হাহাহা। যাই হোক ছোট বোনের জন্য অনেক শুভ কামনা রইল।ওর ভবিষ্যত উজ্জ্বল হোক।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

বাড়িতে সরস্বতী পুজো করার মধ্যে অনেক বেশি আনন্দ রয়েছে দিদি। বিশেষ করে সব আয়োজন করা এবং লোকদের খেতে দেওয়ার ভেতর একটা অন্যরকম মজা আছে। তবে সরস্বতী পুজোর দিন হাতে খড়ি দেওয়ার এই ব্যাপারটা কিন্তু আমার কাছে অনেক বেশি স্পেশাল মনে হয়। যাই হোক, ভালো লাগলো আপনাদের এই সুন্দর মুহূর্ত গুলো দেখে এবং গ্রামের লোকদের প্রসাদ গ্রহণের মুহূর্ত গুলো দেখে।

 last year 

আসলেই ভাই। বাড়ির পূজোর আনন্দই আলাদা!

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

আপু আপনার দেবরের মেয়ের হাতেখড়ি উপলক্ষে এবার নিজেদের বাড়িতে গিয়ে বেশ আয়োজন করে সরস্বতী পূজার অনুষ্ঠান পালন করেছেন। গ্রামের অনেক মানুষ এসেই আপনাদের বাড়ি থেকে প্রসাদ খেয়েছে। আপনাদের ছোট্ট পরীমনিকেও দেখলাম। সব মিলিয়ে আপনার অনুভূতি দারুন ছিল। ধন্যবাদ।

 last year 

অসংখ্য ধন্যবাদ জনি ভাই।

Posted using SteemPro Mobile