রেসিপি পোস্ট : কালোজিরা-কুমড়োর বীজ ভর্তা
|| আজ ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, রোজ - রবিবার ||
হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী,আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদে ভালো আছি। তবে বিগত কিছুদিন থেকে আসলে বিভিন্ন কারণে আপনাদের সাথে নিয়মিত হতে পারছি না। আশা করছি সবকিছুকে একপাশে ফেলে আজ থেকে আবারো নিয়মিত হবো। আজ ভাবলাম আপনাদের সাথে একটি নতুন রেসিপি পোস্ট শেয়ার করি। আশা করছি পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগবে।
আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো কালোজিরা দিয়ে মিষ্টিকুমড়ার বীজ ভর্তার রেসিপি। বাঙালির খাবার মেন্যুতে বিভিন্ন রকমের ভর্তা তো থাকেই। তারপরেও যেন নতুন নতুন ভর্তার অভাব নেই!! এই ভর্তাটি আমি প্রথমে আমার এক কলিগের কাছ থেকে খেয়েছিলাম এবং উনার বলা রেসিপি অনুযায়ীই করেছি। আমার আজকেই প্রথম করা। এবং আমার কাছে বেশ মজার লেগেছে। মিষ্টি কুমড়ার বীজ কিন্তু বেশ উপকারী একটি খাবার। এটি প্রোটিনে ভরপুর। বর্তমানে যারা স্বাস্থ্য সচেতন, তারা এমন বীজ তাদের খাদ্য তালিকায় রাখার চেষ্টা করে থাকেন।
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে
তো চলুন আগে এক নজরে উপকরণ গুলো দেখে নেই:-
উপকরণ সমূহঃ |
---|
মিষ্টি কুমড়ার বীজ |
পেয়াজ কুচি |
রসুন কুচি |
লবণ |
সরিষার তেল |
কালোজিরা |
শুকনো মরিচ |
রন্ধনপ্রণালীঃ
ধাপ-১ :
প্রথমে একটি প্যানে আমি পরিমাণমতো সরিষার তেল দিয়ে দিবো। তেল গরম হয়ে গেলে প্যানে মিষ্টিকুমড়ার বীজ গুলো দিয়ে হালকা আঁচে সময় নিয়ে এপিঠ ওপিঠ করে ভেজে নিবো।
ধাপ-২ :
এবারে সেই প্যানের মাঝেই পরিমাণমতো কালোজিরা দিয়ে দিবো। কালোজিরা ভাজা হয়ে গেলে একসাথে মিষ্টিকুমড়ার বীজ আর কালোজিরা নামিয়ে নিবো।
ধাপ-৩ :
এবারে ফ্রাইপ্যানের মধ্যে শুকনো মরিচ দিয়ে ভালো করে ভেজে নামিয়ে নিয়েছি। তারপর পিয়াজ এবং রসুন কুচি গুলোও লাল লাল করে ভেজে নামিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৪ :
এখন আমি ভেজে নেয়া কালোজিরা - মিষ্টিকুমড়া বীজ গুলো ব্লেন্ডারের সাহায্যে গুড়ো করে নিয়েছি।
ধাপ-৪ :
এবারে সবগুলো উপকরণ ভালো করে একসাথে মেখে নিয়েছি। ব্যাস আমার কালোজিরা দিয়ে মিষ্টিকুমড়ার বীজের ভর্তা তৈরি।
পরিবেশনঃ
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি। OR
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
ভাবছি এত কাছে থেকে এমন লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন দিদি। আগে যদি একটু বুঝতে পারতাম তাহলে এমন একটি ইউনিক রেসিপির টেস্ট নিতে মিস করতাম না। তা যাই হোক বেশ দারুন হয়েছে মনে হচেছ। সব মিলিয়ে কিন্তু একটি ইউনিক রেসিপি করেছেন দিদি। ধন্যবাদ আপনাকে এমন সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ভর্তা তো আমার কাছে বরাবরই ভালো লাগে। এই রেসিপিটি আমার কাছেও ইউনিক লেগেছিলো কলিগের থেকে খেয়ে। তাই তার কাছ থেকে রেসিপি শুনে ট্রায় করে আপনাদের সাথে শেয়ার করা। পরের বার করলে অবশ্যই দাওয়াত দিবো আপু।
কালোজিরে দিয়ে কুমরোর বীজ ভরতা রেসিপি আমি আজ প্রথম দেখলাম।দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুবই চমৎকার হয়েছে। আর প্রতিটি ধাপ উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভর্তার আসলে কোন শেষ নেই ভাই। আমার তো অন্তত তাই ই মনে হয়। বিভিন্নভাবেই ভর্তায় ভিন্নতা আনা সম্ভব। আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
একদম ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এর আগে কখনো এইভাবে ভর্তা করে খাওয়া হয়নি তবে দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। একদিন বাসায় অবশ্যই ট্রাই করে খেতে হবে দেখছি বেশ লোভ লেগে গেল। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য
ভর্তায় আসলে বিভিন্ন ভাবেই ভিন্নতা আনা সম্ভব। খেতে আমার কাছেও বেশ মজার লেগেছে। ট্রায় করলে জানাবেন আপনার কাছে কেমন লাগলো... অপেক্ষায় রইলাম।
কলিগের কাছ থেকে জেনে অবশেষে আপনি এই রেসিপিটি নিজে নিজে তৈরি করে ফেলেছেন জেনে ভালো লাগলো। যদিও এ ধরনের রেসিপি খুব একটা খাওয়া হয়নি কখনো খেয়েছে কিনা সেটাও মনে নেই তবে দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু ছিল। মাঝে মাঝে এরকম ভর্তা খাওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। মজাদার এই ভর্তা রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যা, মাঝে মাঝেই ভর্তা ছাড়া তো আমার অন্তত চলেই না ভাই! মন ভরে না টাইপ! এই ভর্তাটার স্বাদ বেশ ভিন্ন।
কালোজিরা এবং কুমড়োর বীজ দিয়ে দারুন একটা ভর্তা রেসিপি তৈরি করেছেন আপু।ভর্তা রেসিপিটি দেখেই তো জিভে জল চলে আসলো। এরকম ভর্তা আমি আগে কখনো খাইনি। আপনার তৈরি ভর্তা রেসিপিটি দেখে আমার খুব খেতে ইচ্ছে করছে। তাই আপনার রেসিপি ফলো করে একদিন বাসায় অবশ্যই ট্রাই করবো।
আমারও এই ভর্তাটি আমার এক কলিগের থেকে রেসিপি জেনে প্রথম করা। কলিগের থেকে খেয়ে, বেশ ভালো লেগেছিলো বলেই তার থেকে রেসিপি জেনে নিয়ে ট্রায় করলাম এবং আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আপনিও ট্রায় করলে জানাবেন কিন্তু যে কেমন লাগলো। অপেক্ষায় থাকলাম।
ভর্তা আমার প্রিয় একটি খাবার। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটি পদ্দতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু।
কুমড়ার বীজ আমাদের দেহের জন্য খুবই উপকারী। আর কালোজিরা ও অনেক উপকারী। সত্যি বলতে এভাবে কখনো ভর্তা তৈরি করা সম্ভব হবে তা আমার জানা ছিল না। আপনার এই রেসিপি পোষ্টের মাধ্যমে অনেক উপকৃত হলাম ধন্যবাদ আপনাকে
হ্যা, কালোজিরা আর মিষ্টিকুমড়ার বীজ দুইটিই আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী উপাদান। দুইয়ের মিশেলে বেশ দারুণ একটি ভর্তার রেসিপি এটি।
যেকোনো ভর্তা খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আজকে আপনি অনেক সুন্দর করে কালোজিরা এবং কুমড়োর বীজ ভর্তা রেসিপি করেছেন। যদিও এই ভর্তা রেসিপি আপনি প্রথম করেছেন। এই ধরনের ভর্তা দিয়ে গরম ভাত খেতে অনেক মজা লাগে। খুব সুন্দর করে ভর্তার রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
ভর্তা দিয়ে গরম গরম ভাত! উফফ! বেস্ট কম্বিনেশন আপু!
ভর্তা খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে।কালোজিরা খেলে আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকার। তবে আপনি অনেক সুন্দর করে ভিন্ন রকম ভর্তা রেসিপি করেছেন।কালোজিরা ও কুমড়োর বীজ ভর্তা করেছেন এই প্রথম। তবে এভাবে কখনো আমি কালোজিরা ও কুমড়োর বীজ ভর্তা করে খাইনি। সত্যি বলতে ভর্তাটি দেখে আমার খেতে খুব ইচ্ছা করতেছে। সুন্দর করে ভর্তার রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
কখনো বাসায় বানানো হলে অবশ্যই জানাবেন আপনাদের কাছে কেমন লাগলো। আপনাকে ধন্যবাদ ভাই এমন সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য।
বাহ! দারুণ কিছু দেখলাম মনে হচ্ছে, সাথে নিজেকে একটু লোভীও মনে হচ্ছে হি হি হি। এটা এখনো চেক করার সুযোগ হয় নাই, তবে আপনার রেসিপিটি দেখে শিখে নিলাম কিছুটা। সময় সুযোগ মতো কোন একদিন অবশ্যই চেক করবো স্বাদটা। ধন্যবাদ